Important verses from puran

Important verses from puran

গৌড়ীয় বৈষ্ণব সিদ্ধান্তে পুরাণ বচন সংগ্রহ
প্রধান পুরাণ গুলিতে রাধারাণীর উল্লেখ
চৈতন্যচরিতামৃতে আদিলীলা ৪/৮৩  রাধাতত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে একটি শ্লোক রয়েছে। পদ্মপুরাণ থেকে এই শ্লোকটি কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীপাদ উদ্ধার করেছেন।
গৌতমীয় তন্ত্রেও শ্লোকটি ভিন্ন রূপে পাওয়া যায়।
দেবী কৃষ্ণময়ী প্রোক্তা রাধিকা পরদেবতা।
সর্ব্বলক্ষ্মীময়ী সর্ব্বকান্তিঃ সম্মোহিনী পরা।।

পদ্মপুরান পাতালখন্ড ৫০ অধ্যায় ৫৩ শ্লোক
বহিরঙ্গৈঃ প্রপঞ্চস্য স্বাংশৈর্ম্মায়াদিশক্তিভিঃ।
অন্তরঙ্গৈস্তথা নিত্যং বিভূতৈস্তৈশ্চিদাদিভিঃ
গোপনাদুচ্যতে গোপী রাধিকা কৃষ্ণবল্লভা।।
দেবী কৃষ্ণময়ী প্রোক্তা রাধিকা পরদেবতা।
সর্ব্বলক্ষ্মী স্বরূপা সা কৃষ্ণাহ্লাদস্বরূপিণী।। ৫৩
ততঃ সা প্রোচ্যতে বিপ্র হ্লাদিনীতি মনীষিভিঃ।
তৎকলাকোটিকোট্যাংশাদুর্গাদ্যাস্ত্রিগুণাত্মিকা।। ৫৪
অনুবাদ:- কৃষ্ণপ্রিয়া রাধিকার নিজের অংশস্বরূপ এই জগৎপ্রপঞ্চের অন্তরঙ্গ মায়াদিশক্তি এবং জগদপ্রপঞ্চের অন্তর চিদাদি শক্তিদ্বারা গোপন অর্থাৎ রক্ষা করছেন বলে তার নাম গোপী।  তিনি কৃষ্ণময়ী বলে পরমদেবতা এই কারনে তিনি সর্বারাধ্যা।  তাই তাকে রাধিকা বলা হয়। তিনি সর্ব্বলক্ষ্মী স্বরূপা এবং কৃষ্ণের আনন্দরূপিনী। হে বিপ্র সেই কারনেই মণীষিগন তারে হ্লাদিনী বলে থাকেন। ত্রিগুণময়ী দূর্গা প্রভৃতি শক্তিগন তারই কোটিকলায় কোটি অংশের এক অংশ।
রাধিকাই কৃষ্ণের মূল শক্তি
পদ্মপুরান পাতালখন্ড ৪৬ অধ্যায় ৩৬ শ্লোক
রুক্মিণী দ্বারবত্যান্তু রাধা বৃন্দাবনে বনে। ৩৬
এই রাধিকাই দ্বারকায় রুক্মিণী ও বৃন্দাবন বনে রাধা
পঞ্চানন তর্করত্ন কৃত অনুবাদ এ পদ্মপুরাণ পাতালখন্ড  পৃঃ ৩৮৭

শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান 
পার্বত্যুবাচ
পরমং কারনং কৃষ্ণং গোবিন্দাখ্যং মহৎপদম
বৃন্দাবনেশ্বরং নিত্যং নির্গুণস্যৈবককারণম্।।
পার্বতী বললেন শ্রীকৃষ্ণ, যিনি গোবিন্দ বলেও খ্যাত তিনিই জগতের পরম কারণ, তিনিই মহৎপদ, বৃন্দাবনেশ্বর নিত্য, নির্গুন, ও এক কারণ।

মহাবিষ্ণু শ্রীকৃষ্ণের অংশ কলা 
পদ্মপুরাণ পাতালখন্ড ২৮ অধ্যায় 340
 কেচিদ্বদন্তি তস্যাংশং ব্রহ্ম চিদ্রূপমব্যয়ম।
 তদ্দশাংশং মহাবিষ্ণুং প্রবদন্তি মনীষিণঃ।। ১০৬
 কোনো পন্ডিতগণ চিদ্রূপী অদ্বয় ব্রহ্মকে তাহার অংশ বলে বর্ননা করেন, এবং পন্ডিতগন মহাবিষ্ণু কে তাহার দশমাংশ বলে থাকেন।
 
