SU_BEN_1.13

SU_BEN_1.13

<<<Previous verse             Next verse>>>

মন্ত্র ১৩
বহ্নের্যথা যোনিগতস্য মূর্ত্তি
র্ন দৃশ্যতে নৈব চ লিঙ্গনাশঃ।
স ভূয় এবেন্ধনযোনিগৃহ্য
স্তদ্বোভয়ঁ বৈ প্রণবেন‌‌ দেহে।।
অনুবাদ:- অরণির মধ্যে অবস্থিত অগ্নি যেমন বোঝা যায়না, কিন্তু ইন্ধন বা অরণি মন্থনে ইন্ধন রূপ যোনি থেকে অগ্নি উৎপন্ন হয়। সেরকম জীব রূপ শরীরের মধ্যে অন্তর্যামী রূপে বিদ্যমান ভগবানের প্রতীতি না হলেও প্রণব দ্বারা মন্থন করলে তার প্রতীতি হয়। 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্য:- যোনিগতস্য কারণভূতারণিগতস্য বহ্নেঃ মূর্ত্তিঃ স্বরূপং প্রত্যক্ষেণ ন দৃশ্যতে পশ্চান্মথনে সতি ইন্ধনযোনিতয়া ইন্ধনপ্রভবতয়া গৃহ্যতে তদ্বৎ প্রণবেন পরমাত্মশরীরভূতজীবে শোধ্যমানে পূর্বং প্রতীতস্যান্তরৃয্যামিণঃ সূক্ষ্মবস্ত্রাঞ্চলান্তর্গত মাণিক্যবৎ প্রত্যগ্বস্তৃন্তরৃগতোপলব্ধিরৃভবতীত্যর্থঃ। তদ্বোভয়মিত্যত্র বা শব্দ ইবার্থঃ।।
রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:- যোনিগত অর্থাৎ নিজ কারণরূপী কাঠের মধ্যে থাকা অগ্নির মূর্ত্তি বা প্রকট অবস্থা সাধারন অবস্থায় দেখা যায়না। কিন্তু কাঠে কাঠে ঘর্ষণের ফলে এই কাঠ অগ্নির আশ্রয়স্থল বলে কাঠ থেকে উৎপন্ন‌ অগ্নি স্ফুলিঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয়। সেরকম প্রণবের মননাদির দ্বারা পরমাত্মার শরীররূপী জীব যে পরিমাণে পরিশুদ্ধ হতে থাকবে ততই শাস্ত্রবাক্য শ্রবণে পূর্বে প্রতীত অন্তর্য্যামী পরব্রহ্ম কে সুক্ষ্ম বস্ত্র আবৃত মাণিক্যের মতো জীবাত্মার অন্তর্গত রূপে প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হবে।‌ মন্ত্রে ‘তদ্বোভয়ম' অর্থ সেই উভয়বস্তুর মতো (কাঠ ও কাঠের মধ্যে থাকা অগ্নির মতো) এখানে বা শব্দটি ইব অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে। 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্য:-  প্রণবেন প্রকাশপ্রকারমেব দর্শয়তি।
রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:- প্রণব মননের দ্বারা অন্তর্য্যামীর প্রত্যেক প্রকাশ কি ভাবে হয়ে থাকে তা পরবর্তী মন্ত্রে বলা হচ্ছে।