প্রহ্লাদ মহারাজের প্রতিষ্ঠিত নরসিংহ দেব
হরিদ্বারে বৈষ্ণব তীর্থের মধ্যে প্রধান একটি স্থান হলো নরসিংহধাম মন্দির। যেখানে প্রহ্লাদ মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মূলতানের নরসিংহ দেব বিগ্রহ আছে। কথিত আছে ত্রেতা যুগে প্রহ্লাদ মহারাজ যেখানে রাজত্ব করেন বর্তমানে তা পাকিস্তানের মূলতান নামে পরিচিত। পূর্বে এখানকার নাম ছিলো কশ্যপপুর। পরে প্রহ্লাদ মহারাজের নামে এখানকার নাম হয় প্রহ্লাদপুরী। প্রহ্লাদ মহারাজ পূর্বজন্মে এই স্থানে নরসিংহ ব্রত করে নৃসিংহদেব এর প্রথম দর্শন লাভ করেন তাই একে মূলস্থান বলা হয়। মূলস্থান নাম থেকে পরে মূলতান হয়। মূলতান পূর্বে অবিভক্ত পাঞ্জাবের অংশ ছিল। প্রহ্লাদ মহারাজ পূর্বজন্মে এক বেশ্যাসক্ত পুরুষ ছিলেন কিন্তু নৃসিংহচতুর্দশী ব্রত পালনের ফলে তিনি সেই পাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণভক্ত হয়ে জন্ম গ্রহন করেন সেই থেকে এই স্থানের নাম হয় হরপাপম বা প্রাকৃত ভাষায় হরপ্পা। প্রাচীন হরপ্পা সভ্যতাও আর্য্যাবর্তের আর্য্য সভ্যতার অংশ ছিল।
Narsingh Dev deity Established by Prahlad Maharaj |
মতান্তরে প্রহ্লাদ মহারাজ কে রক্ষা করকে এই স্থানে নৃসিংহদেব প্রকট হয়েছিলেন। চৈ.চ অন্ত্য ৯/১০ এর তাৎপর্য্যে শ্রীলপ্রভূপাদ এই স্থানের উল্লেখ করেছেন। "কোনো কোনো ঐতিহাসিক দের মতে প্রহ্লাদ মহারাজের জন্ম হয় ত্রেতা যুগে পাঞ্জাবের মূলতান শহরে কশ্যপবংশীয় রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র রূপে তার জন্ম হয়।"
এই বিগ্রহ টি প্রহ্লাদ মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রথম নৃসিংহদেব বিগ্রহ। প্রহ্লাদ মহারাজ চারটি স্থানে নরসিংহ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন ১) অহোবিলম ২) সীমাচলম ৩) হরপাপম ৪) কৃতশৌচম
অহোবিলম:- বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে কুর্নুল জেলার নান্ডিয়ালে অবস্থিত। এখানে হিরণ্যকশিপুর সভাস্তম্ভ ভেঙ্গে নরসিংহ দেব প্রকট হন।
সীমাচলম:- বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাখাপত্তনমের কাছে অবস্থিত। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্রে ফেলে দিলে প্রহ্লাদ মহারাজ অনুভব করেন যে ভগবান তাকে হাতে করে নামাচ্ছেন। এখানে তিনি দ্বিতীয়বার নরসিংহ দেবের দর্শন লাভ করেন।
হরপাপম:- বর্তমানে পাকিস্তানের মূলতানে অবস্থিত। প্রহ্লাদ মহারাজ পূর্বজন্মে এখানে বাসুদেব নামে জন্মগ্রহণ করেন। ও নৃসিংহচতুর্দশীব্রত করে নৃসিংহ দেবের দর্শন লাভ করেন।
কৃতশৌচম:- এই স্থানটির অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
মূলতানে প্রহ্লাদপুরী ও নরসিংহ মন্দির
ইসলাম আক্রমনের সময়কালে মুলতানের সুবিখ্যাত সূর্য মন্দিরের মতো এই মন্দির টিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পাঞ্জাব কেশরী রঞ্জিত সিং এর নেতৃত্বে শিখ রা এই স্থানের দখল নিলে শেষবারের মতো ১৮১০ খ্রীঃ এ এই স্থান ও মন্দির টির সংস্কার হয়। দেশভাগের পর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় দ্বারা এই স্থানটি
রক্ষণাবেক্ষণ করা হত।
