Remuna khir chora gopinath temple

Remuna khir chora gopinath temple

Remuna Khir Chora Gopinath temple

রেমুণা শব্দটি এসেছে রমণীয় থেকে । ওড়িশার বালাসোর জেলার মধ্যে একটি ছোট রমণীয় গ্রাম রেমুণা‌। ক্ষীরচোরা গোপীনাথের জন্য রেমুণা বিখ্যাত। ভারতের প্রাচীন শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহের মধ্যে দ্বিভূজ বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণের সর্বপ্রাচীন বিগ্রহের মধ্যে অন্যতম এই গোপীনাথ।  
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূ, শ্রীল মাধবেন্দ্রপুরী, শ্রী শ্যামানন্দ প্রভূ ও রসিকানন্দ প্রভূ এই রেমুণা দর্শনে এসেছিলেন। আগে পুরী যাওয়ার রাস্তা এই পথে ছিল। যেহেতু শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই পথ দিয়ে পুরী গেছিলেন তাই এই রাস্তার নাম গৌরদান্ড। 
বর্তমানে শ্যামানন্দ গাদি দ্বারা এই মন্দিরের সেবা পরিচালিত হয়। রসিকানন্দ প্রভূ বংশোদ্ভূত বর্তমান শ্যামানন্দ গাদীশ্বর শ্রী কৃষ্ণকেশবানন্দ দেব গোস্বামী এই মন্দিরের মহান্ত। 
শ্রী বৃন্দাবনের মত এখানেও গৌড়ীয়ার তিন ঠাকুর গোবিন্দ, গোপীনাথ ও মদনমোহনজী আছেন। 
বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভু মদনমোহনকে সম্বন্ধাধিদেব, গোবিন্দ দেবকে অভিধেয়াধিদেব ও গোপীনাথ কে প্রয়োজনাধিদেব বলেছেন। কারন মদনমোহনের সেবার মাধ্যমে জীব ইন্দ্রিয় ভোগ কে দমন করে কৃষ্ণের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তখন সেবার বাসনা জাগে, সেবার আসক্তি দৃঢ় হলে গোবিন্দের সেবা হয়। গোবিন্দ ইন্দ্রিয় গণের অধীশ্বর গোবিন্দ সেবায় ইন্দ্রিয় গুলি যুক্ত হলে বিষয় ভোগের বাসনা দূর হয়‌ তাই গোবিন্দ দেব অভিধেয় তত্ত্ব। আর গোপীগন পরিবেষ্টিত গোপীনাথ সেবা সুখ প্রদান করেন তাই তিনি প্রয়োজন তত্ত্ব। 
গোপীনাথ বিগ্রহে গুপ্তভাবে বৃন্দাবনলীলা আছে, ও এখানে রাধারানী গুপ্তভাবে আছেন তাই রেমুণা গুপ্ত বৃন্দাবন নামে পরিচিত। 


ক্ষীরচোরা গোপীনাথ মন্দির:-
বর্তমান মন্দিরটি রসিকানন্দ প্রভুর শিষ্য ময়ূরভঞ্জের রাজা শ্রী বৈদ্যনাথ ভঞ্জ দেব নির্মাণ করে দেন। 
মন্দিরে প্রাঙ্গনের বামদিকে মূল মন্দির, তার সামনে নাট মন্দির ও ছোট একটি রাস মন্ডপ রয়েছে। গর্ভগৃহে গৌড়ীয়ার প্রানধন শ্রী গোবিন্দ, গোপীনাথ ও মদনমোহন আছেন। মাঝখানে র শ্রীবিগ্রহ ক্ষীরচোরা গোপীনাথের। গোপীনাথের ডানদিকে মদনমোহনজী ও বামদিকে গোবিন্দদেবজীর বিগ্রহ আছে। শ্রী শ্রী শ্যামানন্দ গাদীর তৃতীয় মহান্ত শ্রী নয়নানন্দদেব গোস্বামীর নির্দেশে তিহড়ির সামন্ত রাজা নীলগিরির মুগনী প্রস্তর দ্বারা শ্রীমদনমোহন ও শ্রী গোবিন্দজীউ এর বিগ্রহ নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠা করেন।
মতান্তরে শ্রীল রসিকানন্দ প্রভূ দ্বারা এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হয়। 
নাট মন্দিরের পিছনে রসিকানন্দ প্রভূর সমাধিমন্দির ও তার বাসগৃহ আছে। সমাধি মন্দিরের পাশে এই ঘরে রসিকানন্দ প্রভূ থাকতেন। এখানে রসিকানন্দ প্রভূর পাদুকা রক্ষিত আছে। 
রাসমন্ডপের পিছনে ছোট একটি মন্ডপে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত চৈতন্য মহাপ্রভূর পাদপদ্মের একটি প্রতিকৃতি আছে। 




