সাঁইবোনা নন্দদুলাল মন্দির
সাঁইবোনা উত্তর চব্বিশপরগণা জেলায় ব্যারাকপুর থেকে কি.মি দূরে অবস্থিত। বীরচন্দ্র প্রভু গৌড়ের নবাবকে খুশি করে যে তেলুয়া পাথর এনেছিলেন। সেই পাথর দিয়ে তিন বিগ্রহ নির্মাণ করান। সবচেয়ে বড় বিগ্রহের নাম হয় শ্রীরাধাবল্লভ, এই বিগ্রহ বর্তমানে বল্লভপুরে, তারপরে মেজ বিগ্রহ শ্রীশ্যামসুন্দর খড়দহে বীরচন্দ্র প্রভু সেবা করতেন, একদম ছোট বিগ্রহ শ্রী নন্দদুলাল সাঁইবোনায় সেবিত হচ্ছেন। মাঘী পূর্ণিমার দিন এই তিন ঠাকুর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তাই ভক্তরা মাঘীপূর্ণিমার দিন এই তিন ঠাকুর দর্শনে আসে।
গৌর পার্ষদ কাশীশ্বর বা কাশীনাথ পন্ডিতের ভগ্নীর তিন পুত্র রুদ্র পন্ডিত, লক্ষণ পন্ডিত ও রামনাথ
রুদ্রপন্ডিত শ্রীরামপুরের বল্লভপুরে রাধাবল্লভের সেবা প্রবর্তন করেন। তার ভাই লক্ষণ পন্ডিত নন্দদুলাল কে সাঁইবোনায় প্রতিষ্ঠা করে সেবা প্রবর্তন করেন।
নন্দদুলাল মন্দির
গর্ভগৃহে রাধারানী সহ নন্দদুলাল, শালগ্রাম, জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা সেবিত হচ্ছেন। গর্ভগৃহের সামনে একটি নাট মন্দির আছে। মন্দিরের সামনে দুটি শিব মন্দির ও মন্দিরের পিছনে একটি গোশালা আছে। মন্দিরের সামনে একটু দূরে দোলমঞ্চ আছে।
দোলযাত্রা, মাঘী পূর্ণিমা, এই মন্দিরের প্রধান উৎসব।
সকালে এসে যোগাযোগ করলে স্বল্পমূল্যে দুপুরের প্রসাদ পাওয়ার ব্যাবস্থা আছে।
শ্রীপাটের পাশ দিয়ে একসময় লাবণ্য নদী বয়ে যেত এখন তা নোয়াই খাল নামে পরিচিত।
বর্তমানে সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ জীর সম্প্রদায় দ্বারা সেবা হচ্ছে।
কিভাবে যাবেন:-
শিয়ালদহ মেন লাইনে ব্যারাকপুর স্টেশন আছে। ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে কি.মি দূরে।
ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে বারাসাত যাওয়ার বাস বা অটো তে উঠে মাতারাঞ্জী স্টপেজে নামতে হবে। সেখান থেকে ভ্যান, রিকশা বা পায়ে হেঁটে এই শ্রীপাটে আসা যায়।
Google Map Direction