 ঈশ্বর উবাচ
 মধ্যে বৃন্দাবনে রম্যে মঞ্জুমঞ্জীরশোভিতে।
 যোজনাশ্রিততদবৃক্ষে শাখাপল্লবমন্ডিতে।। ৮৩
 তন্মধ্যে মঞ্জুভবনে যোগপীঠং সমুজ্জ্বলম।
 তদষ্টকোণনির্ম্মাণং নানাদীপ্তিমনোহরম।। ৮৪
 তস্যোপরি চ মাণিক্য রত্নসিংহাসনং শুভম।
 তস্মিন্নষ্টদলং পদ্মং কর্ণিকায়াং সুখাশ্রয়ম। ৮৫
 গোবিন্দস্য পরং স্থানং কিমস্য মহিমোচ্যতে।
 শ্রীমদগোবিন্দমন্ত্রস্থ বৈষ্ণব বৃন্দ সেবিতম।। ৮৬
 মহাদেব বললেন—যোজনব্যাপী বৃক্ষ সমূহ পরিব্যাপ্ত শাখা ও পল্লব ভূষিত মনোহর মঞ্জীর শোভিত রমণীয় বৃন্দাবনের মধ্যে মনোহর ভবনে সমুজ্জ্বল যোগপীঠ বিদ্যমান আছে তা অষ্টকোণে নির্ম্মিত নানাবিধ দীপ্তি দ্বারা মনোহর। তার উপরে মাণিক্য রত্নময় মনোহর সিংহাসন আছে তার উপরে অষ্টদল পদ্ম নির্মিত।  সেখানেই হরির কর্ণিকাস্থ সুখভবন, সেটিই গোবিন্দের পরমস্থান।  তার মহিমা আর কি বলবো? গোবিন্দ মন্ত্র যাদের আশ্রয় সেই বৈষ্ণব গণ দ্বারা তিনি সেবিত হন।

 সহস্রপত্র কমলং গোকুলাখ্যং মহৎপদম।।২৪
 কর্ণিকা তন্মহদ্ধাম গোবিন্দস্থানমুত্তমম।
 গোকুলনামক স্থানটি সহস্রদল পদ্মের আকৃতিবিশিষ্ট। তাহাই মহৎপদম বলে খ্যাত। ঐ পদ্মের উপরে সুবর্ণপীঠে মণিমন্ডপশোভিত গোবিন্দের যে উত্তমস্থান আছে, সেই উৎকৃষ্ট ধামই ঐ কমলের কর্ণিকা স্বরূপ।
 কর্ণিকাপর্ণবিস্তারং রহস্যক্রমমীরিতম।
 প্রধানং দ্বাদশারণ্যং মাহাত্ম্যং কথিতং ক্রমাৎ।।১৫

 বকুলং কুমুদং কাম্যং মধু বৃন্দাবনং তথা।। ১৬
 দ্বাদশৈতাবতী সংখ্যা কালিন্দ্যাঃ সপ্ত পশ্চিমে


 কর্ণিকাদলের ন্যায় বিস্তৃত এই দ্বাদশটি অরণ্য প্রধান বলে বিখ্যাত, তাদের মাহাত্ম্য  ক্রমে ক্রমে বলা হচ্ছে।
 ভদ্র শ্রী লৌহ ভান্ডীর মহাবন, তালবন, খদীরবন, বকুলবন, কুমুদবন, কাম্যবন, মধুবন, ও বৃন্দাবন।
 এই দ্বাদশ বনের মধ্যে সাতটি যমুনার পশ্চিমদিকে ও অপর পাঁচটি পূর্ব্বদিকে।

 ঋষিগণের গোপীদেহ লাভ
 পদ্ম পাতাল 360
 পাতালখন্ডে মথুরা মাহাত্ম্যে ৪২ অধ্যায়ে
 শ্রুতিচরী, ঋষিচরী গোপী 372

