রাধা গোপীনাথ
বজ্রনাভ মহারাজ বৃন্দাবনে বংশীবটে গোপীনাথের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে গোপীনাথ বিগ্রহ সম্পর্কে বলা হয়েছে
গোপীনাথাবতারো স্থানং মথুরায়াং বিরাজিতাঃ।
দশবর্ষমবস্থায়াং চতুঃ ষষ্ঠি কলান্বিতঃ।।
দশ বর্ষাবতারশ্চ গোপী নাথাভিধানতঃ।
রাজ সেবাভিধানশ্চ ললিতা রাধয়ান্বিতঃ।।
অনুবাদ:- মথুরামন্ডলে ললিতা ও রাধারানীর সাথে চৌষট্টি কলাতে পরিপূর্ণ দশ বর্ষ সদ্য কৈশোর বয়সী গোপীনাথ অবস্থান করেন। মুসলিম আক্রমন কালে এই বিগ্রহ সেবকরা গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখে। পরে গদাধর পন্ডিত গোস্বামীর শিষ্য মধু পন্ডিত এই বিগ্রহ প্রকট করেন।
গোপীনাথজীর প্রকট কাহিনী
মধুপন্ডিত গোস্বামী সারা ব্রজমন্ডলে গোপীনাথকে খুঁজতে খুঁজতে একদিন বংশীবটের কাছে চেতনা হারিয়ে পড়ে যান। তখন সিদ্ধ স্বরূপে তিনি বংশীবটে রাসলীলায় গোপী গণ পরিবেষ্টিত গোপীনাথের দর্শন করেন। গোপীনাথকে দেখে তিনি তার চরণযুগল বক্ষে জড়িয়ে ধরেন। পরে চেতনা ফিরলে দেখেন তার বক্ষে গোপীনাথ বিগ্রহ ধরা আছে। গোপীনাথ বিগ্রহের সাথেই রাধারানী প্রকট হয়েছিলেন। ভক্তিরত্নাকরে বলা হয়েছে—
রাধিকা সহ গোপীনাথের প্রকট।
পূর্বে জানাইল বংশীবটের নিকট।।
ভক্তি রত্নাকরে গোপীনাথের প্রকট কাহিনী
মধুপন্ডিত গোস্বামী সারা ব্রজমন্ডলে গোপীনাথকে খুঁজতে খুঁজতে একদিন বংশীবটের কাছে চেতনা হারিয়ে পড়ে যান। তখন সিদ্ধ স্বরূপে তিনি বংশীবটে রাসলীলায় গোপী গণ পরিবেষ্টিত গোপীনাথের দর্শন করেন। গোপীনাথকে দেখে তিনি তার চরণযুগল বক্ষে জড়িয়ে ধরেন। পরে চেতনা ফিরলে দেখেন তার বক্ষে গোপীনাথ বিগ্রহ ধরা আছে। গোপীনাথ বিগ্রহের সাথেই রাধারানী প্রকট হয়েছিলেন। ভক্তিরত্নাকরে বলা হয়েছে—
রাধিকা সহ গোপীনাথের প্রকট।
পূর্বে জানাইল বংশীবটের নিকট।।
ভক্তি রত্নাকরে গোপীনাথের প্রকট কাহিনী
পরমানন্দ ভট্টাচার্য্য মহাশয়।
শ্রীমধু পন্ডিত অতি গুনের আলয়।।
দোঁহা প্রেমাধীন কৃষ্ণ ব্রজেন্দ্রকুমার।
পরমদুর্গমচেষ্টা কহি সাধ্য কার।।
বংশীবট নিকটে পরম রম্য হয়।
তথা গোপীনাথ মহারঙ্গে বিলসয়।।
শ্রীমধুপন্ডিত হৈলা সেবা অধিকারী।
শ্রী পরমানন্দ ভট্টাচার্য্য মহাশয়।
মধুপন্ডিতে তাঁর স্নেহ অতিশয়।।
জাহ্নবা মাতার গোপীনাথেে রাধারানীর বিগ্রহ প্রকাশ
গোপীনাথের রাধারানীর বিগ্রহ খুব ছোট বলে নিত্যানন্দশক্তি জাহ্নবা মাতা গোপীনাথের জন্য বড়ো রাধারানীর বিগ্রহ বানিয়ে পরমেশ্বরী দাস কে দিয়ে বৃন্দাবনে পাঠান। সেই বিগ্রহ গোপীনাথের বাম দিকে বসানো হয়। আগের বিগ্রহ ডানদিকে রাখা হয়।
