"মার্জারকেশরী" নৃসিংহদেবের এই অবতারের কথা আমি প্রথম শুনি গৌরাঙ্গ প্রভূর নৃসিংহ চতুর্দশী উপলক্ষে একটি প্রবচনে। তারপর জানতে পারি রামায়ণ খ্যাত গন্ধমাদন পর্বতের পাদদেশে বিড়াল নরসিংহ মন্দির আছে। বর্তমানে উড়িষ্যা ও ছত্তিশগড় সীমান্তে বরগড় জেলায় নৃসিংহনাথ মন্দির অবস্থিত।
রাবনের পুত্র মেঘনাদ লক্ষ্মণ কে শক্তিশেল মারলে বৈদ্যরাজ সুষেণ হনুমানজী কে বলেন দ্রোণগিরি পর্বতমালায় গন্ধমাদন পর্বত আছে। সেখান থেকে বিশল্যকরণী গাছ নিয়ে আসতে। হনুমানজী গাছ চিনতে না পেরে গোটা পাহাড় টি তুলে নিয়ে চলে আসেন। বিশল্যকরণী প্রয়োগে লক্ষ্মণের জ্ঞান ফিরে আসলে হনুমানজী গন্ধমাদন পাহাড় রেখে আসেন এখানে। গন্ধমাদনের একটি চূড়া রামেশ্বরের কাছে পড়ে যায় এখনো তা দর্শন করা যায়, যার নাম রামঝরোখা। আর গোটা পাহাড়টা আছে উড়িষ্যায় বর্তমানে বরগড় জেলায়।
গন্ধমাদনে গিয়ে দেখতে পেলাম বিশল্যকরণী গাছ। বিশল্যকরণী গাছ চার রকমের হয় ক্ষতস্থান নিরাময়ের জন্য বিশল্যকরণী, মৃতসন্জীবনী সবর্নহারিনী অজ্ঞান সারিনী। এখন এখানে একটি আয়ুর্বেদ গবেষণাগার ও হাসপাতাল তৈরী হয়েছে। সেখানে গন্ধমাদন পর্বত থেকে প্রাপ্ত গাছ গাছাড়ি থেকে ওষুধতৈরী করা হয়, ও গুনাগুন পরীক্ষা করা হয়। মন্দিরের বাইরে অনেক স্থানীয় লোকেরা ও নানান জড়িবুটি বিক্রি করে। এছাড়া গন্ধমাদন বনষ্পতি বন সোসাইটি র বিপনন কেন্দ্র তে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি হয়। নৃসিংহনাথ মন্দিরের বাগিচায় বিভিন্ন medicinal plant চাষ হচ্ছে। তা বিক্রি ও করা হয়,
মার্জারকেশরী লীলা
নৃসিংহ দেব এখানে বিড়াল নরসিংহ রূপে অবস্থান করছেন। নৃসিংহদেব ভক্তদের রক্ষা করতে নানা সময় বিভিন্ন রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। গান্ডাবেরুন্ডা নরসিংহ, বিদার নরসিংহ, ইত্যাদি নানা রূপে প্রকট হয়েছেন। বিড়াল নরসিংহ তেমন ই একটি রূপ।
ত্রেতাযুগে এক ঋষি ছিলেন উদঙ্গ নামে, তিনি গোদাবরী নদী তীরে বাস করতেন তার এক কন্যা ছিল নাম মালতী। একদিন রাবন সেখান দিয়ে যেতে যেতে মালতী কে দেখতে পায়। তাকে জোর করে পুষ্পক বিমানে তুলে নিয়ে বলাৎকার করে। ও গোদাবরী তীরে ফেলে যায়। গোদাবরী তার প্রতি করুনায় প্রকট হয়ে তাকে উদ্ধার করে শুশ্রুষা করে। তার সেবায় সুস্থ হয়ে মালতী চেতনা ফিরে পায়, ও গোদাবরী তীর ধরে তার পিতা কে খুঁজতে থাকে।
