ঊঁচাগাঁও
উঁচাগ্রামে ললিতা দেবীর জন্মস্থান।
উঁচাগ্রামে ললিতা দেবীর জন্মস্থান।
ললিতা দেবীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়
গোরোচনাদ্যুতিবিড়ম্বিততনূং সুবেণীং
ময়ূরপিঞ্ছবসনাং শুভভূষণাঢ়্যাম।
তাম্বুলসেবনরতাং ব্রজরাজসূনোঃ
শ্রীরাধিকাপ্রিয়সখীং ললিতাং স্মরামি।।
ললিতাদেবীর বয়স ১৪বছর, ৮ মাস, ২৭ দিন। তিনি রাধারানীর থেকে ২৭ দিনের বড়, বর্ন গোরোচনা অনঙ্গসুখদা নামে যে কুঞ্জ আছে তার উত্তর দলে নানাপুষ্পলতা আবৃত কুঞ্জে তড়িৎ বর্ণ ললিতানন্দদ নামক কুঞ্জ আছে। ললিতা দেবী সেখানে বিরাজ করেন। তিনি ময়ূরপুচ্ছ রঙের বস্ত্র, ও নানা দিব্য আভরণে মন্ডিতা। তার ভাব খন্ডিতা অর্থাৎ নায়িকার প্রিয়তম, পূর্বে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত না হয়ে অন্য নায়িকার সাথে সম্ভোগের চিহ্নাঙ্কিত হয়ে প্রাতঃকালে আগমন করলে নায়িকা ক্রোধ, দীর্ঘনিঃশ্বাস,মৌনাদি যে ভাব সকল অবলম্বন করে তাকে খন্ডিতা বলে। তিনি প্রিয়াজী কে মান শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তার পিতা বিশোকক ও মাতা শারদা।
তার শ্বশুরবাড়ি যাবটে, স্বামী ভৈরব নামক গোপ। যিনি চন্দ্রাবলীর স্বামী গোবর্দ্ধন গোপের মিত্র।
ব্রজভক্তিবিলাসে ললিতা দেবীর জন্মলীলা—
গোপ নাম মহাভানুঃ শারদী নামা গোপিনী।
উচ্চগ্রামং প্রবাস্তব্যৌ দম্পতী পর্বতোপরি।।
মহাভানু নামে গোপ যাকে লোকে অশোক নামেও জানে। তিনি তার পত্নী শারদীর সাথে উঁচাগাঁও তে অটোরা পর্বতে থাকতেন।
তয়োঃ কন্যা ভবিষ্যতি ললিতা নাম বিশ্রুতা।
মনোহরা চ গৌরাঙ্গা কৃষ্ণচিহ্নেন লাঞ্ছিতা।।
তার কন্যা ললিতা নামে প্রসিদ্ধা। যিনি অত্যন্ত মনোহরা, গৌরাঙ্গী ও কৃষ্ণ চিহ্নাদি যুক্ত ছিলেন।
তস্য গ্রামস্য পশ্চিমভাগতঃ সখীগিরি নাম পর্বতোহস্তি।
তস্যোপরি চৈকা পুষ্করিণী স্থিতা।।
এই গ্রামের পশ্চিমভাগে সখীগিরি নামে পর্বত আছে যার উপরে একটি পুষ্করিণী আছে।
ভাদ্রস্য শুক্লষষ্ঠী তু বিশাখা ঋক্ষসংযুতা।
পরবিদ্ধা সদা কার্য্যা পূর্ববিদ্ধা ন কর্হিচিৎ।
সূর্যোদয়াৎসমারভ্যৈকাদশা ঘটিকাঃ গতাঃ।।
ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের বিশাখা নক্ষত্র যুক্ত ষষ্ঠী তিথিতে পরবিদ্ধা গ্রহন করা উচিত, পূর্ববিদ্ধা নয়। সূর্যোদয়ের ১১ ঘটিকা ব্যাতীত হলে পর ললিতাজীর জন্ম হয়েছিল।
ললিতাদেবীর বিবাহ লীলা
তত্রৈব পর্বতস্যাধঃ পশ্চিমতঃ শিখিলিনী শিলা স্থিতা
