Kali santaran upanishad | vaishnav upanishad

Kali santaran upanishad | vaishnav upanishad

 Kali santaran upanishad is a part of atharva veda.             

                     ॥ কলিসন্তরণোপনিষদ॥
 (কৃষ্ণযজুর্বেদীয়) ওঁ সহ নাববতু । সহ নৌ ভুনক্তু । সহ বীর্যঙ্করবাবহৈ । তেজস্বিনাবধীতমস্তু মা বিদ্বিষাবহৈ । ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ
 অনুবাদ:- আমরা দুজনেই একসাথে পরমাত্মার দ্বারা  রক্ষিত হই। দুজনেই একসাথে আনন্দ প্রাপ্ত হই। দুজনে একসাথে নিজেদের সামর্থ্য (বীর্য্য) বর্ধন করি। শাস্ত্র অধ্যয়ণ করে তেজস্বী হই। নিজেদের মধ্যে যেন বিদ্বেষের ভাব না থাকে।
        ।। ভগবন্নামস্মরণমাত্রেণ কলিসন্তরণম ।।
হরিঃ ওঁ । দ্বাপরান্তে নারদো ব্রহ্মাণং জগাম কথং ভগবন্ গাং পর্যটন্ কলিং সন্তরেয়মিতি । স হোবাচ ব্রহ্মা সাধু পৃষ্টোঽস্মি সর্বশ্রুতিরহস্যং গোপ্যং তচ্ছৃণু য়েন কলিসংসারং তরিষ্যসি । ভগবত আদিপুরুষস্য নারায়নস্য নামোচ্চারণমাত্রেণ নির্ধৃতকলির্ভবতীতি   ॥১॥
অনুবাদ:- হরিঃ ॐ দ্বাপরের শেষে অর্থাৎ কলিযুগের প্রারম্ভে দেবর্ষি নারদ ত্রিভূবনে নানান স্থানে ঘুরতে ঘুরতে কলির প্রভাব দর্শন করে ব্রহ্মাজীর কাছে গেলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কি করে কলিযুগে কিভাবে জীব উদ্ধার পাবে?
তা শুনে ব্রহ্মাজী বললেন নারদ তুমি উত্তম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছো। তুমি সমস্ত বেদ এর সার বাক্য শোনো যার দ্বারা কলিযুগে জীব সংসার থেকে উদ্ধার পাবে। আদিপুরুষ ভগবান নারায়ণের নামোচ্চারন মাত্রেই কলিযুগে সমস্ত দোষ দূর হয়।
       ।। পরব্রহ্মাবরণাবিনাশক ষোড়শনামানি।।
নারদঃ পুনঃ পপ্রচ্ছ তন্নাম কিমিতি । স হোবাচ হিরণ্যগর্ভঃ । হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে । হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ॥ ইতি ষোডশকং নাম্নাং কলিকল্মষনাশনম্ । নাতঃ পরতরোপায়ঃ সর্ববেদেষু দৃশ্যতে ষোড়শকলাবৃতস্য জীবস্যাবরণবিনাশনম্ । ততঃ প্রকাশতে পরং ব্রহ্ম মেঘাপায়ে রবিরশ্মিমণ্ডলীবেতি॥২॥
অনুবাদ:-  তখন নারদজী পুনঃ প্রশ্ন করলেন সেই নাম কি? তখন হিরণ্যগর্ভ ব্রহ্মাজী বললেন
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
এই প্রকার ষোল নাম বত্রিশ অক্ষর মন্ত্র কলিযুগে সমস্ত দোষ নাশ করে। চারিবেদে এরচেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো উপায় নেই। এই ষোলোঅক্ষর মন্ত্র উচ্চারনে জীবের ষোড়শকলা যুক্ত আবরণ বিনষ্ট হয়। বৃষ্টির পর যেমন মেঘ কেটে গিয়ে সূর্যরশ্মি প্রকাশিত হয় তেমন জীব ও পরব্রহ্মকে জানতে পারে।
                      ।। নামজপমহিমা ।।
 পুনর্নারদঃ পপ্রচ্ছ ভগবন্ কোঽস্য বিধিরিতি । তং হোবাচ নাস্য বিধিরিতি । সর্বদা শুচিরশুচির্বা পঠন্ ব্রাহ্মণঃ সলোকতাং সমীপতাং সরূপতাং সায়ুজ্যমেতি । যদাহস্য ষোড়শকস্য সার্ধত্রিকোটীর্জপতি তদা ব্রহ্মহত্যাং তরতি । তরতি বীরহত্যাম্ । স্বর্ণস্তেয়াত্ পূতো ভবতি । বৃষলীগমনাত্ পূতো ভবতি । পিতৃদেবমনুষ্যাণামপকারাত্ পূতো ভবতি । সর্বধর্মপরিত্যাগপাপাত্ সদ্যঃ শুচিতামাপ্নুয়াত্ । সদ্যো মুচ্যতে সদ্যো মুচ্যতে ইত্যুপনিষত্ ॥৩॥
অনুবাদ :- নারদজী তখন জিজ্ঞাসা করলেন হে ভগবন এই মন্ত্রের বিধান কি?
ব্রহ্মাজী বললেন এর কোনো বিধি নিয়ম নেই জীব শুদ্ধ বা অশুদ্ধ যেকোনো অবস্থায় এই ষোড়শাক্ষর মন্ত্র জপ করে পরব্রহ্মের সালোক্য, সারূপ্য, সামীপ্য, সাযুজ্য, মোক্ষ লাভ করতে পারে।
সার্ধত্রিকোটি জপে ব্রহ্মহত্যা পাপ থেকে মুক্ত হয়।
বীর হত্যা দোষ নাশ হয়। স্বর্ণ চুরি র পাপ থেকে মুক্ত হয়।  পিতৃপুরুষ,দেবতা বা কোনো মানুষের প্রতি কৃত অপরাধ থেকে মুক্ত হয়।সমস্ত ধর্ম কে পরিত্যাগ করে সে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ মুক্তি লাভ করে। ইহাই উপনিষদ বা পরমজ্ঞান।
 ওঁ সহ নাববতু । সহ নৌ ভুনক্তু । সহ বীর্যঙ্করবাবহৈ । তেজস্বিনাবধীতমস্তু মা বিদ্বিষাবহৈ । ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ।
        ।। ইতি শ্রীকলিসন্তরণোপনিষদ সম্পূর্ণম।।