এমন সময় গণেশ এর বাহন ইঁদুর তার কান্না শুনে তার কাছে এসে সব শুনে বলে সে তাকে তার পিতার কাছে পৌছে দেবে যদি তাকে সে উপভোগ করতে পারে। এভাবে রাবণ ও মুষিকের থেকে মালতী এক দৈত্যের জন্ম দেয় যার নাম হয় মুষিক দৈত্য। এই মুষিক দৈত্য দেবতা দের ওপর অত্যচার করত ও যুদ্ধে দেবতা দের সাথে পেরে না উঠলে পর্বতের মধ্যে গর্তে গিয়ে লুকাতো। দেবতারা গর্তের মধ্যে প্রবেশ করতে পারতো না। তারা যখন বিশাল পর্বতের মধ্যে খুঁজতে খুঁজতে দলছুট হয়ে পড়ত নানান জায়গার গর্ত থেকে অতর্কিতে বেরিয়ে এসে একা কোন ও দেবতা কে পেলে আক্রমন করত। তাই দেবতারা বিষ্ণু র শরণাগত হন। নৃসিংহদেব তখন প্রকট হয়ে মার্জারকেশরী বা বিড়াল নরসিংহ রূপ নেন। মুষিক দৈত্য ইঁদুর রূপে পাহাড়ের মধ্যে গর্তে ঢুকে গেলেও বিড়াল যেমন নিঃশব্দে প্রতিক্ষা করে সেরকম অপেক্ষা করে নৃসিংহদেব দৈত্যের বেরোনোর সুযোগের অপেক্ষায় থেকে সে বেরোলে তাকে হত্যা করেন। মন্দিরে বিড়াল রূপী নরসিংহ দেবের বিগ্রহ দর্শন করা যায়। মন্দিরের গর্ভগৃহের পিছনে মুষিক দৈত্যের প্রবেশ গর্ত দেখাযায়। মন্দিরে দুটি নৃসিংহ দেবের বিগ্রহ রয়েছে, প্রাচীন বিগ্রহ টি চুরি হয়ে গেলে পরে একটি নতুন বিগ্রহ বসানো হয়েছিল। পরে প্রাচীন বিগ্রহটি পাওয়া যায় এখন দুটি বিগ্রহ ই রয়েছে। নৃসিংহদেবের পিছনে লক্ষ্মী সরস্বতী বিগ্রহ আছে। পাশে জগন্নাথ দেব ও গোবর্ধন ধারী গোপাল মূর্তি আছে। গর্ভগৃহে প্রদীপের আলোয় দর্শন করতে হয়। বেরোনোর পথে পাহাড়ের গায়ে খোদিত গণেশ ও দূর্গা দেবীর বিগ্রহ আছে।
নৃসিংহনাথ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা
হরি কনধুনি ও তার স্ত্রী যমুনা নামে এক শবর জাতির লোক গন্ধমাদন পর্বতের কাছে বাস করত তারা পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়ে মাটি খুঁড়ে কন্দমূল বার করে বাজারে বিক্রি করত। একদিন যমুনা মাটি খুঁড়তে গিয়ে দেখে সেখান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। সে ভয়ে দৌড়ে গিয়ে তার স্বামী কে জানায়। হরি শবর তার স্ত্রীর সাথে সেই স্থানে আসে, এসে দেখে সেই স্থান থেকে দুধ বেরিয়ে আসছে। তখন আকাশে দৈববাণী হয় ইনি নারায়ন মার্জারকেশরী রূপে মুষিকদৈত্য কে বধ করার জন্য এখানে অবস্থান করছেন। তোমরা এই বিগ্রহ উদ্ধার করে সেবা করো ও মন্দির নির্মান করো। তারা বিগ্রহটি মাটি থেকে উদ্ধার করে জংলী লেবু নিয়ে এসে ভোগ চড়ায়। ও পাতনগড়ের চৌহান বংশের রাজা বৈজল সিং জুদেবা কে নৃসিংহনাথের প্রকট হওয়ার কথা জানায়। রাজা বর্তমান মন্দিরটি নির্মান করেন। ও এক ব্রাহ্মন কে নিযুক্ত করেন মন্দিরে সেবার জন্য। কিছুদিন পর যমুনার এক সন্তান জন্মায়। হরিশবর জানতে পারে পূজারী ব্রাহ্মনের থেকে এই সন্তানের জন্ম হয়েছে। তখন ঐপূজারী ব্রাহ্মন কে তাড়িয়ে দেওয়া হয় ও তারপর থেকে এখনো মন্দিরে যে পূজারী নিযুক্ত হয় তার বয়স ১৬ বছরের কম।
অন্য দর্শনীয়