গোপীনাথ বিগ্রহ প্রকটের কাহিনী:- কথিত আছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এই গোপীনাথ বিগ্রহ প্রকট করেন। যখন শ্রীরামচন্দ্র বনবাসে ছিলেন একদিন সীতাদেবী সহ চিত্রকূটের কামোদগিরি পর্বতে বসে ছিলেন। হঠাৎ প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড় শুরু হতে বনে চারন রত গাভী গোবৎস রা ছুটে চিত্রকূট পর্বতে বাসকারী ঋষি মুনি দের আশ্রমে নিজ নিজ গোশালায় ফিরতে থাকে। গাভী গনকে নিয়ে রাখাল বালকদের এভাবে ছুটে আসতে দেখে শ্রীরামচন্দ্রের মুখে স্মিত হাস্য ফুটে উঠল। শ্রীরামচন্দ্রের বাহু যুগলে আবদ্ধ মাতা সীতা তাকে হাসতে দেখে তার কারন জানতে চাইলেন। সীতাদেবী বারবার এরকম জিজ্ঞাসা করতে থাকলে শ্রীরামচন্দ্র বললেন এই দৃশ্য দেখে আমার দ্বাপরযুগের লীলার কথা স্মরণ হচ্ছে। দেবী জানকী তখন দ্বাপর লীলা দর্শন করতে চাইলেন। শ্রীরামচন্দ্র তার জন্য সাতদিন সময় চাইলেন। পরদিন প্রভু শ্রীরাম বড় আয়তাকার একটি পাথরে তীরের অগ্রভাগ দিয়ে দ্বাপর যুগের কৃষ্ণলীলা, কৃষ্ণরূপ গোপ, গোপী গাভী ইত্যাদি অঙ্কন করতে লাগলেন। এভাবে তিনদিন কেটে গেলে সীতা দেবী আর ধৈর্য্য রাখতে না পেরে শ্রীরামচন্দ্র কে সেই মূর্ত্তি দর্শন করানোর জন্য অনুরোধ করতে লাগলেন। তাই শ্রীরামচন্দ্র সেই অসম্পূর্ণ বিগ্রহই দর্শন করালেন। দেবী সীতা আনন্দিত হয়ে সেই অসম্পূর্ণ বিগ্রহে চক্ষু অঙ্কণ করে দিলেন। হ্লাদিনী শক্তিরহাতের স্পর্শে সেই বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। তাই শ্রীরামচন্দ্র অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে তীরের ফলা দিয়ে স্পর্শ করতে মূর্তি দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকলো। মূর্তিতে প্রান প্রতিষ্ঠা হয়েছে বুঝে সীতা দেবী বললেন সেই বিগ্রহের অভিষেক করিয়ে সেবা পূজা করলেন। কিছুদিন পরে রাক্ষস দের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে শ্রীরামচন্দ্র সীতা দেবী ও লক্ষ্মণের সাথে অত্রি মুনির আশ্রমে গেলে ব্রহ্মাজী চিত্রকূট পর্বতে সেই স্বয়ম্ভূ বিগ্রহের সেবা করতে লাগলেন। 
কামোদগিরি পাহাড় লক্ষণ পাহাড় নামে পরিচিত, যেহেতু লক্ষণ এই পাহাড়ে উঠে পাহারা দিতেন যাতে কোনো রাক্ষস ঋষি দের আশ্রমে এসে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে। এখনো লক্ষ্মণ পাহাড়ে রাম, সীতা,লক্ষ্মণ ও গোপীনাথের প্রতিভু বিগ্রহ আছে। 
কলিযুগে ওড়িশার গঙ্গ বংশীয় রাজা প্রথম লাঙ্গুলা নরসিংহ দেব তীর্থ দর্শনে গিয়ে সেবকবিহীন এই মনোহর গোপীনাথ বিগ্রহকে দেখে সেই বিগ্রহ নীলাচলে নিয়ে গিয়ে তার মনে সেবা করার বাসনা হয়। এদিকে সেদিন রাতে সেই স্বয়ম্ভূ বিগ্রহ রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন আমার নাম মদনগোপাল। আমি এই কামোদগিরি পর্বতে বিরাজিত আছি। ত্রেতা যুগ থেকে ব্রহ্মা আমার সেবা করছে। এখন আমার কোনো রমণীয় স্থানে যাওয়ার বাসনা হয়েছে। তুমি আমাকে নিয়ে চলো। তাই পরদিন অত্যন্ত আনন্দ সহকারে রাজা মদনগোপালকে নিজ রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করলেন। সঙ্গের লোকজন মহাজয়ধ্বনি সহকারে গোপাল কে নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে নীলাচলের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করলেন। এই জয়ধ্বনির জন্য লোকমুখে মদনগোপালের নাম হল জয়গোপাল। নীলাচলের পথে রেমুণা গ্রাম পড়ল। সেখানে ঘোষপল্লীতেই জয়গোপাল থেকে যাওয়ার বাসনা করলেন। গ্রামবাসী সকলে দই দুধ ক্ষীর এনে জয়গোপালের সেবা করলো। রানী তার নাম রাখলেন গোপীনাথ ও গোপীনাথের জন্য রাজকীয় ভোগের ব্যাবস্থা করলেন। রানী ই ১২ ভান্ড ক্ষীর বা রাবড়ী ভোগের নিত্য ব্যাবস্থা করেন।