পদ্মপুরাণ পাতালখন্ড ৪২ অধ্যায়
ভগবানাহ মাঃ প্রীতঃ প্রসন্নবদনাম্বুজঃ।
গোপ্যাস্তু শ্রুতয়ো জ্ঞেয়া ঋচো বৈ গোপকন্যকাঃ
দেবকন্যাশ্চ রাজেন্দ্র তপোযুক্তা মুমুক্ষবঃ।
গোপালা মুনয়ঃ সর্ব্বে বৈকুন্ঠানন্দমূর্ত্তয়ঃ।। ৩২
কল্পবৃক্ষঃ কদম্বোহয়ং পরানন্দৈকভাজনম।
বনং নন্দনকাখ্যং হি মহাপাতকনাশনম্।। ৩৩
সিদ্ধাশ্চ সাধ্যা গন্ধর্ব্বাঃ কোকিলাদ্যা ন সংশয়ঃ।
কেচিদানন্দহৃদয়ং সাক্ষাদযমুনয়া তনুম্।। ৩৪
অনাদির্হরিদাসোহয়ং ভূধরো নাত্র সংশয়ঃ।

তখন প্রভূ প্রীত হয়ে প্রসন্নমুখে আমাকে বললেন— বৎস! গোপিকারা শ্রুতিভিন্ন কিছুই নয়।  আর সেই মন্ত্রসমূদয়ই গোপকন্যকা। আর তপস্যানিরত বৈকুন্ঠবাসী মুমুক্ষ মুনিরাই গোপবালক।  আর কল্পবৃক্ষই পরমানন্দাস্পদ কদম্ববৃক্ষ হয়েছে।  এবং সেই স্বর্গের নন্দন কাননকেই বৃন্দাবন দেখছ।  আর সিদ্ধ সাধ্য ও গন্ধর্ব্ব গনই কোকিলাদি মূর্ত্তি স্বীকার করেছে এতে কোন ও সন্দেহ নেই। জ্ঞানীরা সেই যমুনা কেই আনন্দময়ের মূর্ত্তি বলে থাকেন। এবং অনাদি বৈষ্ণব হরিদাসই এই গোবর্ধন হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
বেণুর উৎপত্তি
বেণুর্যঃ শৃণু তং বিপ্রং তবাপি বিদিতং তথা।। ৩৫
দ্বিজ আসীচ্ছান্তমনাস্তপঃ সত্যপরায়ণঃ।
নাম্না দেবব্রতো দান্তঃ কর্ম্মকান্ডবিশারদঃ।। ৩৬
স বৈষ্ণবজনব্রাত মধ্যবর্ত্তী ক্রিয়াপরঃ।
স কদাচন শুশ্রাব যজ্ঞেশোহস্তীতি ভূপতেঃ।।
তস্য গেহমথাভ্যাগাদ্দ্বিজো মদগতনিশ্চয়ঃ।
স মদভক্তঃ ক্বচিৎ পূজাং তুলসীদলবারিণা।।
কৃতবাংস্তদগ্রহে কিঞ্চিৎ ফলমূলং ন্যবেদয়ৎ।
স্নানবারিফলং কিঞ্চিত্তস্মৈ প্রীত্যা দদৌ সুধীঃ।
অশ্রদ্ধয়া স্মিতং কৃত্বা সোহপ্যগৃহ্ণাদদ্বিজন্মনঃ।
তেন পাপেন সঞ্জাতং বেণুত্বমতিদারুণম্।। ৪১
তেন পূণ্যেন তস্যাথ মদীয়প্রিয়তাং গতঃ।
অমুনা সোহপ্ রাজেন্দ্র কেতুমানিব রাজতে
যুগান্তে তদ্বিষ্ণুপপো ভুত্বা ব্রহ্ম সমাপ্স্যসি।। ৪২