মন্দিরের পাশে দিয়ে পাপহারিনী ঝরনার ধারা বয়ে চলেছে। মন্দির থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যেই চালধার, ভীমধার, সীতাকুণ্ড। পাশের সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেড় কিলোমিটার দূরে পঞ্চপান্ডব গুহা, ও ৪ কিমি দূরে কপিলধার ঝরনা।
কপিলধার পর্যন্ত গাড়ি যাওয়ার রাস্তা আছে।
মন্দিরে গণেশ সহদেব ও নবগ্রহের বিগ্রহ আছে।
মন্দিরের পাশে সুন্দর বাঁধানো গোকুন্ড ঘাটে যাত্রীরা স্নান করতে পারে। মন্দিরে প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে প্রসাদ পাওয়ার ব্যাবস্থা আছে। এছাড়া মন্দিরের নিজস্ব গেস্টহাউসে ডিলাক্স রুম আছে যাত্রী দের থাকার জন্য। বহু সংখ্যক যাত্রীদের থাকার জন্য বিনামূল্যে ধর্মশালার ও ব্যাবস্থা আছে।
কিভাবে যাবেন
হাওড়া সম্বলপুর লাইনে বরগড় রোড স্টেশন থেকে পাইকমল বা পদমপুর এর বাসে এখানে আসা যায়। বা বরগড় রোড স্টেশনে ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সি তে সরাসরি মন্দির যাওয়া যায়। মন্দির ঘুরিয়ে বিকেলে বরাগড় পৌছে দেয়। বা অটো ধরে ১০ টাকায় বরাগড় বাস স্ট্যান্ড আসা যায়। বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল ৭টা ও ১১টায় দুটি বাস ছাড়ে(মহারাজা বাস সার্ভিস)। পাইকমল পর্যন্ত আসে। পদমপুর পর্যন্ত অনেক বাস পাওয়া যায়, পদমপুর থেকে অটো বা ট্রেকার এ পাইকমল আসা যায়। পাইকমল থেকে অটো ধরে ১০ মিনিট লাগে মন্দির আসতে।
রাবনের পুত্র মেঘনাদ লক্ষ্মণ কে শক্তিশেল মারলে বৈদ্যরাজ সুষেণ হনুমানজী কে বলেন দ্রোণগিরি পর্বতমালায় গন্ধমাদন পর্বত আছে। সেখান থেকে বিশল্যকরণী গাছ নিয়ে আসতে। হনুমানজী গাছ চিনতে না পেরে গোটা পাহাড় টি তুলে নিয়ে চলে আসেন। বিশল্যকরণী প্রয়োগে লক্ষ্মণের জ্ঞান ফিরে আসলে হনুমানজী গন্ধমাদন পাহাড় রেখে আসেন এখানে। গন্ধমাদনের একটি চূড়া রামেশ্বরের কাছে পড়ে যায় এখনো তা দর্শন করা যায়, যার নাম রামঝরোখা। আর গোটা পাহাড়টা আছে উড়িষ্যায় বর্তমানে বরগড় জেলায়।
গন্ধমাদনে গিয়ে দেখতে পেলাম বিশল্যকরণী গাছ। বিশল্যকরণী গাছ চার রকমের হয় ক্ষতস্থান নিরাময়ের জন্য বিশল্যকরণী, মৃতসন্জীবনী সবর্নহারিনী অজ্ঞান সারিনী। এখন এখানে একটি আয়ুর্বেদ গবেষণাগার ও হাসপাতাল তৈরী হয়েছে। সেখানে গন্ধমাদন পর্বত থেকে প্রাপ্ত গাছ গাছাড়ি থেকে ওষুধতৈরী করা হয়, ও গুনাগুন পরীক্ষা করা হয়। মন্দিরের বাইরে অনেক স্থানীয় লোকেরা ও নানান জড়িবুটি বিক্রি করে। এছাড়া গন্ধমাদন বনষ্পতি বন সোসাইটি র বিপনন কেন্দ্র তে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি হয়। নৃসিংহনাথ মন্দিরের বাগিচায় বিভিন্ন medicinal plant চাষ হচ্ছে। তা বিক্রি ও করা হয়,