১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের পর এই স্থান টিকে সম্পূর্ন রূপে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে আবর্জনা ফেলার ভ্যাট হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। বহু হিন্দু সংখ্যালঘু সংগঠনের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকার কে বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও কোন সংস্কার করা সম্ভব হয় নি। মূলতানে বাহাউদ্দিন জাকারিয়ার সমাধি মসজিদের পাশে এই স্থানটি অবস্থিত।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বাবা নারায়নদাস এই নরসিংহদেবের প্রাচীন বিগ্রহটি পাকিস্তান থেকে বহু কষ্টে ভারতে নিয়ে আসেন। ও হরিদ্বারে এই বিগ্রহ টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে শ্রী সম্প্রদায়ী বৈষ্ণব গণের দ্বারা মন্দিরের সেবা পরিচালিত হচ্ছে।
এই বিগ্রহ টি প্রহ্লাদ মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত প্রথম নৃসিংহদেব বিগ্রহ। প্রহ্লাদ মহারাজ চারটি স্থানে নরসিংহ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন ১) অহোবিলম ২) সীমাচলম ৩) হরপাপম ৪) কৃতশৌচম
অহোবিলম:- বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে কুর্নুল জেলার নান্ডিয়ালে অবস্থিত। এখানে হিরণ্যকশিপুর সভাস্তম্ভ ভেঙ্গে নরসিংহ দেব প্রকট হন।
সীমাচলম:- বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাখাপত্তনমের কাছে অবস্থিত। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্রে ফেলে দিলে প্রহ্লাদ মহারাজ অনুভব করেন যে ভগবান তাকে হাতে করে নামাচ্ছেন। এখানে তিনি দ্বিতীয়বার নরসিংহ দেবের দর্শন লাভ করেন।
হরপাপম:- বর্তমানে পাকিস্তানের মূলতানে অবস্থিত। প্রহ্লাদ মহারাজ পূর্বজন্মে এখানে বাসুদেব নামে জন্মগ্রহণ করেন। ও নৃসিংহচতুর্দশীব্রত করে নৃসিংহ দেবের দর্শন লাভ করেন।
কৃতশৌচম:- এই স্থানটির অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।
মূলতানে প্রহ্লাদপুরী ও নরসিংহ মন্দির
ইসলাম আক্রমনের সময়কালে মুলতানের সুবিখ্যাত সূর্য মন্দিরের মতো এই মন্দির টিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পাঞ্জাব কেশরী রঞ্জিত সিং এর নেতৃত্বে শিখ রা এই স্থানের দখল নিলে শেষবারের মতো ১৮১০ খ্রীঃ এ এই স্থান ও মন্দির টির সংস্কার হয়। দেশভাগের পর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় দ্বারা এই স্থানটি
রক্ষণাবেক্ষণ করা হত।
১৯৯২ সালে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের পর এই স্থান টিকে সম্পূর্ন রূপে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে আবর্জনা ফেলার ভ্যাট হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। বহু হিন্দু সংখ্যালঘু সংগঠনের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকার কে বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও কোন সংস্কার করা সম্ভব হয় নি। মূলতানে বাহাউদ্দিন জাকারিয়ার সমাধি মসজিদের পাশে এই স্থানটি অবস্থিত।
Multan Prahladpuri Temple Before 1992 (source:- internet) |
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বাবা নারায়নদাস এই নরসিংহদেবের প্রাচীন বিগ্রহটি পাকিস্তান থেকে বহু কষ্টে ভারতে নিয়ে আসেন। ও হরিদ্বারে এই বিগ্রহ টি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে শ্রী সম্প্রদায়ী বৈষ্ণব গণের দ্বারা মন্দিরের সেবা পরিচালিত হচ্ছে।