১৫৬৮ খ্রীঃ এ কালাপাহাড়ের আক্রমনের ভয়ে সেবকরা শ্রী গোপীনাথকে অনন্তসাগর পুষ্করিণী তে লুকিয়ে রাখেন। গোপীনাথের পরিবর্তে মন্দিরে বাসুদেব বিগ্রহ রেখে দেওয়া হয়। কালাপাহাড় রেমুণায় এসে গোপীনাথ মন্দির ধ্বংস করে শ্রীবিগ্রহ দ্বিখন্ডিত করে দেয়। পরে শ্রী শ্যামানন্দ প্রভু লোকদের দিয়ে অনন্তসাগর থেকে গোপীনাথ বিগ্রহ উদ্ধার করে শ্রী মন্দিরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।‌
শ্রীগোপীনাথ বিগ্রহ:- 
গোপীনাথের এই স্বয়ম্ভু বিগ্রহটি অপরূপ সুন্দর। দ্বিভূজ, বংশীধারী,নটবর বেশে ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে দাঁড়ানো। 
বিগ্রহের  নীচের দিকে অষ্টসখীর বিগ্রহ আছে। বামদিকে তাম্বুল সেবারত ললিতাদেবী, বিশাখাদেবী ফলের থালা ও জলের কলস হাতে নিয়ে আছেন। পুষ্পমাল্য সেবারতা চিত্রা দেবী, ও চরণসেবা রতা ইন্দুলেখা দেবী। ডানদিকে চামর হস্তে চম্পকলতা দেবী, গন্ধ চন্দন সেবারতা রঙ্গদেবী, বস্ত্রসেবারতা তুঙ্গবিদ্যা দেবী, ও শয্যোত্থান ও দন্তধাবনাদি পরিবেশন রতা সুদেবী। বিগ্রহের নীচের দিকে চারজন সখা ও তাদের প্রত্যেকের হাতে পাঁচন ও প্রত্যেকের সাথে  তিনটি করে গাভী আছে। তার মস্তকোপরি অনন্তদেব ও তিনটি জম্বুফল আছে। উপরিভাগে ডান ও বামদিকে চানুর ও মুষ্টিকের সাথে কৃষ্ণ বলরামের মল্লযুদ্ধ লীলা আছে।


চৈতন্য পাদপদ্ম মন্ডপ 
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূ সন্ন্যাস গ্রহন করে নীলাচলে আসার পথে রেমুনায় গোপীনাথ দর্শন করতে আসেন। তার পদধূলিধন্য বলে এই স্থানে খ্রীঃ এ শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর শ্রী চৈতন্য পাদপদ্ম স্থাপন করেন। 
রেমুণা তে গোপীনাথ পরমমোহন।
ভক্তি করি কৈলা প্রভূ তাঁর দর্শন।।
তাঁর পাদপদ্ম নিকট প্রণাম করিতে।
তাঁর পুষ্পচূড়া পড়িল প্রভুর মাথাতে।।
চূড়া পাইয়া মহাপ্রভুর আনন্দিত মন।
বহু নৃত্য গীত কৈল লইয়া ভক্তগণ।।
প্রভুর প্রভাব দেখি প্রেম রূপ গুণ।
বিস্মিত হইলা গোপীনাথের দাসগণ।।
 মহাপ্রভূ রেমুণা তে এসে গোপীনাথের পরম মনোহররূপ দর্শন করে অত্যন্ত প্রসন্ন হলেন।গোপীনাথের পাদপদ্মে প্রণাম করতে গোপীনাথের পূষ্পচূড়া মহাপ্রভুর মাথায় খসে পড়ল। তা মাথায় বেঁধে মহাপ্রভু নৃত্য করতে লাগলেন। শুরু হল মহাসংকীর্তন। গোপীনাথের সেবকরা অবাক হয়ে দেখতে লাগলো। এত প্রেম তারা আগে দেখেনি। তারা প্রীতি ভরে মহাপ্রভুর সেবা করলো।‌
গোপীনাথের নাম কিভাবে ক্ষীরচোরা গোপীনাথ হলো‌ মহাপ্রভূ সেই কাহিনী ঈশ্বরপুরীপাদ তাকে বলেছিলেন। সেই কাহিনী তিনি তার সাথে আগত ভক্তদের কাছে বর্ণনা করলেন। ইতিমধ্যে গোপীনাথের ভোগ শেষ হয়ে আরতি র বাজনা বেজে উঠল। পূজারী গোপীনাথের শয়ন দিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু কে প্রসাদী বারোটি ক্ষীরের পাত্র এনে দিলেন। মহাপ্রভূ ভক্তদের সাথে ক্ষীর প্রসাদ পেলেন। সেই রাত নাম সংকীর্তন করে মন্দিরেই অতিবাহিত করে পরদিন মঙ্গল আরতি দর্শন করে মহাপ্রভু নীলাচলের উদ্দ্যেশ্যে গমন করলেন। 