মার্জারকেশরী লীলা
নৃসিংহ দেব এখানে বিড়াল নরসিংহ রূপে অবস্থান করছেন। নৃসিংহদেব ভক্তদের রক্ষা করতে নানা সময় বিভিন্ন রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন। গান্ডাবেরুন্ডা নরসিংহ, বিদার নরসিংহ, ইত্যাদি নানা রূপে প্রকট হয়েছেন। বিড়াল নরসিংহ তেমন ই একটি রূপ।
ত্রেতাযুগে এক ঋষি ছিলেন উদঙ্গ নামে, তিনি গোদাবরী নদী তীরে বাস করতেন তার এক কন্যা ছিল নাম মালতী। একদিন রাবন সেখান দিয়ে যেতে যেতে মালতী কে দেখতে পায়। তাকে জোর করে পুষ্পক বিমানে তুলে নিয়ে বলাৎকার করে। ও গোদাবরী তীরে ফেলে যায়। গোদাবরী তার প্রতি করুনায় প্রকট হয়ে তাকে উদ্ধার করে শুশ্রুষা করে। তার সেবায় সুস্থ হয়ে মালতী চেতনা ফিরে পায়, ও গোদাবরী তীর ধরে তার পিতা কে খুঁজতে থাকে।
এমন সময় গণেশ এর বাহন ইঁদুর তার কান্না শুনে তার কাছে এসে সব শুনে বলে সে তাকে তার পিতার কাছে পৌছে দেবে যদি তাকে সে উপভোগ করতে পারে। এভাবে রাবণ ও মুষিকের থেকে মালতী এক দৈত্যের জন্ম দেয় যার নাম হয় মুষিক দৈত্য। এই মুষিক দৈত্য দেবতা দের ওপর অত্যচার করত ও যুদ্ধে দেবতা দের সাথে পেরে না উঠলে পর্বতের মধ্যে গর্তে গিয়ে লুকাতো। দেবতারা গর্তের মধ্যে প্রবেশ করতে পারতো না। তারা যখন বিশাল পর্বতের মধ্যে খুঁজতে খুঁজতে দলছুট হয়ে পড়ত নানান জায়গার গর্ত থেকে অতর্কিতে বেরিয়ে এসে একা কোন ও দেবতা কে পেলে আক্রমন করত। তাই দেবতারা বিষ্ণু র শরণাগত হন। নৃসিংহদেব তখন প্রকট হয়ে মার্জারকেশরী বা বিড়াল নরসিংহ রূপ নেন। মুষিক দৈত্য ইঁদুর রূপে পাহাড়ের মধ্যে গর্তে ঢুকে গেলেও বিড়াল যেমন নিঃশব্দে প্রতিক্ষা করে সেরকম অপেক্ষা করে নৃসিংহদেব দৈত্যের বেরোনোর সুযোগের অপেক্ষায় থেকে সে বেরোলে তাকে হত্যা করেন। মন্দিরে বিড়াল রূপী নরসিংহ দেবের বিগ্রহ দর্শন করা যায়। মন্দিরের গর্ভগৃহের পিছনে মুষিক দৈত্যের প্রবেশ গর্ত দেখাযায়। মন্দিরে দুটি নৃসিংহ দেবের বিগ্রহ রয়েছে, প্রাচীন বিগ্রহ টি চুরি হয়ে গেলে পরে একটি নতুন বিগ্রহ বসানো হয়েছিল। পরে প্রাচীন বিগ্রহটি পাওয়া যায় এখন দুটি বিগ্রহ ই রয়েছে। নৃসিংহদেবের পিছনে লক্ষ্মী সরস্বতী বিগ্রহ আছে। পাশে জগন্নাথ দেব ও গোবর্ধন ধারী গোপাল মূর্তি আছে। গর্ভগৃহে প্রদীপের আলোয় দর্শন করতে হয়। বেরোনোর পথে পাহাড়ের গায়ে খোদিত গণেশ ও দূর্গা দেবীর বিগ্রহ আছে।