যে বিপ্র বেণু হয়েছে তা তোমার অবিদিত নাই।  তাও বলছি শোনো।  পূর্ব্বে শান্তহৃদয় তপস্বী সত্যনিষ্ঠ কর্ম্মকান্ডে সুনিপুন বেদব্রত নামে যে ব্রাহ্মণ বৈষ্ণব দের মধ্যে থেকে একবার শুনলেন যে এক যজ্ঞেশ আছেন।  তারপর তার গৃহে এক ব্রাহ্মন উপস্থিত হল।  ও সেই মদ্ভক্ত অভ্যাগত সেখানে তুলসী সহিত জল দিয়ে আমার পূজা করে আমায় যথোপস্থিত ফলমূলাদি নিবেদন করলো।  অবশেষে সেই নির্ম্মাল্যাদি ফলমূলাদি কিছু গৃহী ব্রাহ্মণ কে প্রীতিসহকারে প্রদান করলেন। তখন বেদব্রত একটু হেসে ব্রাহ্মণের নিকট থেকে অশ্রদ্ধা সহকারে তা গ্রহণ করলেন।  সেই পাপে কঠিন বেণুভাব প্রাপ্ত হয়েও পূর্বপূণ্যে আমার প্রিয়বস্তু হয়ে সংসারে শোভা পাচ্ছেন।
দ্বিভূজ মুরলীধর নিত্য কিশোর শ্যামসুন্দর এই স্বরূপটিই কৃষ্ণের নিত্য স্বরূপ। তিনি নারায়ণের অবতার নন। তিনি কখনো ব্রজ ছেড়ে অন্য কোথাও যাননা। 
ভূজদ্বয়বৃতঃ কৃষ্ণো ন কদাচ্চিত চতুর্ভূজঃ।। ৫৫
গোপ্যৈকয়া বৃতস্তত্র পরিক্রীড়তি সর্ব্বদা।
শ্রীকৃষ্ণ নিত্য দ্বিভূজ, চতুর্ভূজ নন।  ও একটি মাত্র গোপিকার সাথে মিলিত হয়ে সর্ব্বদা ক্রীড়া করেন।
ন রাধিকাসমা নারী ন কৃষ্ণসদৃশঃ পুমান্।
বয়ঃ পরং ন কৈশোরাৎ ন ভাবঃ প্রকৃতেঃ পরঃ।। ৫১
ধ্যেয়ং কৈশোরকং ধ্যেয়ং বনং বৃন্দাবনং বনম্।
শ্যামমেব পরং রূপমাদিদৈবং পরো রসঃ।। ৫২
রাধিকাই অদ্বিতীয়া নারী, শ্রীকৃষ্ণই অদ্বিতীয় পুরুষ।  কৈশোর বয়সই সর্বোত্তম।
কৈশোরক বয়সই চিন্তনীয়। বনের মধ্যে বৃন্দাবনই চিন্তনীয়। আর শ্যামসুন্দর রূপই শ্রেষ্ঠ।
পাঁচ বছর পর্যন্ত বাল্যকাল, দশ বছর পর্যন্ত পৌগন্ড, আর পঞ্চদশবর্ষ পর্যন্ত কৈশোরকাল। ঐ সময়ে যে যৌবনের বিকাশ হতে থাকে তাকেই নবযৌবন বলে।  সেই বয়সই প্রভূর নিত্য। অন্য বয়স তার বিস্তার মাত্র।  বৃন্দাবনপরিত্যাগো গোবিন্দস্য ন বিদ্যতে।। ৬০
গোবিন্দ কখনো বৃন্দাবন ত্যাগ করেনা।