তত্র গোপালৈঃ সহ শ্রীকৃষ্ণঃ সমভ্যাগতঃ।
ভাদ্রস্য শুক্লপক্ষস্য দ্বাদশী শ্রবণান্বিতা।
ব্যতীতা ঘটিকা ষট্ চ সূর্য্যোদয়প্রবর্ত্তিতা।।
তৎক্ষণে ললিতা তত্র আগতা সখীভিঃ সমম্।
অষ্টাভিঃ সখিভিঃ সার্দ্ধ সুমনাদিভিঃ সংযুতা।।
ঐখানে পর্বতের নীচে পৃষ্ঠ ভাগে খিসলনী শিলা আছে, যেখানে গোপবালকদের সাথে শ্রীকৃষ্ণ এলেন, ভাদ্রমাসে শুক্লপক্ষে দ্বাদশী তিথি তে শ্রবণা নক্ষত্রে সূর্যোদয়ের ৬ ঘটিকা পরে ললিতা দেবী তার সুমনাদি অষ্টসখীগন সহ সেখানে এলেন,
সুমনা সুষুপা কাঞ্চী দীপিকা চ প্রদীপিকা।
নাগরী প্রবলা গৌণী ললিতায়া উপাসখী।।
ভাষায়াং লোকা অন্যনামানি বদন্তি ইত্যপবাদঃ।।
ললিতাজীর অষ্টসখীগনের নাম সুমনা, সুষুপা, কাঞ্চী, দীপিকা, প্রদীপিকা, নাগরী, প্রবলা, গৌণী, লোকভাষায় তারা অন্যান্য নামেও পরিচিতা।
তত্র ক্রীড়া কৃতাস্তাভিঃ শিলায়ং স্খলনং কৃতম।
ততশ্চ ললিতাপাণিং গৃহীত্বা গোকুলেশ্বরঃ।।
পুষ্পৈশ্চ মণ্ডনং কৃত্বা সর্বদেবে সমাগতে।
বিধিবন্মন্ত্রযুক্তেন ললিতাং চ বিবাহয়েৎ।।
ততশ্চবাসপর্বতস্য পশ্চিমভাগে সর্বে কৃষ্ণাদয়ঃ গোপালাঃ সমভ্যাগতা, অষ্টাভিরূপসখীভিঃ সার্দ্ধ ললিতা ত্বাগতা। তত্র সর্বে সর্বাশ্চ ক্রীড়াশ্রমেণ শ্রমিতাঃ সংজাতাঃ। তৎসময়ে তস্মিন্ স্থানে জলক্রীড়াং কৃতবন্তঃ, স্নপনং কুর্বাণাঃ তস্মাদ্দেহকুণ্ডাভিধানকুণ্ডং ভবতি। তত্রৈব সুবর্ণদানং কুর্ব্বাণঃ শ্রীকৃষ্ণঃ গোপালৈঃ সার্দ্ধস্বগৃহমব্রজৎ, উপসখীভিঃ সার্দ্ধ উচ্চগ্রামে শ্রীমহাভানোর্বাশোকনামগোপস্য গৃহে ললিতা গতা। তত্র সারদ্যগ্রে সখীভিঃ বিবাহবার্ত্তা কথিতা। ততঃ মহাভান্বশোকনাম গোপঃ নন্দমাহূয় সর্বা বিবাহসামগ্রীং নিবেদ্য সিংহাসনোপরি শ্রীকৃষ্ণং তদ্দক্ষিণভাগে কন্যাং ললিতা নিবেশ্য সর্বরত্নাদিভিরতোষয়ৎ। শ্রীললিতায়াঃ নিবেশনং তু শ্রীকৃষ্ণস্য দক্ষিণে ভাগে।
সেখানে খিসলনী শিলার উপরে ললিতাজী তার সখীগনের সঙ্গে ক্রীড়া করেছিলেন, তার পর নন্দনন্দন ললিতাজীর পাণিগ্রহন করলেন। পুষ্পশৃঙ্গার ধারণ করে সমস্ত দেবতা গন উপস্থিত হলেন। বিধিবৎ মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক ললিতা জীর সাথে বিবাহ করলেন। তারপর পর্বতের পশ্চিমভাগে কৃষ্ণ অন্যান্য গোপবালকদের সাথে এসেছিলেন। নিজ অষ্টসখী গনকে নিয়ে ললিতাদেবী ও এসে মিলিত হলেন। সেখানে তারা বিবিধ ক্রীড়া বিলাস করেছিলেন, ক্রীড়াশ্রমে শান্ত হয়ে সেখানে তারা জলক্রীড়া