হরি কনধুনি ও তার স্ত্রী যমুনা নামে এক শবর জাতির লোক গন্ধমাদন পর্বতের কাছে বাস করত তারা পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়ে মাটি খুঁড়ে কন্দমূল বার করে বাজারে বিক্রি করত। একদিন যমুনা মাটি খুঁড়তে গিয়ে দেখে সেখান দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। সে ভয়ে দৌড়ে গিয়ে তার স্বামী কে জানায়। হরি শবর তার স্ত্রীর সাথে সেই স্থানে আসে, এসে দেখে সেই স্থান থেকে দুধ বেরিয়ে আসছে। তখন আকাশে দৈববাণী হয় ইনি নারায়ন মার্জারকেশরী রূপে মুষিকদৈত্য কে বধ করার জন্য এখানে অবস্থান করছেন। তোমরা এই বিগ্রহ উদ্ধার করে সেবা করো ও মন্দির নির্মান করো। তারা বিগ্রহটি মাটি থেকে উদ্ধার করে জংলী লেবু নিয়ে এসে ভোগ চড়ায়। ও পাতনগড়ের চৌহান বংশের রাজা বৈজল সিং জুদেবা কে নৃসিংহনাথের প্রকট হওয়ার কথা জানায়। রাজা বর্তমান মন্দিরটি নির্মান করেন। ও এক ব্রাহ্মন কে নিযুক্ত করেন মন্দিরে সেবার জন্য। কিছুদিন পর যমুনার এক সন্তান জন্মায়। হরিশবর জানতে পারে পূজারী ব্রাহ্মনের থেকে এই সন্তানের জন্ম হয়েছে। তখন ঐপূজারী ব্রাহ্মন কে তাড়িয়ে দেওয়া হয় ও তারপর থেকে এখনো মন্দিরে যে পূজারী নিযুক্ত হয় তার বয়স ১৬ বছরের কম।
অন্য দর্শনীয়
মন্দিরের পাশে দিয়ে পাপহারিনী ঝরনার ধারা বয়ে চলেছে। মন্দির থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যেই চালধার, ভীমধার, সীতাকুণ্ড। পাশের সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেড় কিলোমিটার দূরে পঞ্চপান্ডব গুহা, ও ৪ কিমি দূরে কপিলধার ঝরনা।
মন্দিরে গণেশ সহদেব ও নবগ্রহের বিগ্রহ আছে।
মন্দিরের পাশে সুন্দর বাঁধানো গোকুন্ড ঘাটে যাত্রীরা স্নান করতে পারে। মন্দিরে প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে প্রসাদ পাওয়ার ব্যাবস্থা আছে। এছাড়া মন্দিরের নিজস্ব গেস্টহাউসে ডিলাক্স রুম আছে যাত্রী দের থাকার জন্য। বহু সংখ্যক যাত্রীদের থাকার জন্য বিনামূল্যে ধর্মশালার ও ব্যাবস্থা আছে।
কিভাবে যাবেন
হাওড়া সম্বলপুর লাইনে বরগড় রোড স্টেশন থেকে পাইকমল বা পদমপুর এর বাসে এখানে আসা যায়। বা বরগড় রোড স্টেশনে ট্যাক্সি পাওয়া যায়। ট্যাক্সি তে সরাসরি মন্দির যাওয়া যায়। মন্দির ঘুরিয়ে বিকেলে বরাগড় পৌছে দেয়। বা অটো ধরে ১০ টাকায় বরাগড় বাস স্ট্যান্ড আসা যায়। বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল ৭টা ও ১১টায় দুটি বাস ছাড়ে(মহারাজা বাস সার্ভিস)। পাইকমল পর্যন্ত আসে। পদমপুর পর্যন্ত অনেক বাস পাওয়া যায়, পদমপুর থেকে অটো বা ট্রেকার এ পাইকমল আসা যায়। পাইকমল থেকে অটো ধরে ১০ মিনিট লাগে মন্দির আসতে।
যোগাযোগ:- নৃসিংহনাথ অতিথি ভবন, পাইকমল, বরগড়। প্রধান বাবু মোবাইল:- 07894707290
পাইকমল থেকে মহারাজা বাস সার্ভিস মোবাইল : 07606051188