শ্রী নৃসিংহদেব বিগ্রহ
প্রহ্লাদ মহারাজ প্রতিষ্ঠিত এই নৃসিংহদেব বিগ্রহটি শ্বেতবর্ণের তিনি দুই হাতে হিরন্যকশিপুর উদর বিদারন করছেন। নীচে দুপাশে লক্ষ্মীদেবী ও প্রহ্লাদ মহারাজ আছেন।
প্রহ্লাদ মহারাজ প্রতিষ্ঠিত এই নৃসিংহদেব বিগ্রহটি শ্বেতবর্ণের তিনি দুই হাতে হিরন্যকশিপুর উদর বিদারন করছেন। নীচে দুপাশে লক্ষ্মীদেবী ও প্রহ্লাদ মহারাজ আছেন।
Narsingh dev |
পদ্মপুরাণে প্রহ্লাদ মহারাজের পূর্বজন্মে নরসিংহ দেবের দর্শন লাভ
পদ্মপুরাণ উত্তরখন্ড ১৭৪ অধ্যায় এ এই স্থানে নৃসিংহ ক্ষেত্রের উল্লেখ আছে। (পদ্ম মহাপুরানে উত্তরখন্ডে উমা মহেশ্বর সংবাদে নৃসিংহতীর্থ বর্ণন নাম ১৭৪ অধ্যায়ে)
তস্যাঃ সমীপে নগরং বর্ততেহদ্যাপি সুন্দরি।
মৌলিস্তানেতিবিখ্যাতং সর্বদা দেবনির্মিতং।। ৯০
প্রতিশব্দো ভবেত্তত্র সিন্ধুনদ্যাঃ সমীপতঃ।
কলৌ যুগে তু সংপ্রাপ্তে ম্লেচ্ছা বৈ পাপচারিণঃ।। ৯২
সিন্ধৌ গত্বা বিশেষেণ স্নানং কুর্বন্তি যে জনাঃ।
মুচ্যন্তে নাত্র সন্দেহঃ শ্রীনৃসিংহপ্রসাদতঃ।। ৯৫
একমেব পরং তীর্থং নৃসিংহাখ্যং সুবিস্তরম।
যচ্ছ্রুত্বা মুচ্যতে পাপান্নরঃ সদ্যো ন সংশয়ঃ।।১০০
অনুবাদ:- সেখানে অতি পবিত্র সিন্ধু নদী অবস্থিত। হে সুন্দরী(পার্বতী) সেই নদীর তীরে একটি দেব নির্মিত নগরী আছে, যার নাম মৌলিস্থান। সেখানে হারীত ও লীলাবতী বাস করত। কিন্তু যখন কলিযুগ এর প্রাবল্য হবে অনেক পাপী ম্লেচ্ছ রা এখানে বসবাস করবে। সিন্ধু তীরে গিয়ে যে সিন্ধু নদীর জলে স্নান করে অবশ্য ই সে নৃসিংহ দেবের কৃপায় মুক্ত হয়।এই একমাত্র নরসিংহ ক্ষেত্র আছে যা সিন্ধুনদের তীরে বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে অবস্থিত। যার নাম শ্রবণে জীব সর্ব পাপ মুক্ত হয়।
স্থান মাহাত্ম্য
পদ্মপুরাণে বর্ণনা আছে হিরণ্যকশিপু বধের পর প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান নরসিংহ দেবের কাছে জানতে চান হে ভগবান দৈত্য কুলে জন্ম গ্রহণ করেও কিভাবে আমি আপনার ভক্ত হলাম তা আমাকে আপনি বলুন। তখন নৃসিংহদেব বলেন এর আগের জন্মে তুমি বাসুদেব নামে এক ব্রাহ্মণের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছিলে। তুমি শিক্ষা গ্রহন, বিদ্যাভ্যাস কিছুই করোনি ও সমস্ত প্রকারের পাপ কর্মে তোমার রুচি ছিল। কিন্তু নৃসিংহ ব্রতের কারণে তুমি আমার প্রতি ভক্তি লাভ করেছিলে।
শ্রী নৃসিংহ দেব বর্ণনা করেন যে পূর্বে ব্রহ্মা এই ব্রত করে সৃষ্টি কার্য্য করার যোগ্যতা অর্জন করেন। ত্রিপুরাসুর কে বধ করার জন্য মহাদেব এই ব্রত করেন। বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশী তে এই ব্রত পালনের নিয়ম। ভারতের পশ্চিম প্রদেশে সিন্ধু তীরে মৌলিস্তান নামক স্থানে হারীত নামে এক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ বাস করত। তার স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত পূণ্যবতী লীলাবতী। তারা বহদিন ধরে সেখানে তপস্যা করে। তাদের তপস্যায় ভগবান নৃসিংহ দেব সেখানে প্রকট হন। তাদের তিনি বরদান করতে চাইলে তারা তাকে তাদের পুত্র রূপে প্রার্থনা করে। তখন তিনি তাদের বলেন তোমাদের ইচ্ছা অবশ্যই পূর্ণ হবে। কিন্তু ভগবান জন্মাদি রহিত। তাই গর্ভ থেকে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন না। তবে তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য তিনি বিগ্রহ রূপে এখানে অবস্থান করবেন। তখন থেকে সেই তীর্থে ভগবান নরসিংহ দেব অবস্থান করেন।
