Krishna in veda and upanishad

Krishna in veda and upanishad

                      স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ
ঐশ্বর্য বিচারে বিষ্ণু ও কৃষ্ণে কোনও ভেদ নাই। কিন্তু মাধুর্য্যবিচারে বিষ্ণু র থেকে কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ। তাই বিষ্ণু র থেকেও পরমতত্ত্ব একজন আছেন যিনি হলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।বেদ বেদান্ত পরব্রহ্মের লক্ষন নির্নয় করেছে যার থেকে সমস্ত জীবাত্মা ও জগত সৃষ্টি হয়।
 যতো বা ইমানি ভূতানি জায়ন্তে
স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ নিজে জগত সৃষ্ট্যাদি কাজ করেন না। বিষ্ণু র দ্বারা সেসব করেন। তাহলে তিনি স্বয়ং ব্রহ্ম হন কি করে? জগত সৃষ্টির কারনের ও যিনি কারন, সেই বিষ্ণু যার থেকে উৎপন্ন হয় তিনি হলেন কৃষ্ণ।
আর বেদান্তে পরব্রহ্মের অন্য যে সকল লক্ষন বলা হয়েছে সে গুলি একমাত্র কৃষ্ণের মধ্যে আছে।
তৈত্তীরিয় ২/৭
রসো বৈ সঃ। রসং হি এবায়ং লব্ধানন্দী ভবতি।
পরব্রহ্ম রসস্বরূপ, শুধু তাই নয় তিনি রসপ্রদাতা ও জীব সেই রস কে লাভ করে আনন্দ লাভ করে।
বৃহদারণ্যক ২/৫/১২
ইদং সত্যং সর্বেষাং ভূতানাং মধ্বস্য সত্যস্য সর্বাণি ভূতানি মধূ। সর্বজীব এই আনন্দ স্বরূপ বস্তুরই অংশমাত্র উপজীবিকা রূপে লাভ করেছে।
বৃহদারণ্যক ২/৫/১৪
অয়মাত্মা সর্বেষাং ভূতানাং মধ্বস্যাত্মনঃ সর্বানি ভূতানি মধূ।
বৃহদারণ্যক ৪/৩/৩২
আনন্দ ব্রহ্মেতি ব্যাজানাৎ তৈত্তীরিয় ৩/৬
আনন্দময়োহভ্যাসাৎ ব্রহ্মসূত্র ১/১/১২

বিষ্ণু র মধ্যে ঐশ্বর্য্য রয়েছে। ঐশ্বর্য্যে সম্ভ্রম জন্মায়।
মাধুর্য্যেই রস জন্মায়।
খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে চতুর্ভূজ শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম ধর বিষ্ণু মূর্তি দেখলে সম্ভ্রমে প্রনাম করি। গোপাল মূর্তি দেখলে আমার আদরের গোপাল এরকম ভাব জন্মায়। এই হচ্ছে রস। যা বিষ্ণু তত্ত্বে প্রাপ্য নয়।
বেদের জ্ঞান এতদূর পৌছাতে পারেনা। তা ভাগবতের দশম স্কন্দে শ্রুতি স্তুতি অধ্যায় থেকে জানা যায়। কিন্তু শ্রুতি মন্ত্র কৃষ্ণ তত্ত্ব সম্পর্কে যদি কিছু না বলে তবে বেদের জ্ঞান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই কৃষ্ণ সম্পর্কে সামান্য কিছু দিগদর্শন করেছে।

১) ঋগ্বেদে শ্রী কৃষ্ণের কথা
ঋগ্বেদ ১ম মন্ডল ১৫৪ সূক্ত ৬ ঋক