করলেন। সেই কুন্ড দেহকুন্ড নামে পরিচিত হয়। যেখানে স্বর্ণদান করে শ্রীকৃষ্ণ গোপবালকদের সাথে গৃহে ফিরে গেলেন। ললিতা জী ও নিজ সখীদের সাথে উঁচাগাঁও তে ফিরে এলেন। সেখানে শারদী মাতার কাছে সখীরা বিবাহের কথা বললে মহাভানু গোপ নন্দ বাবা কে ডেকে বিবাহ সামগ্রী ভেট দিয়ে সিংহাসনে শ্রীকৃষ্ণ কে বসালেন ও তার ডানদিকে ললিতাদেবী কে বসিয়ে নানা রত্ন উপহার ভেট দিলেন।
ললিতাদেবীর সেবা, ও গুণাবলী
তথাপি পরমপ্রেষ্ঠসখ্যাঃ শ্রেষ্ঠতরোদিতাঃ।
সর্বত্র ললিতাদেবী পরমাধ্যক্ষতাং গতা।।
স্বীকৃতাখিলভাবেয়ং সন্ধিবিগ্রহিণী মতা।
অপরাধ্যতি রাধায়ৈ মাধবে ক্বাপি দৈবতঃ।।
চন্ডিম্না কুঞ্চিতমুখী সখীদ্যুতিভিরাবৃতা।
বিগ্রহে প্রৌঢ়িবাদে চ প্রতিবাক্যোপপত্তিষু।।
প্রতিভামুপলব্ধাভির্ধত্তে বিগ্রহমাগ্রহাৎ।
আয়াতি সন্ধিসময়ে তটস্থৈব স্থিতা স্বয়ং।।
ভগবত্যাদিভির্দ্বারৈর্যুক্তা সন্ধিং করোত্যসৌ।
পৌষ্পাণাং মন্ডনং ছত্রং শয়নোত্থানবেশ্মনাং।।
মদনোন্মাদিনী বাট্যাং যা কিন্নরকিশোরিকাঃ।
প্রসূন বল্লী তাম্বুল বল্লী পূগদ্রুমেষু চ।।
নির্ম্মিতাবিন্দ্রজালেচ প্রহেল্যাঞ্চাতিকোবিদা।
তাম্বুলেহধিকৃতা যাঃ স্যুরস্যাস্তু দাসিকাশ্চ যাঃ।।
শ্রীললিতাদেবী শ্রীজীর বয়স্যা সখীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, ও তাদের অধ্যক্ষা পদে আরূঢ়া। তিনি সর্বদা শ্রীজীর সাথে থাকেন। সমস্ত ভাব তার আয়ত্তাধীন, প্রেমযুদ্ধে সন্ধি(মিলন) ও বিগ্রহ (যুদ্ধ) ও অন্য সকল বিষয়ে তিনি তৎপরা। বিগ্রহ সঙ্ঘটিত হলে তিনি সখীদের নবনব উদ্ভাবন শালিনী উপস্থিতবুদ্ধি দ্বারা আগ্রহসহকারে বিগ্রহ করিয়ে থাকেন। এবং সন্ধি বা মিলনকালে উদাসীনার মতো অবস্থান করেন। যদিও পৌর্ণমাসী প্রভৃতি সখীগনের সাথে মিলিত হয়েই শ্রীকৃষ্ণের সাথে সন্ধি করিয়ে থাকেন। তিনি পূষ্পভূষণ, ফুলের ছাতা সাজানোয় পুষ্পশয্যা বানানোয় দক্ষ, তিনি ইন্দ্রজালাদি রচনায় ও প্রহেলী কাব্য রচনায় অতিপন্ডিতা। তিনি রাধারানীকে মানের কলা শেখান। ব্রজবালকদের সাথে কলহ করার সময় তিনি কূট কলহে পারদর্শী। তাম্বুলসেবাতে যারা অধিকারিনী, যারা শ্রীরাধার দাসী, শ্রী বলদেবের যে সখীগন মাননীয় গনের ও মাননীয়, ললিতাদেবী তাদের সকলের অধ্যক্ষা।
ললিতাদেবী মন্দির
গোরোচনাদ্যুতিবিড়ম্বিততনূং সুবেণীং
ময়ূরপিঞ্ছবসনাং শুভভূষণাঢ়্যাম।
তাম্বুলসেবনরতাং ব্রজরাজসূনোঃ
শ্রীরাধিকাপ্রিয়সখীং ললিতাং স্মরামি।।