ভক্তিরত্নাকরে (১১/২৩৬-২৪৩)
ভক্তিরত্নাকরে (১১/২৩৬-২৪৩)
একদিন শ্রী গোপীনাথের আগে গিয়া।
রাধা গোপীনাথে দেখি রহে দাঁড়াইয়া।।
পরম কৌতুকে মনে মনে বিচারয়।
শ্রীরাধিকা কিছু উচ্চ হৈলে ভাল হয়।।
ইহা মনে করি কারে কিছু না কহিলা।
শয়ন আরতি দেখি বাসায় আসিলা।।
স্বপ্নচ্ছলে গোপীনাথ দিয়া দরশন।
শ্রী জাহ্নবা প্রতি কহে মধুর বচন।।
আমি যৈছে উচ্চ তৈছে নহে মোর প্রিয়া।
হইয়াছে কৌতুক অসদৃশ নিরখিয়া।।
গৌড়ে গিয়া শীঘ্র প্রিয়া প্রকাশি পাঠাবে।
বামে বসিবেন তেঁহ ইহাও দেখিবে।।
শ্রীরাধিকা হাসিয়া জাহ্নবা প্রতি কয়।
না কর সঙ্কোচ এ ইচ্ছাও মোর হয়।।
ঐছে কত কহি দোঁহে অদর্শন হৈতে।
নিদ্রাভঙ্গ হৈলে হর্ষে চাহে চারিভিতে।।
জাহ্নবা মাতা গোপীনাথের রাধারানীর বিগ্রহে মিলিত হয়ে নিত্যলীলায় প্রবেশ করেন বলে গোপীনাথের বামদিকের বিগ্রহ রাধারানীর ভগ্নী অনঙ্গমঞ্জরী দেবীর অর্থাৎ জাহ্নবা দেবীর বলে মানা হয়।
বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী পাদ গোপীনাথদেবাষ্টকমে ও বলেছেন— “শ্রী জাহ্নব্যা মূর্ত্তিমান প্রেমপুঞ্জো" গোপীনাথ জাহ্নবা দেবীর সাক্ষাৎ প্রেমপুঞ্জ স্বরূপ।
আবার সপ্তম শ্লোকে বলেছেন গোপীনাথ চন্দ্রের মতো উভয় পার্শ্বে রাধিকা র মধ্যে শোভমান।
“কিম্বা মধ্যে রাধয়োঃ শ্যামলেন্দু"।
অনেকের মতে গোপীনাথের ডানদিকে ছোটো বিগ্রহ ললিতা দেবীর। নারায়ণ ভট্ট গোস্বামী নারদীয় পুরাণের শ্লোক উদ্ধার করে বলেছেন কাম্যবনাধিপ গোপীনাথের পাশে রাধারানী ও ললিতা দেবী রয়েছেন। ভক্তের আস্বাদন অনুযায়ী কোনটিই ভুল নয়।
বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী পাদ গোপীনাথদেবাষ্টকমে ও বলেছেন— “শ্রী জাহ্নব্যা মূর্ত্তিমান প্রেমপুঞ্জো" গোপীনাথ জাহ্নবা দেবীর সাক্ষাৎ প্রেমপুঞ্জ স্বরূপ।
আবার সপ্তম শ্লোকে বলেছেন গোপীনাথ চন্দ্রের মতো উভয় পার্শ্বে রাধিকা র মধ্যে শোভমান।
“কিম্বা মধ্যে রাধয়োঃ শ্যামলেন্দু"।
অনেকের মতে গোপীনাথের ডানদিকে ছোটো বিগ্রহ ললিতা দেবীর। নারায়ণ ভট্ট গোস্বামী নারদীয় পুরাণের শ্লোক উদ্ধার করে বলেছেন কাম্যবনাধিপ গোপীনাথের পাশে রাধারানী ও ললিতা দেবী রয়েছেন। ভক্তের আস্বাদন অনুযায়ী কোনটিই ভুল নয়।
