Srimad bhagabatam 10-1-3 with multiple commentaries
অবতীর্য্য যদোর্বংশে ভগবান্ ভূতভাবনঃ
কৃতবান্ যানি বিশ্বাত্মা তানি নো বদ বিস্তরাৎ।। ৩
অনুবাদ:- বিশ্বাত্মা, জগৎকারণ, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে যে লীলা প্রকাশ করেছিলেন, সেই লীলা এবং চরিতাবলী আমাদের কাছে আনুপূর্বিক বর্ণনা করুন।
শ্রীধরস্বামী কৃত ভাবার্থ দীপিকা টীকা:-
ননু উক্তানি জাতো গতঃ পিতৃগৃহাৎ ব্রজমেধিতার্থ ইত্যাদিনা সত্যং পুন বিস্তরেণ বদেত্যাহ অবতীর্য্যেতি ভূতানি ভাবয়তি পালয়তীতি তথা।।
টীকার অনুবাদ:- শুকদেব গোস্বামী বলতে পারেন যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে শ্রীকৃষ্ণের লীলাদি তো ইতিপূর্বেই বর্ননা করা হয়েছে যথা—জাতো গতঃ পিতৃগৃহাদ্
ভাঃ৯/২৪/৬৬। তাই পরীক্ষিত মহারাজ বলছেন ঠিকই আপনি তা বলেছেন কিন্তু পুনরায় তা বিস্তারপূর্বক বলুন কিভাবে শ্রীকৃষ্ণ যদুবংশে অবতীর্ণ হলেন, জীবগনের পালনার্থে কি কি করলেন।
শ্রীজীবগোস্বামীকৃত লঘুবৈষ্ণবতোষণী টীকা:-
ননু সর্ব্বাণ্যপি তস্য কর্ম্মাণি পরমাদ্ভুতানি ইতি চেত্তর্হি তানি সর্ব্বাণ্যেব কথয়েত্যাহ অবতীর্য্যেতি অবতার প্রয়োজনমুদ্দিশতি ভগবান্ সর্ব্বৈশ্বর্য্য পূর্ণোহপি কৃপয়া ভুতানি সর্ব্বাণ্যেব ভাবয়তি পালয়তীতি তথা সঃ। যতো বিশ্বাত্মা চেতনাদি শক্তিপ্রেরকত্বেন স্বভাবতএব হিতকারী পরম স্বরূপত্বেন প্রেমবিশেষ পর্য্যবসানরূপশ্চেত্যর্থঃ। অতো যানি যাবন্তি কর্ম্মাণি তানি সর্ব্বাণ্যেব বদ সংকীর্ত্তয়। তত্রচ বিস্তরাৎ বিস্তরেণ প্রয়োজনাদি নির্দ্দেশেন নতু পূর্ব্ববৎ সংক্ষেপেণেত্যর্থঃ। ইত্যসম্ভবেহপি লালসয়ৈবোক্তং।।
৩
টীকার অনুবাদ:- যদি বলো যে তার সমস্ত লীলাই তো পরমাদ্ভূত। তার উত্তরে বলছেন সেসকল লীলাই আপনি বিস্তার পূর্বক বলুন। "অবতীর্য্যেতি" অবতার গ্রহনের উদ্দ্যেশ্যে সম্পর্কে বলছেন—যদিও ভগবান ষড়ৈশ্বর্য্য পূর্ণ কিন্তু কৃপা বশত জীব সকল কে রক্ষা করার জন্য পালন করার জন্য অবতীর্ণ্য হন। তাই "ভূত ভাবন" বলা হয়েছে।
(ভগবানের দুই প্রকার লীলা রয়েছে প্রকট ও অপ্রকট লীলা প্রকট লীলায় ভগবান ভূতলে অবতীর্ণ হয়ে জীব সকল কে পালন করেন, ভক্তদের আনন্দ বিধান করেন, তাই শুকদেব যদি বলেন ভগবানের তো বহুবিধ লীলা রয়েছে কোন লীলা বলবো? তার উত্তরে পরীক্ষিত মহারাজ বলছেন ভগবান যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে যে প্রকট লীলা করেছেন, যে লীলায় জীব সকলকে পালন ও তাদের সাথে সম্বন্ধ স্থাপন করে তাদের কৃতার্থ করেছেন সেই লীলা আপনি বলুন। তাই "অবতীর্য্য যদোর্বংশে" বলা হয়েছে। বিশেষত যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে প্রকটলীলা করায় শ্রীকৃষ্ণ পরীক্ষিত মহারাজের পিতামহী সুভদ্রাদেবীর ভ্রাতা। তাই প্রকটলীলার সাথেই পরীক্ষিত মহারাজের সম্বন্ধ আছে। ভগবান যে প্রকট লীলায় জীব কে পালন করেন স্বয়ং পরীক্ষিত মহারাজ গর্ভাবস্থাতেই তা উপলব্ধি করেছেন। সেই ভগবানের আর কি কি লীলা রয়েছে তা তিনি জানতে চেয়েছেন।)
কেন ভগবান জীব সকলকে পালন করতে অবতীর্ণ হন? কারন তিনি "বিশ্বাত্মা" অর্থাৎ তিনি চেতনাদি শক্তির প্রেরক, স্বভাবতই তিনি হিতকারী, তার পরম স্বরূপ প্রেমেই পর্য্যবসিত হয়।
(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরমাত্মার ও আত্মা। তাই তিনি বিশ্বাত্মা।
পরমাত্মা যিঁহো তিঁহো কৃষ্ণের এক অংশ।
আত্মার আত্মা হন কৃষ্ণ সর্ব অবতংস।। চৈ.চ মধ্য/২০/১৬১।
আবার ভাগবতে ১০/১৪/৫৫ এও বলা হয়েছে
কৃষ্ণমেনমবেহি ত্বমাত্মানমখিলাত্মনাম্।
জগদ্ধিতায় যোহপ্যত্র দেহীবাভাতি মায়য়া।।
অনুবাদ:- তোমার জানা উচিত শ্রীকৃষ্ণ সমস্ত জীবের মূল আত্মা। তার অহৈতুকী কৃপা বশত সমস্ত জগতের মঙ্গলের জন্য অন্তরঙ্গা শক্তির প্রভাবে তিনি সাধারন মানুষ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন।
শ্রীকৃষ্ণ এক অংশের দ্বারা সকল জীব ও জগতের মধ্যে অন্তর্যামী রূপে অবস্থান করেন (গীতা ১০/৪২)
অথবা বহুনৈতেন কিং জ্ঞাতেন তবার্জ্জুন।
বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎস্নমেকাংশেন স্থিতো জগৎ।।
তাই জীব তার সাথে কোনো সম্বন্ধ যদি নাও রাখে তবুও ভগবান সকল জীবের ইন্দ্রিয়গুলিকে শক্তি প্রদান করেন, চেতনাশক্তি সঞ্চার করেন।
শ্রীকৃষ্ণ তাই সকল জীবের স্বাভাবিক হিতকারী। তাই ভগবানই জীব সকল কে পালন করতে অবতীর্ণ গন। আর এজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভিন্ন অন্য কোনও দেবদেবীর অবতার নেই।)
তাই সেই সকল লীলা সমূহ "বদ" অর্থাৎ কীর্তন করুন। যে সকল লীলা তিনি করেছেন তা সব আপনি বলুন, এবং তা বিস্তারপূর্বক বলুন। পূর্বের মতো সংক্ষেপে নয়, "বিস্তরাৎ" শব্দের অর্থ এই লীলাদি করার প্রয়োজনাদি ব্যাখ্যা করে বলুন। যদিও পরীক্ষিত মহারাজ জানেন অনন্ত শ্রীকৃষ্ণের সমস্ত লীলা বর্ণনা করা সম্ভব নয় তাও কেন বলছেন বিস্তারপূর্বক সমস্ত লীলা বর্ণনা করুন? হরি কথা শ্রবণে অত্যন্ত লালসা বশত তিনি এই কথা বলেছেন।
শ্রীধরস্বামীপাদ গীতা ভাষ্যে ৯/৫ ভূত ভাবন শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন ভূতানি ভাবয়তি পালয়তীতি ভূত ভাবনঃ।