বৃন্দাবনং পরিত্যজ্য নৈব গচ্ছাম্যহং ক্বচিৎ
নিবসাম্যনয়া সার্দ্ধমহমত্রৈব সর্ব্বদা।। ৭৮
আমি এই বৃন্দাবন ত্যাগ করে কোথাও গমন করি না।  আমি রাধিকার সাথে সর্ব্বদাই এই বৃন্দাবনে অবস্থান করি।
(আনন্দআশ্রম সংস্করণ ও মতিলাল বেনারসী দাস সংস্করণে পাতালখন্ড ৮২ অধ্যায় ৭৮ শ্লোক।
পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত গ্রন্থে ৫১ অধ্যায় ৭৮ শ্লোক।)

বৈষ্ণব তিলক 
পদ্মপুরাণ পাতালখন্ড ৪৮ অধ্যায় ২৫-২৮ শ্লোক।
সান্তরালং প্রকর্ত্তব্যং পুন্ড্রং হরিপদাকৃতি।। ২৫
নিরন্তরালং য কুর্য্যাদুর্দ্ধপুন্ড্রং দ্বিজাধমঃ।
ললাটে # সততং শুনঃ পাদৌ ন সংশয়ঃ।। ২৬
নাসাদিকেশপর্য্যন্তমুর্দ্ধপুন্ড্রং সুশোভনম্।
মধ্যে চ্ছিদ্রসমাযুক্তং তং বিদ্যাদ্ধরিমন্দিরম্।। ২৭
বামভাগে স্থিতো ব্রহ্মা দক্ষিণে ভু সদাশিবঃ।
মধ্যে বিষ্ণুং বিজানীয়াত্তস্মান্মধ্যং ন লেপয়েৎ।। ২৮
বৈষ্ণব গনের উর্দ্ধপুন্ড্র সান্তরাল ও হরিপদাকৃতি করা বিধেয়। যে দ্বিজাধম নিরন্তরাল উর্দ্ধপুন্ড্র অঙ্কিত করে তার ললাট দেশ কুকুরের পদতুল্য অপবিত্র তাতে সংশয় নেই।  নাসাদি কেশ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং মধ্যে সচ্ছিদ্র যে পুন্ড্রক তা ই পরম সুন্দর। এবং তা হরি মন্দির বলে পরিজ্ঞাত। এই উর্দ্ধপুন্ড্রের বামভাগে ব্রহ্মা ও দক্ষিণে সদাশিব অবস্থিত থাকেন। মধ্যভাগে বিষ্ণু অবস্থিত তাই মধ্যস্থলে লেপন করা অবিধেয়।

নাম মাহাত্ম্য
ঈশ্বর উবাচ
হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্।
হরে রাম হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণেতি মঙ্গলম্।
এবং বদন্তি যে নিত্যং ন হি তান্ বাধতে কলিঃ।। ৩
হে পার্ব্বতি কলিতে একমাত্র হরিনামই নিস্তারের উপায়। যে ব্যাক্তি নিত্য "হরে রাম হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ" ইত্যাদি উচ্চারণ করে কলি তাকে ক্লেশ দিতে পারেনা।


৫২ অধ্যায়
দাসাঃ সখায়ঃ পিতরৌ প্রেয়স্যশ্চ হরেরিহ।
সর্ব্বে নিত্যা মুনিশ্রেষ্ঠ তত্তুল্যা গুণশালিনঃ।। ৩
যথা প্রকটলীলায়াং পুরাণেষু প্রকীর্ত্তিতাঃ
তথা তে নিত্যলীলায়াং সন্তি বৃন্দাবনে ভুবি।। ৪
গমনাগমনে নিত্যং করোতি বনগোষ্ঠয়োঃ।
গোচারণং বয়স্যৈশ্চ বিনাসুরঘাতনম্।। ৫
পরকীয়াভিমানিন্যস্তথা তস্য প্রিয়া জনাঃ।
প্রচ্ছন্নেনৈব ভাবেন রময়ন্তি নিজপ্রিয়ম্।। ৬
হে মুনিবর। শ্রীকৃষ্ণের দাস, সখা, পিতা, মাতা, ও প্রেয়সীগণ এরা সকলেই নিত্য। এরাও কৃষ্ণের ন্যায় গুণশালী। কৃষ্ণের প্রকটলীলা পুরাণে যেমন বর্ণিত আছে। বৃন্দাবনে নিত্যলীলাতেও সেই সেই লীলা করেন, গোষ্ঠে গমনাগমন,  বয়স্য গনের সাথে গোচারণাদি লীলা, কিন্তু অসুরবধাদি কার্য্য নিত্য লীলায় করেননা। তার প্রেয়সী গন পরকীয়াভিমানী।
মূর্তি কতপ্রকার
পদ্মপুরাণ পাতালখন্ড ৫৭ অধ্যায়।
শৈলী দারুময়ী লৌহী লেপ্যা লেখ্যা চ সৈকতী
মনোময়ী মণিময়ী প্রতিমাষ্টবিধা মতা।। ৭১
পূজার প্রতিমা পাষাণময়, স্বর্ণাদি ধাতুময়, লৌহময়, আলপনা দ্বারা অঙ্কিত, আলেখ্য, মৃত্তিকাময়, মণিময়,  ও মনোময় মানসী প্রতিমা।  এই অষ্টবিধ।

শ্রীকৃষ্ণ দ্বিভূজ শ্যামসুন্দর। এই স্বরূপটিই নিত্য। বিভিন্ন পুরাণ বচন।
বিষ্ণু পুরাণে
যত্রাবতীর্ণং কৃষ্ণাখ্যং পরং ব্রহ্ম নরাকৃতি
৪/১১/২
বভূব প্রাকৃতঃ শিশুঃ ভা ১০/৩/৭৭
গোপালতাপনী
সৎ পুন্ডরীকনয়নং মেঘাভং বৈদ্যুতাম্বরম্ দ্বিভূজং মৌনমুদ্রাঢ্যং বনমালিনমীশ্বরম গোপালতাপনী পূর্ব১০
গোপীগন তিন প্রকার যথা শ্রুতিচরী ঋষি ও নিত্যসিদ্ধা