তা বাং বাস্তূন্যুশ্মসি গমধ্যৈ যত্র গাবো ভূরিশৃঙ্গা অয়াসঃ।
অত্রাহ তদুরুগায়স্য বৃষ্ণ পরমং পদমবভাতি ভূরি।।
ভাগবতের ১০/৮৭/১৮ শ্লোকের বৃহদবৈষ্ণব তোষণী টীকায় সনাতন গোস্বামী এই ঋকের যে ব্যাখ্যা করেছেন
অস্য অর্থঃ তা তানি, বাং যুবয়োঃ, বাস্তূনি গৃহাণি গৃহোচিতস্থানানিবা, গমধ্যৈ প্রাপ্তয়ে, উশ্মসি কাময়ামহে। তানি কানি? যত্র যেষু বাস্তুষু সদ্মষু ভূরিশৃঙ্গাঃ সুন্দরশৃঙ্গ্যো গাবঃ অয়াসঃ সর্বসুখদাঃ অত্র বাস্তুষু, অহ স্ফুটং তদনির্বচনীয়ং পদং শ্রীনন্দগৃহম,  উরুগায়স্য বৃষ্ণঃ সর্বকামবর্ষণস্য ভূরি যথা স্যাত্তথাবভাতি, সদা নিত্যতয়া বর্ততে।
তোমাদের উভয়ের (রাধাকৃষ্ণ যুগলের) গৃহসমূহে স্থান পাওয়ার জন্য আকাঙ্ক্ষা করি যে সকল গৃহে সুন্দর শৃঙ্গবিশিষ্ট গাভী গন সর্ব প্রকার সুখ দান করে সেই ধামে প্রচুরকীর্তীশালী সর্বকামনাবর্ষণশীল শ্রীকৃষ্ণের নিজধাম (নন্দগৃহ) বহুভাবে সর্বদা নিত্য প্রকাশিত।
মহাভারতের টীকাকার শ্রীনীলকন্ঠসূরী ও হরিবংশের বিষ্ণুপর্বে ১৯/৩৫ শ্লোকের টীকায় এই ঋকের কৃষ্ণপর ব্যাখ্যা করেছেন।
সায়নাচার্য্য ভাষ্য:-
সায়নভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:- যে সকল সুখের স্থানে ভূরিশৃঙ্গ বিশিষ্ট ও ক্ষিপ্রগামী গোসমূহ বিচরণ করে সেই সকল স্থানে গমনের জন্য তোমাদের উভয়ের কাছে প্রার্থনা করি। এই সকল স্থানে বহুলোকের স্তুতিযোগ্য, অভীষ্টবর্ষী বিষ্ণুর পরমপদ স্ফূর্তি প্রাপ্ত হচ্ছে। বা এই সকল স্থান ই বিষ্ণুর পরম ধাম।

২) হরিবংশের  বিষ্ণুপর্বের ১৮/১ শ্লোকের টীকায় শ্রী নীলকন্ঠ সূরী ঋগ্বেদের ১/১৫৬/৪ ঋকের ব্যাখ্যা করেছেন।
তমস্য রাজা বরুণস্তমশ্বিনা ক্রতুং সচন্ত মারুতস্য বেধসঃ।
দাধার দক্ষমুত্তমমহর্বিদং ব্রজঞ্চ বিষ্ণুঃ সখিবাঁ অপোর্ণুতে।।
 নীলকন্ঠ কৃত টীকা:- অস্যবিষ্ণোস্তং পর্বতার্থং কৃতং স্বং স্বেন সম্পাদিতং ক্রতু যজ্ঞং বরুণোহশ্বিনৌ চ সচন্ত অন্বমোদন্ত মারুতস্তস্য বায়োরপি বেধসঃ স্রষ্টুঃ,  ততশ্চ স্বমখভঙ্গে কৃতে ইন্দ্রে কুপিতে সতি বিষ্ণুঃ উত্তমং শ্রেষ্ঠ দক্ষং বৃষ্টিনিবারনক্ষমম অহর্বিদং ক্রতোর্লব্ধারং পর্বতং দাধার দধার ধৃতবান। যতঃ সখিবান মহান ব্রজাখ্যসখিসমুদায়বান ব্রজম অপোর্ণুতে তেনার্হবিদা শৈলেন আচ্ছাদয়তীতি।