Samadhi Temple Of Srila Rasikananda Prtabhu
রসিকানন্দ প্রভুর সমাধি
মন্দিরের পাশেই রসিকানন্দ প্রভূর পুষ্পসমাধি ও তার বাসগৃহ আছে। তার ঘর, পাদুকা, ও সমাধি এখানে দর্শনীয়। 
একবার শ্রী রসিকানন্দ প্রভু জলেশ্বরের কাছে বাঁশদহ গ্রাম থেকে তার সাতজন সঙ্গীর সাথে সঙ্কীর্তন করতে করতে রেমুণায় ক্ষীরচোরা গোপীনাথ   মন্দির দর্শনে আসেন। শ্রী রসিকানন্দ প্রভূ সঙ্কীর্তন করতে করতে গর্ভগৃহে প্রবেশ করে গোপীনাথের বিগ্রহে মিলিত হয়ে নিত্য লীলায় প্রবেশ করেন। তার সাথে আগত সাতজন ভক্ত ও প্রভুর বিরহে দেহরক্ষা করেন। মন্দির প্রাঙ্গণে ই রসিকানন্দ প্রভুর সমাধি ও তার পাশেই সঙ্গী সাতজনের সমাধি আছে।



Rasikananda Prabhu


Room of Sri Rasikananda prabhu and his paduka

Kitchen of khir cora Gopinath temple



Amrita keli Khir preparation
গোপীনাথের ভোগ:-
প্রতিদিন সকালে ৬পাতা রাখাল ভোগ বা খিচুড়ী ভোগ হয়।  দুপুরে ১৬ পাতা অন্ন ভোগ ও ১ কিলো চালের ৩ পাতা পরমান্ন হয়। 
রাতে অন্ন, রুটি ও মাখন ভোগ হয়। সাথে অমৃতকেলি ভোগ লাগে। 
 ৬ কিলো দুধ জাল দিয়ে ঘন করে যে রাবড়ি হয় তাতে ১ ভান্ড ক্ষীর হয়। এরকম ১২ ভান্ড ক্ষীর দিয়ে গোপীনাথের নিত্য ভোগ হয়। এর নাম অমৃতকেলী। 



Arati Of Sri Khir chora Gopinath
গোপীনাথের সেবা:-
মঙ্গল আরতি 4:15 am
আরতির পরে কীর্তন 4:25 am
ভাগবত পাঠ 5:00-7:00 am
স্নান ও শৃঙ্গার বেশ 6:00-630 am
শৃঙ্গার ভোগ ও শৃঙ্গার আরতি 8:00 am
রাখাল আরতি 9:15 am
রাখাল ভোগ 10:30 am
রাজভোগ ও মধ্যাহ্ন আরতি 11:45 am- 12:00 noon
1:00- 3:45 pm পহড়  অর্থাৎ মন্দির বন্ধ থাকে
উত্থান ভোগ ও আরতি 4:00 pm
গোষ্ঠ ভোগ ও আরতি5:30 pm
সন্ধ্যা ভোগ ও আরতি 6:30- 7:15pm
পরিক্রমা ও কীর্তন 7:15 pm
শয়ন ভোগ ও শয়ন আরতি 8:45- 9:30 pm

রেমুণায় দর্শনীয় অন্যান্য স্থান:- 

রসিকানন্দ প্রভূর সমাধি মন্দির 
শ্রীচৈতন্যপাদপীঠ
মাধবেন্দ্রপুরী গোস্বামীর সমাধি
রামচন্ডী ও নৃসিংহ মন্দির
সপ্তশরা নদী
গর্গেশ্বর মহাদেব মন্দির 
বলদেববিদ্যাভূষণের জন্মস্থান 
পঞ্চলিঙ্গেশ্বর 
ইমামি জগন্নাথ মন্দির
নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির
চাঁদিপুর সি বীচ