Nrisingha nakha stuti

Nrisingha nakha stuti

॥ শ্রী নৃসিংহনখস্তুতিঃ ॥
পান্ত্বস্মান্ পুরুহূত বৈরি বলবন্ মাতঙ্গ মাদ্যদ্ঘটা । কুংভোচ্চাদ্রিবিপাটনাঽধিকপটু প্রত্যেক বজ্রায়িতাঃ । শ্রীমৎকণ্ঠীরবাস্যপ্রততসুনখরা দারিতারাঽতিদূর । প্রদ্ধ্বস্ত ধ্বাংত শাংত প্রবিতত মনসা ভাবিতা ভূরিভাগৈঃ ॥ ১॥
অনুবাদ:- হে শ্রী নরসিংহ দেব আপনি অন্তর্যামী, আপনার নখরাজি সকলকে রক্ষা করুক। যেমন একটি সিংহ বন্যহস্তীর দলের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার তীক্ষ্ণ নখ দ্বারা হস্তীর মুন্ড ছিঁড়ে আনে, যেমন ইন্দ্রের বজ্রায়ুধ সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে খন্ড খন্ড করে, তেমন ভাবে আপনার শক্তিশালী দিব্য নখ দ্বারা ব্রহ্মা রুদ্রাদি দেবগনের বরপ্রাপ্ত অসুর রা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
সমস্ত দেবগন এই নখরাজীর প্রার্থনা করে যা সমস্ত পাপকর্ম জনিত কর্মফল ও প্রারব্ধ কে নাশ করে, পূর্ণজ্ঞাণ দান করে যা অজ্ঞানতা দূর করে।
লক্ষ্মীকান্তসমন্ততোঽপিকলয়ন্ নৈবেশিতুঃ তে সমম্ । পশ্যাম্যুত্তমবস্তু দূরতরতো পাস্তং রসো য়োঽষ্টমঃ । য়দ্রোশোত্কর দক্ষনেত্রকুটিলঃ প্রাংতোত্থিতাঽগ্নি স্ফুরত্ । খদ্যোতোপমবিস্ফুলিঙ্গ ভসিতা ব্রহ্মেশশক্রোত্করাঃ ॥ ২॥
অনুবাদ:- হে শ্রী নৃসিংহদেব আপনি লক্ষ্মীকান্ত, আপনার সমান বা দ্বিতীয় কেউ নেই। যদি আপনার সমান বলে কিছু থাকে তা হল অষ্টম রস আপনি অসমোর্দ্ধ।
বহু ব্রহ্মান্ডে বহু ব্রহ্মা বহু রুদ্র বহু ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবগণ রয়েছে, যারা আপনার পলক ফেলা মাত্রে প্রলয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। আপনার দুই চক্ষু জোনাকীর (খদ্যোত)  মতো ক্ষুদ্র হলেও সূর্যের মতো প্রখর।
ইতি শ্রীমদানন্দতীর্থ ভগবত্পাদাচার্য বিরচিতং শ্রী নৃসিংহনখস্তুতিঃ সম্পূর্ণম্ ॥ ভারতীরমণমুখ্যপ্রাণাংতর্গত শ্রীকৃষ্ণার্পণমস্তু ॥
এই শ্লোকটি মাধ্বাচার্য্যের শিষ্য  ত্রিবিক্রম পন্ডিতাচার্য্য রচিত। বা মতান্তরে মাধ্বাচার্য্যই শ্রী নরসিংহ দেবের নখ স্তুতি রচনা করেছেন। নরসিংহ দেব কেবল মাত্র নখ অস্ত্র ব্যাবহার করেই মহাদৈত্য হিরণ্যকশিপু কে বধ করেছিলেন। নরসিংহ দেবের মাহাত্ম্য এমনই যে আচার্য্যগন ভগবান নরসিংহ দেবের নখ এর মাহাত্ম্য সম্পর্কে বলছেন শ্রী নারায়ণের সুদর্শন চক্র যা বরাহ দেবের দন্ত পরশুরামের পরশু রূপে অবতীর্ণ হয়েছিল তা ই নরসিংহ দেব এর নখ রূপে প্রকট হয়েছে। এই জন্যই লক্ষ্মীদেবীর স্তনদ্বয় আলিঙ্গিত ভগবানের শ্রীহস্তকমলে বজ্রকঠিন নখ। সুদর্শন চক্র রূপী নরসিংহ দেবের নখ রাজী কেবল অসুর বধ ই করেনা, ভক্তের অন্তরে স্থিত দুর্দান্ত কামবাসনা কে চিরে বার করে আনে। অনাদি কাল ধরে সঞ্চিত কর্মফল ছিন্ন ভিন্ন করে।