গোপীনাথ বিগ্রহ প্রকট হলে প্রায় ৪০ বছর মধু পন্ডিত গোস্বামী কূটীর বানিয়ে গোপীনাথের সেবা করেন। ১৫৮৯ এ বিকানীরের রাজা সঙ্গজী গোপীনাথের মন্দির বানিয়ে দেন, যা ঔরঙ্গজেব ধ্বংস করে দেয়। সেবায়েতরা গোপীনাথের বিগ্রহ জয়পুরে নিয়ে যান।
গোপীনাথ জয়পুরে বিজয় করলেও পরবর্তীকালে বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভু র নির্দেশে গোপীনাথের প্রতিভূ বিগ্রহ বানিয়ে তার সেবা হতে থাকে। যবন দের প্রবেশের জন্য মন্দির অপবিত্র হওয়ায় প্রাচীন মন্দিরের পাশে কূটীর করে সেবা হত। ১৮১৯ সালে নতুন গোপীনাথের মন্দির নির্মান হয়।
কলকাতা নিবাসী নন্দলাল বসু নামে এক ভক্ত কে শ্রীগোবিন্দদেব স্বপ্নাদেশ করেন আমি বৃন্দাবন ত্যাগ করে কোথাও যাইনা। তাই তুমি বৃন্দাবনে গোবিন্দ, গোপীনাথ, মদনমোহনের নতুন মন্দির নির্মাণ করে দাও।
গোপীনাথ জয়পুরে বিজয় করলেও পরবর্তীকালে বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভু র নির্দেশে গোপীনাথের প্রতিভূ বিগ্রহ বানিয়ে তার সেবা হতে থাকে। যবন দের প্রবেশের জন্য মন্দির অপবিত্র হওয়ায় প্রাচীন মন্দিরের পাশে কূটীর করে সেবা হত। ১৮১৯ সালে নতুন গোপীনাথের মন্দির নির্মান হয়।
কলকাতা নিবাসী নন্দলাল বসু নামে এক ভক্ত কে শ্রীগোবিন্দদেব স্বপ্নাদেশ করেন আমি বৃন্দাবন ত্যাগ করে কোথাও যাইনা। তাই তুমি বৃন্দাবনে গোবিন্দ, গোপীনাথ, মদনমোহনের নতুন মন্দির নির্মাণ করে দাও।
গোপীনাথ মন্দির
বর্তমানে নতুন মন্দিরে গোপীনাথ ও গোপীনাথের বাম দিকে অনঙ্গমন্জরী ও ডানদিকে রাধারানীর বিগ্রহ আছে। প্রাচীন মন্দিরে বংশীধারী মহাপ্রভুর বিগ্রহ সেবিত হচ্ছেন। মন্দিরের পিছনে মধুপন্ডিতের সমাধি আছে
গোপীনাথের প্রণাম মন্ত্র
বর্তমানে নতুন মন্দিরে গোপীনাথ ও গোপীনাথের বাম দিকে অনঙ্গমন্জরী ও ডানদিকে রাধারানীর বিগ্রহ আছে। প্রাচীন মন্দিরে বংশীধারী মহাপ্রভুর বিগ্রহ সেবিত হচ্ছেন। মন্দিরের পিছনে মধুপন্ডিতের সমাধি আছে
গোপীনাথের প্রণাম মন্ত্র
শ্রীমন রাস রসারম্ভী বংশীবট তটস্থিতঃ।
কর্ষণ বেণুস্বনৈর্গোপী গোপীনাথঃ শ্রিয়োঽস্তুনঃ।।
বেণু ধ্বনিতে সকলকে আকৃষ্টকারী বংশীবট তটে স্থিত রাস রসের প্রবর্তক গোপীনাথ আমাদের মঙ্গল করুন। দর্শনের সময় 7:30- 11:45 am, 4:30-8:30 pm
দর্শনীয়
গোপীনাথ মন্দির, বংশীধারী মহাপ্রভু
নতুন মন্দিরে গোপীনাথের প্রতিভূ বিগ্রহ
মধু পন্ডিতের সমাধি
কিভাবে যাবেন:- রাধা গোপীনাথজী বৃন্দাবনের একটি বিখ্যাত মন্দির সহজেই টোটো করে এই মন্দিরে আসা যায়।
Google Map direction