একদিন ব্রাহ্মণ বাসুদেবের সঙ্গে ধন সম্পত্তি নিয়ে বেশ্যা দের ঝগড়া হয়। রাগ করে বাসুদেব এখানে এসে সেই নৃসিংহ মন্দিরে বসে থাকে। সেই দিন বৈশাখ শুক্লা চতুর্দশী ছিল, সারাদিন তার উপবাস, স্ত্রীসঙ্গ বর্জন হয়ে যায়। সেদিন রাতে সর্প দংশনে তার মৃত্যু হলে নৃসিংহদেবের কৃপায় পরবর্তী জন্মে ভক্ত দেহ লাভ হয়।
প্রহ্লাদ মহারাজ পরবর্তী কালে সেই নরসিংহ দেবের মন্দির বানিয়ে দেন। অভিষেক করে নরসিংহ দেব কে প্রতিষ্ঠা করেন।
পদ্মপুরাণে বর্ণনা আছে হিরণ্যকশিপু বধের পর প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান নরসিংহ দেবের কাছে জানতে চান হে ভগবান দৈত্য কুলে জন্ম গ্রহণ করেও কিভাবে আমি আপনার ভক্ত হলাম তা আমাকে আপনি বলুন। তখন নৃসিংহদেব বলেন এর আগের জন্মে তুমি বাসুদেব নামে এক ব্রাহ্মণের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছিলে। তুমি শিক্ষা গ্রহন, বিদ্যাভ্যাস কিছুই করোনি ও সমস্ত প্রকারের পাপ কর্মে তোমার রুচি ছিল। কিন্তু নৃসিংহ ব্রতের কারণে তুমি আমার প্রতি ভক্তি লাভ করেছিলে।
শ্রী নৃসিংহ দেব বর্ণনা করেন যে পূর্বে ব্রহ্মা এই ব্রত করে সৃষ্টি কার্য্য করার যোগ্যতা অর্জন করেন। ত্রিপুরাসুর কে বধ করার জন্য মহাদেব এই ব্রত করেন। বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশী তে এই ব্রত পালনের নিয়ম। ভারতের পশ্চিম প্রদেশে সিন্ধু তীরে মৌলিস্তান নামক স্থানে হারীত নামে এক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ বাস করত। তার স্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত পূণ্যবতী লীলাবতী। তারা বহদিন ধরে সেখানে তপস্যা করে। তাদের তপস্যায় ভগবান নৃসিংহ দেব সেখানে প্রকট হন। তাদের তিনি বরদান করতে চাইলে তারা তাকে তাদের পুত্র রূপে প্রার্থনা করে। তখন তিনি তাদের বলেন তোমাদের ইচ্ছা অবশ্যই পূর্ণ হবে। কিন্তু ভগবান জন্মাদি রহিত। তাই গর্ভ থেকে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন না। তবে তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য তিনি বিগ্রহ রূপে এখানে অবস্থান করবেন। তখন থেকে সেই তীর্থে ভগবান নরসিংহ দেব অবস্থান করেন।
একদিন ব্রাহ্মণ বাসুদেবের সঙ্গে ধন সম্পত্তি নিয়ে বেশ্যা দের ঝগড়া হয়। রাগ করে বাসুদেব এখানে এসে সেই নৃসিংহ মন্দিরে বসে থাকে। সেই দিন বৈশাখ শুক্লা চতুর্দশী ছিল, সারাদিন তার উপবাস, স্ত্রীসঙ্গ বর্জন হয়ে যায়। সেদিন রাতে সর্প দংশনে তার মৃত্যু হলে নৃসিংহদেবের কৃপায় পরবর্তী জন্মে ভক্ত দেহ লাভ হয়।
প্রহ্লাদ মহারাজ পরবর্তী কালে সেই নরসিংহ দেবের মন্দির বানিয়ে দেন। অভিষেক করে নরসিংহ দেব কে প্রতিষ্ঠা করেন।
Narsingh Dham temple, Haridwar |
কিভাবে যাবেন:- হরিদ্বার স্টেশনের কাছেই এই স্থানটি অবস্থিত। হরিদ্বার স্টেশন থেকে
ও হর কি পৌরী ঘাট থেকে ১০ মিনিট হাঁটা পথ, কি.মি দূরে। নরসিংহ ধাম মন্দির নামে পরিচিত।
ও হর কি পৌরী ঘাট থেকে ১০ মিনিট হাঁটা পথ, কি.মি দূরে। নরসিংহ ধাম মন্দির নামে পরিচিত।
Google Map direction