নীলকন্ঠ কৃত ব্যাখ্যা র অনুবাদ:- এই বিষ্ণু র সেই পর্বতের উদ্দেশ্যে স্বসম্পাদিত যজ্ঞ বরুণ ও অশ্বিণীকুমারদ্বয় অনুমোদন করলেন। সেই বিষ্ণু বায়ুর ও স্রষ্টা। তখন নিজের যজ্ঞ হওয়ায় ইন্দ্র ক্রুদ্ধ হলে বিষ্ণু বৃষ্টি নিবারনে সমর্থ,  শ্রেষ্ঠ ও যজ্ঞে নিবেদিত নৈবেদ্য প্রাপ্ত পর্বতকে তিনি উচ্চে ধারণ করলেন। যাহাতে তিনি ঐ যজ্ঞভোক্তা পর্বত দ্বারা সমস্ত স্বজন বর্গের সহিত ব্রজকে আচ্ছাদন করলেন। 

৩) এই সমস্ত শ্লোকে তো বিষ্ণু শব্দ রয়েছে কৃষ্ণ নাম নেই। এইরূপ পূর্বপক্ষের উত্তর।
ভাগবতমেও অনেকসময় কৃষ্ণ কে বোঝাতে বিষ্ণু শব্দ ব্যাবহার হয়েছে যথা
বিক্রীড়িতং ব্রজবধূভিরিদঞ্চ বিষ্ণোঃ (ভাঃ১০/৩৩/৩৯)। যেমন প্রহ্লাদজী বলছেন
মতির্ন কৃষ্ণে পরতঃ স্বতো বা (ভাঃ৭/৫/৩০) আবার পরের শ্লোকেই বলছেন ন তে গতি স্বার্থগতিং হি বিষ্ণুম (ভাঃ৭/৫/৩১)
কারন কৃষ্ণেরই আরেক নাম বিষ্ণু। তাই এখানে বিষ্ণু শব্দে কৃষ্ণ কেই বোঝায়। বিষ্ণু রাসলীলাদি, গোবর্ধন ধারনাদি করেন না।
লঘু ভাগবতামৃত ১৫৯ শ্লোকে বলা হয়েছে বিষ্ণু, মাধব, কেশব, দামোদর, অধোক্ষজ এগুলি  নারায়ণের নাম হলেও ভিন্ন ভিন্ন কারনে কৃষ্ণের ও নাম। বিষ্ণু র অবতার বলে এসব নাম কৃষ্ণের জন্য ব্যাবহৃত হয় এরকম নয়।
বসুদেবের পুত্র বলে তার নাম বাসুদেব।
মধুর বংশে জন্ম তাই নাম মাধব।
বৃষ্ণি বংশে জন্ম বলে কৃষ্ণের আরেক নাম বিষ্ণু। বা
মৃত্তিকা ভক্ষন লীলায় যশোদা কৃষ্ণের মুখে সমস্ত জগত কে দর্শন করেছিল সর্বত্র ব্যাপ্ত থাকার জন্য ব্রজবাসী রা কৃষ্ণের বিষ্ণু নামকরন করে।
উদরে দাম বন্ধনের জন্য নাম দামোদর।
পুতনা বধের পর রাক্ষসী পূতনার কোলে শিশু কৃষ্ণকে ফিরে পেয়ে সকল ব্রজবাসীরা বলেছিল ভগবানের অসীম করুনায় এই শিশু জীবন ফিরে পেয়েছে। তাই পূনর্জন্ম হয়েছে বলে তার নাম অধোক্ষজ।  গো গনের অধিপতি বলে ইন্দ্রমানভন্জন লীলার পর ইন্দ্র তার গোবিন্দ নাম করন করেন।
কিন্তু লক্ষ্মীপতি বিষ্ণু র ও নাম দামোদর।  কাঞ্চীশোভিতমধ্যত্বং দামোদরত্বম।(ল.ভা)
দাম অর্থাৎ ইন্দ্রিয় সংযমের দ্বারা উদর অর্থাৎ শুদ্ধ মনে যাকে জানা যায় তিনি দামোদর।  মহাভারত ৫/৬৮/৮। দাম মানে ত্রিভূবন যার উদরে অবস্থিত তাই বিষ্ণু র এক নাম দামোদর
দামানি লোকনামানি তানি যস্যোদরান্তরে।
তেন দামোদরো দেবঃ শ্রীধরস্তু রমাশ্রিতঃ।। বিষ্ণু সহস্রনাম ৫৩ শ্লোক শঙ্করভাষ্য।
লক্ষ্মীপতিত্বং মাধবত্বং। (ল.ভা) মা(লক্ষ্মী) র ধব(স্বামী) তাই বিষ্ণু র ও নাম মাধব। ইন্দ্রিয়ের অধিপতি বলে বিষ্ণু র ও এক নাম গোবিন্দ।