ললিতাদেবীর বয়স ১৪বছর, ৮ মাস, ২৭ দিন। তিনি রাধারানীর থেকে ২৭ দিনের বড়, বর্ন গোরোচনা অনঙ্গসুখদা নামে যে কুঞ্জ আছে তার উত্তর দলে নানাপুষ্পলতা আবৃত কুঞ্জে তড়িৎ বর্ণ ললিতানন্দদ নামক কুঞ্জ আছে। ললিতা দেবী সেখানে বিরাজ করেন। তিনি ময়ূরপুচ্ছ রঙের বস্ত্র, ও নানা দিব্য আভরণে মন্ডিতা। তার ভাব খন্ডিতা অর্থাৎ নায়িকার প্রিয়তম, পূর্বে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত না হয়ে অন্য নায়িকার সাথে সম্ভোগের চিহ্নাঙ্কিত হয়ে প্রাতঃকালে আগমন করলে নায়িকা ক্রোধ, দীর্ঘনিঃশ্বাস,মৌনাদি যে ভাব সকল অবলম্বন করে তাকে খন্ডিতা বলে। তিনি প্রিয়াজী কে মান শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তার পিতা বিশোকক ও মাতা শারদা।
তার শ্বশুরবাড়ি যাবটে, স্বামী ভৈরব নামক গোপ। যিনি চন্দ্রাবলীর স্বামী গোবর্দ্ধন গোপের মিত্র।
ব্রজভক্তিবিলাসে ললিতা দেবীর জন্মলীলা—
গোপ নাম মহাভানুঃ শারদী নামা গোপিনী।
উচ্চগ্রামং প্রবাস্তব্যৌ দম্পতী পর্বতোপরি।।
মহাভানু নামে গোপ যাকে লোকে অশোক নামেও জানে। তিনি তার পত্নী শারদীর সাথে উঁচাগাঁও তে অটোরা পর্বতে থাকতেন।
তয়োঃ কন্যা ভবিষ্যতি ললিতা নাম বিশ্রুতা।
মনোহরা চ গৌরাঙ্গা কৃষ্ণচিহ্নেন লাঞ্ছিতা।।
তার কন্যা ললিতা নামে প্রসিদ্ধা। যিনি অত্যন্ত মনোহরা, গৌরাঙ্গী ও কৃষ্ণ চিহ্নাদি যুক্ত ছিলেন।
তস্য গ্রামস্য পশ্চিমভাগতঃ সখীগিরি নাম পর্বতোহস্তি।
তস্যোপরি চৈকা পুষ্করিণী স্থিতা।।
এই গ্রামের পশ্চিমভাগে সখীগিরি নামে পর্বত আছে যার উপরে একটি পুষ্করিণী আছে।
ভাদ্রস্য শুক্লষষ্ঠী তু বিশাখা ঋক্ষসংযুতা।
পরবিদ্ধা সদা কার্য্যা পূর্ববিদ্ধা ন কর্হিচিৎ।
সূর্যোদয়াৎসমারভ্যৈকাদশা ঘটিকাঃ গতাঃ।।
ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের বিশাখা নক্ষত্র যুক্ত ষষ্ঠী তিথিতে পরবিদ্ধা গ্রহন করা উচিত, পূর্ববিদ্ধা নয়। সূর্যোদয়ের ১১ ঘটিকা ব্যাতীত হলে পর ললিতাজীর জন্ম হয়েছিল।
ললিতাদেবীর বিবাহ লীলা
তত্রৈব পর্বতস্যাধঃ পশ্চিমতঃ শিখিলিনী শিলা স্থিতা
তত্র গোপালৈঃ সহ শ্রীকৃষ্ণঃ সমভ্যাগতঃ।
ভাদ্রস্য শুক্লপক্ষস্য দ্বাদশী শ্রবণান্বিতা।
ব্যতীতা ঘটিকা ষট্ চ সূর্য্যোদয়প্রবর্ত্তিতা।।
তৎক্ষণে ললিতা তত্র আগতা সখীভিঃ সমম্।
অষ্টাভিঃ সখিভিঃ সার্দ্ধ সুমনাদিভিঃ সংযুতা।।
