Ballavpur: Radha ballav temple

Ballavpur: Radha ballav temple

বল্লভপুর রাধাবল্লভ মন্দির

বল্লভপুরে রদ্র পন্ডিতের শ্রীপাট। কমলাকর পিপ্পলাই এর শ্রীপাট মাহেশ থেকে কি.মি দূরে বল্লভপুরে রাধাবল্লভ মন্দির আছে।‌
বীরচন্দ্র প্রভু গৌড়ের নবাবকে খুশি করে যে তেলুয়া পাথর এনেছিলেন। সেই পাথর দিয়ে তিন বিগ্রহ নির্মাণ করান। শ্রীরাধাবল্লভ বর্তমানে বল্লভপুরে, শ্রীশ্যামসুন্দর খড়দহে বীরচন্দ্র প্রভুর সেবিত, শ্রী নন্দদুলাল সাঁইবোনায় সেবিত হচ্ছেন। 

রুদ্রপন্ডিত
 চৈতন্যচরিতামৃতে তাকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উপশাখা বলা হয়েছে। শঙ্করারণ্য আচার্য্য এই ধারার মূল শাখা। মুকুন্দ, কাশীনাথ, ও রুদ্র পন্ডিত উপশাখা। 
শঙ্করারণ্য আচার্য্য বৃক্ষের এক শাখা।
মুকুন্দ, কাশীনাথ, রুদ্র উপশাখা লেখা।। (চৈ.চ আদি/১০/১০৬)
গৌরগণোদ্দেশ দীপিকা য় বলা হয়েছে— রুদ্র পন্ডিত ছিলেন কৃষ্ণলীলায় বরূথপ উপগোপাল। 
বরূথপঃ সখা নাম্না কৃষ্ণচন্দ্রস্য যো ব্রজে।
আসীৎ স এব গৌরাঙ্গবল্লভঃ রুদ্রপন্ডিতঃ।। ১৩৫
রুদ্ররাম পন্ডিত ছিলেন কাশীশ্বর বা মতান্তরে কাশীনাথ পন্ডিতের ভগ্নীর পুত্র। 



রাধাবল্লভ মন্দির
মন্দিরটি একচালা মন্দিরের আদলে নির্মিত। খড়দহের শ্যামসুন্দর মন্দিরের সঙ্গে নির্মাণ কৌশলের সাদৃশ্য লক্ষণীয়। সামনে একটি নাটমন্দির আছে। মন্দিরে রাধাবল্লভ, কয়েক মূর্তি শালগ্রাম,  ও গোপাল সেবিত হচ্ছেন। পাশে একটি ঘরে আগে মাহেশের জগন্নাথ রথযাত্রার সময় এসে থাকত। এখন দুই মন্দিরের সেবকদের মনোমালিন্যের জন্য মাহেশের জগন্নাথ আর এখানে আসেননা। তাই সেখানে জগন্নাথের প্রতিমূর্তি রাখা আছে। মন্দিরের পিছনে ভোগ রন্ধনের জন্য ভোগশালা আছে। 
রুদ্ররাম পন্ডিতের ছোটো ভাই যদুনন্দন বন্দোপাধ্যায়ের বংশধরগণ বর্তমানে শ্রীরাধাবল্লভজীউর সেবায়েত। এই মন্দিরে রাস, দোল, জন্মাষ্টমী বড় উৎসব রূপে পালিত হয়। 
প্রাচীন রাধাবল্লভ মন্দির বল্লভপুর ঘাটে শ্রীরামপুর water supply plant এর কাছে ছিল। এই মন্দির টি গঙ্গার ভাঙ্গনে নষ্ট হয়ে‌ গেলে ১৭৬৪ সালে শ্রী নারায়ণ চন্দ্র মল্লিক মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন। 
বল্লভপুর ঘাটের কাছে রাধাবল্লভের সুদৃশ্য রাসমঞ্চ দর্শনীয়। 
এই মন্দির থেকে কাছেই আকনা চৌধুরীপাড়া লেনে মদনমোহন মন্দির আছে। সম্ভবত রুদ্র পন্ডিতের কোনো শিষ্যের দ্বারা এই বিগ্রহ সেবা হত। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল নির্মাণের সময় জঙ্গলের মধ্যে ভগ্ন স্তুপ থেকে এই বিগ্রহ পাওয়া যায়।



















কিভাবে যাবেন:- 
হাওড়া ব্যান্ডেল রেলপথে শ্রীরামপুর স্টেশনে এসে এই শ্রীপাটে যাওয়া যায়। স্টেশন এর কাছ থেকে বল্লভপুর ও  মাহেশ পর্যন্ত জিটিরোডে বাস যাওয়া আসা করে। বল্লভপুর স্টপেজে নেমে অল্প হেঁটে এই শ্রীপাটে আসা যায়। 

Google Map Direction