এই শ্লোকের কোনো ক্রমসন্দর্ভ টীকা নেই।
<<< Previous Page
অবতীর্য্য যদোর্বংশে ভগবান্ ভূতভাবনঃ
কৃতবান্ যানি বিশ্বাত্মা তানি নো বদ বিস্তরাৎ।। ৩
অনুবাদ:- বিশ্বাত্মা, জগৎকারণ, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে যে লীলা প্রকাশ করেছিলেন, সেই লীলা এবং চরিতাবলী আমাদের কাছে আনুপূর্বিক বর্ণনা করুন।
শ্রীধরস্বামী কৃত ভাবার্থ দীপিকা টীকা:-
ননু উক্তানি জাতো গতঃ পিতৃগৃহাৎ ব্রজমেধিতার্থ ইত্যাদিনা সত্যং পুন বিস্তরেণ বদেত্যাহ অবতীর্য্যেতি ভূতানি ভাবয়তি পালয়তীতি তথা।।
টীকার অনুবাদ:- শুকদেব গোস্বামী বলতে পারেন যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে শ্রীকৃষ্ণের লীলাদি তো ইতিপূর্বেই বর্ননা করা হয়েছে যথা—জাতো গতঃ পিতৃগৃহাদ্
ভাঃ৯/২৪/৬৬। তাই পরীক্ষিত মহারাজ বলছেন ঠিকই আপনি তা বলেছেন কিন্তু পুনরায় তা বিস্তারপূর্বক বলুন কিভাবে শ্রীকৃষ্ণ যদুবংশে অবতীর্ণ হলেন, জীবগনের পালনার্থে কি কি করলেন।
শ্রীজীবগোস্বামীকৃত লঘুবৈষ্ণবতোষণী টীকা:-
ননু সর্ব্বাণ্যপি তস্য কর্ম্মাণি পরমাদ্ভুতানি ইতি চেত্তর্হি তানি সর্ব্বাণ্যেব কথয়েত্যাহ অবতীর্য্যেতি অবতার প্রয়োজনমুদ্দিশতি ভগবান্ সর্ব্বৈশ্বর্য্য পূর্ণোহপি কৃপয়া ভুতানি সর্ব্বাণ্যেব ভাবয়তি পালয়তীতি তথা সঃ। যতো বিশ্বাত্মা চেতনাদি শক্তিপ্রেরকত্বেন স্বভাবতএব হিতকারী পরম স্বরূপত্বেন প্রেমবিশেষ পর্য্যবসানরূপশ্চেত্যর্থঃ। অতো যানি যাবন্তি কর্ম্মাণি তানি সর্ব্বাণ্যেব বদ সংকীর্ত্তয়। তত্রচ বিস্তরাৎ বিস্তরেণ প্রয়োজনাদি নির্দ্দেশেন নতু পূর্ব্ববৎ সংক্ষেপেণেত্যর্থঃ। ইত্যসম্ভবেহপি লালসয়ৈবোক্তং।।
৩
টীকার অনুবাদ:- যদি বলো যে তার সমস্ত লীলাই তো পরমাদ্ভূত। তার উত্তরে বলছেন সেসকল লীলাই আপনি বিস্তার পূর্বক বলুন। "অবতীর্য্যেতি" অবতার গ্রহনের উদ্দ্যেশ্যে সম্পর্কে বলছেন—যদিও ভগবান ষড়ৈশ্বর্য্য পূর্ণ কিন্তু কৃপা বশত জীব সকল কে রক্ষা করার জন্য পালন করার জন্য অবতীর্ণ্য হন। তাই "ভূত ভাবন" বলা হয়েছে।
(ভগবানের দুই প্রকার লীলা রয়েছে প্রকট ও অপ্রকট লীলা প্রকট লীলায় ভগবান ভূতলে অবতীর্ণ হয়ে জীব সকল কে পালন করেন, ভক্তদের আনন্দ বিধান করেন, তাই শুকদেব যদি বলেন ভগবানের তো বহুবিধ লীলা রয়েছে কোন লীলা বলবো? তার উত্তরে পরীক্ষিত মহারাজ বলছেন ভগবান যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে যে প্রকট লীলা করেছেন, যে লীলায় জীব সকলকে পালন ও তাদের সাথে সম্বন্ধ স্থাপন করে তাদের কৃতার্থ করেছেন সেই লীলা আপনি বলুন। তাই "অবতীর্য্য যদোর্বংশে" বলা হয়েছে। বিশেষত যদুবংশে অবতীর্ণ হয়ে প্রকটলীলা করায় শ্রীকৃষ্ণ পরীক্ষিত মহারাজের পিতামহী সুভদ্রাদেবীর ভ্রাতা। তাই প্রকটলীলার সাথেই পরীক্ষিত মহারাজের সম্বন্ধ আছে। ভগবান যে প্রকট লীলায় জীব কে পালন করেন স্বয়ং পরীক্ষিত মহারাজ গর্ভাবস্থাতেই তা উপলব্ধি করেছেন। সেই ভগবানের আর কি কি লীলা রয়েছে তা তিনি জানতে চেয়েছেন।)
কেন ভগবান জীব সকলকে পালন করতে অবতীর্ণ হন? কারন তিনি "বিশ্বাত্মা" অর্থাৎ তিনি চেতনাদি শক্তির প্রেরক, স্বভাবতই তিনি হিতকারী, তার পরম স্বরূপ প্রেমেই পর্য্যবসিত হয়।
(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরমাত্মার ও আত্মা। তাই তিনি বিশ্বাত্মা।
পরমাত্মা যিঁহো তিঁহো কৃষ্ণের এক অংশ।
আত্মার আত্মা হন কৃষ্ণ সর্ব অবতংস।। চৈ.চ মধ্য/২০/১৬১।
আবার ভাগবতে ১০/১৪/৫৫ এও বলা হয়েছে
কৃষ্ণমেনমবেহি ত্বমাত্মানমখিলাত্মনাম্।
জগদ্ধিতায় যোহপ্যত্র দেহীবাভাতি মায়য়া।।
অনুবাদ:- তোমার জানা উচিত শ্রীকৃষ্ণ সমস্ত জীবের মূল আত্মা। তার অহৈতুকী কৃপা বশত সমস্ত জগতের মঙ্গলের জন্য অন্তরঙ্গা শক্তির প্রভাবে তিনি সাধারন মানুষ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন।
শ্রীকৃষ্ণ এক অংশের দ্বারা সকল জীব ও জগতের মধ্যে অন্তর্যামী রূপে অবস্থান করেন (গীতা ১০/৪২)
অথবা বহুনৈতেন কিং জ্ঞাতেন তবার্জ্জুন।
বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎস্নমেকাংশেন স্থিতো জগৎ।।
তাই জীব তার সাথে কোনো সম্বন্ধ যদি নাও রাখে তবুও ভগবান সকল জীবের ইন্দ্রিয়গুলিকে শক্তি প্রদান করেন, চেতনাশক্তি সঞ্চার করেন।
শ্রীকৃষ্ণ তাই সকল জীবের স্বাভাবিক হিতকারী। তাই ভগবানই জীব সকল কে পালন করতে অবতীর্ণ গন। আর এজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভিন্ন অন্য কোনও দেবদেবীর অবতার নেই।)
তাই সেই সকল লীলা সমূহ "বদ" অর্থাৎ কীর্তন করুন। যে সকল লীলা তিনি করেছেন তা সব আপনি বলুন, এবং তা বিস্তারপূর্বক বলুন। পূর্বের মতো সংক্ষেপে নয়, "বিস্তরাৎ" শব্দের অর্থ এই লীলাদি করার প্রয়োজনাদি ব্যাখ্যা করে বলুন। যদিও পরীক্ষিত মহারাজ জানেন অনন্ত শ্রীকৃষ্ণের সমস্ত লীলা বর্ণনা করা সম্ভব নয় তাও কেন বলছেন বিস্তারপূর্বক সমস্ত লীলা বর্ণনা করুন? হরি কথা শ্রবণে অত্যন্ত লালসা বশত তিনি এই কথা বলেছেন।
শ্রীধরস্বামীপাদ গীতা ভাষ্যে ৯/৫ ভূত ভাবন শব্দের ব্যাখ্যা করেছেন ভূতানি ভাবয়তি পালয়তীতি ভূত ভাবনঃ।
এই শ্লোকের কোনো ক্রমসন্দর্ভ টীকা নেই।
<<< Previous Page