কিন্তু কৃষ্ণ, গোপীজনবল্লভ, গোপীনাথ, রাধাকান্ত, ব্রজবিহারী শ্যামসুন্দর ইত্যাদি নাম কৃষ্ণেরই এগুলি দ্বারা বিষ্ণুকে বোঝায় না।
সাম ১৬৮৮ বিষ্ণু গোপা

৩) ঋগ্বেদ ১ম মন্ডল ১৬৪ সূক্ত ৩১ ঋক
অপশ্যং গোপাম অণিহপদ্যমানমা চ পরা চ পথিভিশ্চরন্তম্।
স সধ্রীচীঃ স বিষুচীর্বসান আবরীবর্তি ভুবনেষ্বন্তঃ।।
ভক্তিবিনোদ ঠাকুর কৃত অনুবাদ:- দেখিলাম এক গোপাল, তার কখনও পতন নাই, কখনো নিকটে কখনো দূরে নানা পথে তিনি ভ্রমন করছেন, তিনি কখনো বহু বস্ত্রাবৃত, কখনো পৃথক পৃথক বস্ত্রাচ্ছাদিত, এই রূপে তিনি বিশ্বসংসারে পুনঃ পুনঃ ভ্রমন করছেন।
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:- আমি এই রক্ষণশীল অবিষন্ন আদিত্যকে অন্তরীক্ষে আগমন ও প্রত্যাগমন করতে দেখি, আদিত্য সহগামী, ও সর্ব্বত্রগামী, কিরণমালায় আচ্ছাদিত হয়ে ভুবনসমূহে পুনঃ পুনঃ আবর্ত্তন করছেন।
সায়ন ভাষ্য:- অহং গোপাং সর্ব্বস্য লোকস্য বৃষ্টিপ্রকাশাদিনা গোপয়িতারং অনিপদ্যমানং কদাচিদপ্যবিষণ্ণং তথা পথিভিঃ বিচিত্রৈঃ মার্গৈরন্তরিক্ষরূপৈরাচরন্তং চ পরাচরন্তং চ উদয়প্রভৃত্যা মধ্যাহ্নমাগচ্ছন্তং মধ্যাহ্নপ্রভৃত্যা সায়ং পরাঙ্মুখং গচ্ছন্তং এবং মহানুভাবমাদিত্যং অপশ্যং যাথাত্ম্যেন পশ্যেয়ং। কিঞ্চ স আদিত্যঃ সধ্রীচী সহাঞ্চতীঃ বিষূচীঃ বিষ্বগঞ্চতীঃ রাত্রাবপি চন্দ্রভৌমাদিত্যানাং প্রকাশয়িত্রীঃ ত্বিষো বসানঃ আচ্ছাদয়ন ভূবনেষু ভূবনৈকদেশেষু লঙ্কাদিপ্রদেশেষু অন্তর্মধ্যে অবরীবর্ত্তি উদয়াস্তময়ং কুর্ব্বন পুনঃপুনরাবর্ত্ততে তমপশ্যামিত্যর্থঃ। এষ বৈ গোপা এষ হীদং সর্ব্বং গোপায়তীত্যাদ্যস্মদ্ব্রাহ্মণম।  অপশ্যং গোপামিত্যাহ অসৌ বা আদিত্যো গোপাঃ স হীমাঃ প্রজা গোপায়তীত্যাদি তৈত্তীরিয়কং বা দ্রষ্টব্যং

                           উপনিষদে কৃষ্ণ তত্ত্ব
২)ছান্দোগ্য উপনিষদে ৩/১৭/৬
তদ্ধৈতদ্ ঘোর আঙ্গিরসঃ কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায় উক্ত্বা উবাচ। অপিপাস এব স বভূব। সোহন্তবেলায়ামেতত্রয়ং প্রতিপদ্যেত। অক্ষিতমস্যচ্যুতমসি প্রাণসংশিতমসীতি।  তত্রৈতে দ্বে ঋচৌ ভবতঃ
মূল উপনিষদে কিন্তু কৃষ্ণ যে ঘোর আঙ্গিরসের শিষ্য। তার কোনো উল্লেখনেই। শঙ্করাচার্য্য তার ভাষ্যব্যাখ্যায় বলেছেন "কৃষ্ণায় দেবকীপুত্রায় শিষ্যায়"। তাই থেকে অনেক পন্ডিতেরাও তাই ধারনা করেন। কিন্তু "দেবকীপুত্র কৃষ্ণ" কৃষ্ণের পরিচয়ের জন্য এটাইকি যথেষ্ট নয়?
