SU_BEN_1.3

SU_BEN_1.3

<<<Previous verse             Next verse>>>
মন্ত্র ৩
তে ধ্যানযোগানুগতা অপশ্যন্
দেবতাত্মশক্তিং স্বগুণৈর্নিগূঢ়াম্।
যঃ কারণানি নিখিলানি তানি
কালাত্মযুক্তান্যধিতিষ্ঠত্যেকঃ।। ১/৩
অনুবাদ:- এই সকল ব্রহ্মবাদী ঋষিগণ তর্ক পরিত্যাগ করে ধ্যানস্থ হয়ে মূল কারণবস্তু প্রত্যক্ষ দর্শন করলেন যে পরমাত্মার নিজ শক্তি প্রকৃতি, পুরুষ (জীবাত্মা) ও কাল। এবং এই শক্তিত্রয় বিশিষ্ট পরমাত্মাকে জগৎকারণবস্তু বলে বুঝতে পারলেন। 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্য:-   এবং ধ্যানযোগযুক্তামুনয়োঽপহণপাপ্মা দিব্যো দেব একো নারায়ণ ইতি শ্রুতিপ্রসিদ্ধ দেবশব্দিত নারায়ণাত্মিকাং কার্যোপযোগ্যপৃথকসিদ্ধবিশেষণত্বেন শক্তিশব্দিতাং সত্ত্বরজস্তমোলক্ষণস্বগুণোপেতাং ব্রহ্মণো জগৎকারণত্বনির্বাহিকাং প্রকৃতিং দৃষ্টবন্ত ইত্যর্থঃ ততঃপরং তচ্ছরীরকং সর্ববিধকারণং সর্বকারণাধিষ্ঠাতারং সমাভ্যধিকশূণ্যপরমাত্মানমপি দৃষ্টবন্ত ইত্যাহ।। ১/৩
রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:-ধ্যানযোগে সিদ্ধ মুনিগন তখন নিম্নোক্ত প্রকারে সেই জগৎ কারণের ধ্যান করলেন— “এই পাপবিরহিত দিব্য এক দেবতা নারায়ণ" এই প্রসিদ্ধ শ্রুতিবাক্যে দেবতা শব্দে অভিহিত যে নারায়ণ তিনি সমগ্র প্রকৃতির(অচেতন বস্তুর) আত্মারূপে বিরাজমান। অতএব এই প্রকৃতি পরমাত্মা নারায়ণের শরীররূপী বিশেষণ এবং এই বিশেষণ অপৃথকসিদ্ধ অর্থাৎ প্রকৃতি ও পরমাত্মার এই শরীর ও আত্মা সম্বন্ধ নিত্য। উপনিষদ মন্ত্রে শক্তি শব্দে এই প্রকৃতিই অভিহিত হয়েছে। এই প্রকৃতির তিনটি গুণ সত্ত্ব, রজ ও তম। 
এই শক্তির দ্বারা ব্রহ্মের জগৎকারণত্ব প্রমাণিত হয়। (ব্রহ্ম ই যে জগতের উপাদান কারণ তা প্রমাণ হয়।) তারপরে মুনিগণ আরো দর্শন করেছেন যে প্রকৃতিরূপ শরীরবিশিষ্ট এই পরমাত্মবস্তু বা ব্রহ্মবস্তুই  জগতের সর্ববিধ কারন এবং সর্ববিধ কারণের অধিষ্ঠাতৃ দেবতা। তার সমান ও অধিক কেউ নেই। 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্য:-  উক্তোর্থঃ চিত্তসৌকর্য্যায় তং চক্রত্বেন রূপয়তি—
রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:-রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:-উপরোক্ত অর্থটি বোঝার সুবিধার জন্য জগৎকারণ বস্তু পরমাত্মা কে পরবর্তী শ্লোকে চক্রের রূপকে বর্ণনা করছেন।