কলি যুগে স্বয়ং শিব ই শঙ্করাচার্য্য রূপে মায়াবাদ বা অদ্বৈত বাদ নামক অসৎ শাস্ত্র প্রচার করেন।
মায়াবাদমসচ্ছাস্ত্রং প্রচ্ছন্নং বৌদ্ধমুচ্যতে।
ময়ৈব কথিতং দেহি কলৌ ব্রাহ্মণরূপিণা।। ২৬৪/৭০
২৬৩ অধ্যায় পদ্ম উত্তর খন্ড আনন্দআশ্রম সংস্করণ

সাত্ত্বিক তামসিক ও রাজসিক পুরাণ
আনন্দআশ্রম সংস্করণ পাদ্ম উত্তরখন্ডে গুনত্রয় বিবরণং নামক ২৬৩ অধ্যায়ে
২৬৩ অধ্যায় ৮১-৮৫
মাৎস্যং কৌর্মং তথা লৈঙ্গং শৈবং স্কান্দং তথৈব চ।।
আগ্নেয়ং চ ষড়েতানি তামসানি নিবোধ মে।
বৈষ্ণবং নারদীয়ং চ তথা ভাগবতং শুভম্।।
গারুড়ং চ তথা পাদ্মং বারাহং শুভদর্শনে।
সাত্ত্বিকানি পুরাণান্ বিজ্ঞেয়ান্ শুভানি বৈ।।
ব্রহ্মাণ্ডং ব্রহ্মবৈবর্তং মার্কন্ডেয়ং তথৈব চ।
ভবিষ্যং বামনং ব্রাহ্মং রাজসান্ নিবোধ মে।।
সাত্ত্বিকা মোক্ষদাঃ প্রোক্তা রাজসা স্বর্গদা শুভাঃ।
তথৈব তামসা দেবি নিরয়প্রাপ্তিহেতবঃ।।


গৌড়ীয়ার তিন ঠাকুর 
গোপালায় গোবর্ধনায় গোপীনাথায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।। গোপাল তাপনী পূর্ব বিভাগে ৩০/৪১
মদনগোপাল বা মদনমোহন, শ্রী গোবিন্দদেব ও শ্রী গোপীনাথ কে প্রণাম।

মহাভারতে কৃষ্ণের শিব পূজার কারন 


কলিযুগে চারিসম্প্রদায় বৈষ্ণব হবে
ভক্তিরত্নাকর ৫/২১১১  ধৃত পদ্মপুরান বচন
সম্প্রদায় বিহীনা যে মন্ত্রাস্তে নিষ্ফলা মতাঃ।
অতঃ কলৌ ভবিষ্যন্তি চত্বারঃ সম্প্রদায়িনঃ।।
শ্রী ব্রহ্ম রুদ্র সনকা বৈষ্ণবাঃ ক্ষিতিপাবনাঃ।
চত্বারস্তে কলৌ ভাব্যাঃ সম্প্রদায়প্রবর্তকাঃ।।

গর্গ সংহিতায় এই শ্লোকটি রয়েছে। 

চৈতন্যমহাপ্রভূর স্বয়ং ভগবত্তা
মহাভারতে দানধর্মে শ্রীবিষ্ণু সহস্রনাম স্তোত্রে
সুবর্ণবর্ণঃ
ভক্তিরত্নাকরে ৫ম তরঙ্গে ২১৯৮ শ্লোকে রয়েছে।

সন্ন্যাসকৃচ্ছমঃ শান্তো নিষ্ঠাশান্তিপরায়ণঃ।।
ভক্তিরত্নাকরে ৫ম তরঙ্গে ২২০৯ শ্লোকে

 বৃহন্নারদীয় পুরাণে
অহমেব দ্বিজশ্রেষ্ঠ নিত্যং প্রচ্ছন্ন বিগ্রহ।
ভগবদ্ভক্তরূপেণ লোকং রক্ষামি সর্বদা।। ৫/৩৩
হরিবংশ পুরাণ ঘন্টাকর্ণের প্রতি শিবের উক্তি বিষ্ণুই একমাত্র মোক্ষদাতা