রঙ্গরামানুজাচার্য্য তার ছান্দোগ্য উপনিষদের ভাষ্যে এই মন্ত্রের যে ব্যাখ্যা করেছেন তা দেওয়া হল।
স ঘোরনামা ভগবচ্ছেষত্বানুসন্ধানপূর্বক পুরুষ যজ্ঞোপাসনানুষ্ঠানেন ব্রহ্মবিদ্যাং প্রাপ্যাপিপাসো মুক্তো বভূবেত্যর্থঃ। ততশ্চ ষোড়শাধিকবর্ষশতজীবন
ফলকস্যাপি পুরুষযজ্ঞদর্শনস্য ভগবচ্ছেষত্বানুসন্ধান পূর্বকমনুষ্ঠিতস্য ব্রহ্মবিদ্যোপযোগীত্বমপ্যস্তীতি ভাবঃ। স বভূবেত্যস্য স ভবতীত্যর্থঃ। সোহন্তবেলায়ামিত্যত্র স ইত্যস্য য ইত্যর্থঃ। ততশ্চ যোহন্ত বেলায়ামেতত্রয়ং প্রতিপদ্যেত সোহপিপাসো ভবতীত্যুবাচেত্যুত্তরত্রাণ্বয়ঃ। স ভগবচ্ছেষত্বানুসন্ধান পূর্বকপুরুষবিদ্যাসাধিত চিরায়ুষ্ট্বানুগৃহীত ব্রহ্মবিদ্যানিষ্ঠ পুরুষঃ। মরণকাল এতন্মন্ত্রত্রয়ং জপেদিত্যর্থঃ।  তত্র পরব্রহ্মবিষয় এতাবৃঙ্মন্ত্রৌ ভবতঃ।।
টীকার অনুবাদ:- পুরুষযজ্ঞদ্রষ্টা অঙ্গিরস গোত্রীয় ঘোর নামক ঋষি দেবকীনন্দন শ্রীকৃষ্ণের প্রীতীর জন্য এই ব্রহ্মবিদ্যা অনুসন্ধান করে সেই পুরুষযজ্ঞের অনুষ্ঠান করেছিলেন। সেই ঘোর নামক ঋষি ভগবানের শেষত্ব অনুসন্ধান করে পুরুষযজ্ঞোপাসনা দ্বারা নিশ্চই নিবৃত্ততর্ষ বা জড়তৃষ্ণামুক্ত হয়েছিলেন। অন্তিমকালে যিনি এই মন্ত্রত্রয়ের শরণ নেয় তিনি মুক্ত হন। প্রয়াণকালে এই তিন মন্ত্র জপ কপা কর্তব্য হে পরব্রহ্ম তুমি অক্ষয়, তুমি অচ্যুত, তুমি প্রাণের থেকেও প্রিয়তম। এই বিষয়ে দুটি ঋক আছে।
মাধ্বাচার্য্য ও এই মন্ত্রের ভাষ্যে অঙ্গিরস গোত্রীয় ঘোর নামক মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি যে দিব্য সূরী গনের প্রার্থিত পরম পদ দেবকীনন্দন শ্রীকৃষ্ণের কথা বলছেন তা দেখিয়েছেন।
৩) ছান্দোগ্য উপনিষদে ৮/১৩/১
শ্যামাচ্ছবলং প্রপদ্যে শবলাচ্ছ্যামং প্রপদ্যে
আমি শ্যাম হইতে শবলকে (বৈচিত্রী) ও বৈচিত্রী হইতে শ্যামকে প্রাপ্ত হই।
৪) অথর্বশির উপনিষদে
বিষ্ণু দেবত্যা কৃষ্ণাবর্নেন যস্তাং ধ্যায়তে নিত্যং স গচ্ছেদ বৈষ্ণবং পদম /৫
৫) নারায়ণোপনিষদে
ব্রহ্মণ্যো দেবকীপুত্র ব্রহ্মণ্যো মধুসূদনঃ
ব্রহ্মণ্যো পুন্ডরীকাক্ষো ব্রহ্মণ্যো বিষ্ণুরুচ্যতে /৪
৬) স তত্র পর্য্যেতি জক্ষৎ ক্রীড়ণ রমমানঃ স্ত্রীভির্বা যানৈর্বা জ্ঞাতিভির্বা (ছান্দোগ্য ৮/১২/৩)
অনুবাদ:- তিনি সেখানে স্ত্রী বন্ধু আত্মীয় গনের সাথে হাস্য ক্রীড়া রমন করত বিহার করেন।
৭) নীলং পরঃ কৃষ্ণ ছান্দোগ্য ১/৬/৫ শ্যামসুন্দর কৃষ্ণ
Next >>>