ঐখানে পর্বতের নীচে পৃষ্ঠ ভাগে খিসলনী শিলা আছে, যেখানে গোপবালকদের সাথে শ্রীকৃষ্ণ এলেন, ভাদ্রমাসে শুক্লপক্ষে দ্বাদশী তিথি তে শ্রবণা নক্ষত্রে সূর্যোদয়ের ৬ ঘটিকা পরে ললিতা দেবী তার সুমনাদি অষ্টসখীগন সহ সেখানে এলেন,
সুমনা সুষুপা কাঞ্চী দীপিকা চ প্রদীপিকা।
নাগরী প্রবলা গৌণী ললিতায়া উপাসখী।।
ভাষায়াং লোকা অন্যনামানি বদন্তি ইত্যপবাদঃ।।
ললিতাজীর অষ্টসখীগনের নাম সুমনা, সুষুপা, কাঞ্চী, দীপিকা, প্রদীপিকা, নাগরী, প্রবলা, গৌণী, লোকভাষায় তারা অন্যান্য নামেও পরিচিতা।
তত্র ক্রীড়া কৃতাস্তাভিঃ শিলায়ং স্খলনং কৃতম।
ততশ্চ ললিতাপাণিং গৃহীত্বা গোকুলেশ্বরঃ।।
পুষ্পৈশ্চ মণ্ডনং কৃত্বা সর্বদেবে সমাগতে।
বিধিবন্মন্ত্রযুক্তেন ললিতাং চ বিবাহয়েৎ।।
ততশ্চবাসপর্বতস্য পশ্চিমভাগে সর্বে কৃষ্ণাদয়ঃ গোপালাঃ সমভ্যাগতা, অষ্টাভিরূপসখীভিঃ সার্দ্ধ ললিতা ত্বাগতা। তত্র সর্বে সর্বাশ্চ ক্রীড়াশ্রমেণ শ্রমিতাঃ সংজাতাঃ। তৎসময়ে তস্মিন্ স্থানে জলক্রীড়াং কৃতবন্তঃ, স্নপনং কুর্বাণাঃ তস্মাদ্দেহকুণ্ডাভিধানকুণ্ডং ভবতি। তত্রৈব সুবর্ণদানং কুর্ব্বাণঃ শ্রীকৃষ্ণঃ গোপালৈঃ সার্দ্ধস্বগৃহমব্রজৎ, উপসখীভিঃ সার্দ্ধ উচ্চগ্রামে শ্রীমহাভানোর্বাশোকনামগোপস্য গৃহে ললিতা গতা। তত্র সারদ্যগ্রে সখীভিঃ বিবাহবার্ত্তা কথিতা। ততঃ মহাভান্বশোকনাম গোপঃ নন্দমাহূয় সর্বা বিবাহসামগ্রীং নিবেদ্য সিংহাসনোপরি শ্রীকৃষ্ণং তদ্দক্ষিণভাগে কন্যাং ললিতা নিবেশ্য সর্বরত্নাদিভিরতোষয়ৎ। শ্রীললিতায়াঃ নিবেশনং তু শ্রীকৃষ্ণস্য দক্ষিণে ভাগে।
সেখানে খিসলনী শিলার উপরে ললিতাজী তার সখীগনের সঙ্গে ক্রীড়া করেছিলেন, তার পর নন্দনন্দন ললিতাজীর পাণিগ্রহন করলেন। পুষ্পশৃঙ্গার ধারণ করে সমস্ত দেবতা গন উপস্থিত হলেন। বিধিবৎ মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক ললিতা জীর সাথে বিবাহ করলেন। তারপর পর্বতের পশ্চিমভাগে কৃষ্ণ অন্যান্য গোপবালকদের সাথে এসেছিলেন। নিজ অষ্টসখী গনকে নিয়ে ললিতাদেবী ও এসে মিলিত হলেন। সেখানে তারা বিবিধ ক্রীড়া বিলাস করেছিলেন, ক্রীড়াশ্রমে শান্ত হয়ে সেখানে তারা জলক্রীড়া করলেন। সেই কুন্ড দেহকুন্ড নামে পরিচিত হয়। যেখানে স্বর্ণদান করে শ্রীকৃষ্ণ গোপবালকদের সাথে গৃহে ফিরে গেলেন। ললিতা জী ও নিজ সখীদের সাথে উঁচাগাঁও তে ফিরে এলেন। সেখানে শারদী মাতার কাছে সখীরা বিবাহের কথা বললে মহাভানু গোপ নন্দ বাবা কে ডেকে বিবাহ সামগ্রী ভেট দিয়ে সিংহাসনে শ্রীকৃষ্ণ কে বসালেন ও তার ডানদিকে ললিতাদেবী কে বসিয়ে নানা রত্ন উপহার ভেট দিলেন।
ললিতাদেবীর সেবা, ও গুণাবলী
তথাপি পরমপ্রেষ্ঠসখ্যাঃ শ্রেষ্ঠতরোদিতাঃ।
সর্বত্র ললিতাদেবী পরমাধ্যক্ষতাং গতা।।
স্বীকৃতাখিলভাবেয়ং সন্ধিবিগ্রহিণী মতা।
অপরাধ্যতি রাধায়ৈ মাধবে ক্বাপি দৈবতঃ।।
চন্ডিম্না কুঞ্চিতমুখী সখীদ্যুতিভিরাবৃতা।
বিগ্রহে প্রৌঢ়িবাদে চ প্রতিবাক্যোপপত্তিষু।।
প্রতিভামুপলব্ধাভির্ধত্তে বিগ্রহমাগ্রহাৎ।
আয়াতি সন্ধিসময়ে তটস্থৈব স্থিতা স্বয়ং।।
ভগবত্যাদিভির্দ্বারৈর্যুক্তা সন্ধিং করোত্যসৌ।
পৌষ্পাণাং মন্ডনং ছত্রং শয়নোত্থানবেশ্মনাং।।
মদনোন্মাদিনী বাট্যাং যা কিন্নরকিশোরিকাঃ।
প্রসূন বল্লী তাম্বুল বল্লী পূগদ্রুমেষু চ।।
নির্ম্মিতাবিন্দ্রজালেচ প্রহেল্যাঞ্চাতিকোবিদা।
তাম্বুলেহধিকৃতা যাঃ স্যুরস্যাস্তু দাসিকাশ্চ যাঃ।।
শ্রীললিতাদেবী শ্রীজীর বয়স্যা সখীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, ও তাদের অধ্যক্ষা পদে আরূঢ়া। তিনি সর্বদা শ্রীজীর সাথে থাকেন। সমস্ত ভাব তার আয়ত্তাধীন, প্রেমযুদ্ধে সন্ধি(মিলন) ও বিগ্রহ (যুদ্ধ) ও অন্য সকল বিষয়ে তিনি তৎপরা। বিগ্রহ সঙ্ঘটিত হলে তিনি সখীদের নবনব উদ্ভাবন শালিনী উপস্থিতবুদ্ধি দ্বারা আগ্রহসহকারে বিগ্রহ করিয়ে থাকেন। এবং সন্ধি বা মিলনকালে উদাসীনার মতো অবস্থান করেন। যদিও পৌর্ণমাসী প্রভৃতি সখীগনের সাথে মিলিত হয়েই শ্রীকৃষ্ণের সাথে সন্ধি করিয়ে থাকেন। তিনি পূষ্পভূষণ, ফুলের ছাতা সাজানোয় পুষ্পশয্যা বানানোয় দক্ষ, তিনি ইন্দ্রজালাদি রচনায় ও প্রহেলী কাব্য রচনায় অতিপন্ডিতা। তিনি রাধারানীকে মানের কলা শেখান। ব্রজবালকদের সাথে কলহ করার সময় তিনি কূট কলহে পারদর্শী। তাম্বুলসেবাতে যারা অধিকারিনী, যারা শ্রীরাধার দাসী, শ্রী বলদেবের যে সখীগন মাননীয় গনের ও মাননীয়, ললিতাদেবী তাদের সকলের অধ্যক্ষা।
ললিতাদেবী মন্দির
বর্ষানার কাছে উঁচাগ্রামে ললিতা দেবীর জন্মস্থান
একটি উঁচু টীলার উপর কয়েকটি সিঁড়ি দিয়ে উঠে ললিতাবিহারী জী মন্দির আছে। মন্দিরে রাধা কৃষ্ণ ও ডানদিকে ললিতা দেবীর বিগ্রহ আছে।
বিগ্রহের সামনে একটি শিলা আছে যাতে প্রাকৃতিক ভাবে রাধাকৃষ্ণ অঙ্কিত আছে। মন্দিরে সংস্কারের সময় শিলাটি পাওয়া গেছিল।
বিগ্রহের সামনে একটি শিলা আছে যাতে প্রাকৃতিক ভাবে রাধাকৃষ্ণ অঙ্কিত আছে। মন্দিরে সংস্কারের সময় শিলাটি পাওয়া গেছিল।