SU_BEN_1.8

SU_BEN_1.8

<<<Previous verse             Next verse>>>

মন্ত্র ৮
সংযুক্তমেতৎ ক্ষরমক্ষরঞ্চ
ব্যাক্তাব্যক্তং ভরতে বিশ্বমীশঃ।
অনীশশ্চাত্মা বধ্যতে ভোক্তৃভাবাৎ
জ্ঞাত্বা দেবং মুচ্যতে সর্বপাশৈঃ।। 
অনুবাদ:- ক্ষর বা ক্ষয়শীল অচিদ্বস্তু এবং অক্ষরবস্তু বা চিদবস্তুকে ব্যক্ত ও অব্যক্ত কার্য্যকারণরূপী এই জগৎকে ঈশ্বর পরস্পর সমৃদ্ধভাবে ভরণ করেন, পোষণ করেন। চিদবস্তু জীবাত্মা স্বাধীন নন। ঈশ্বর পরবশ জীবের ভোগকত্তৃত্ব অভিমান থাকে বলে কর্মফল ভোগের জন্য সে সংসারবদ্ধ থাকে।‌ দেবতা ব্রহ্মকে জানতে পারলে তখন জীব সমস্ত বন্ধন থেখে মুক্তিলাভ করে। 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্য:- ঈশঃ পরমাত্মা ব্যাক্তাবক্তরূপং ক্ষরমচিদ্বর্গমক্ষরং চিদ্বর্গং চ পরস্পরং সংযুক্তং বিভর্তি ন তু বধ্যতে, অনীশো জীবস্তু বধ্যতে কর্মফল ভোক্তৃত্বাভিসন্ধিলক্ষণভাবসত্ত্বাৎ, পরমাত্মনস্তু ন মাং কর্মণি লিম্পন্তি ন মে কর্মফলে স্পৃহেত্যুক্তরীত্যা তস্য কর্মফলস্পৃহাভাবেন কর্মলেপাভাবাৎ স্বসংযুক্ততয়া প্রকৃতিভরণেঽপি অপহতপাপ্মতয়া প্রকৃতিসম্বন্ধপ্রতিভটস্তৎ প্রতিভটজ্ঞানবিশেষশ্চেতি নিগলিতার্থঃ।।১/৮ 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:- ঈশ্বর বা নিয়ামক পরমাত্মা ব্যাক্ত ও অব্যাক্তরূপ (অর্থাৎ স্থূল ও সুক্ষ্ম রূপ), ক্ষর ও অক্ষর (অর্থাৎ পরিণামশীল সকল অচিৎ বস্তু বা জড়বস্তু ও পরিণামবিহীন সকল চেতনবর্গকে) পরষ্পর সংযুক্ত করে তাদের পালন করেন। কিন্তু তাদের দ্বারা বদ্ধ হননা। অনীশ অর্থাৎ ঈশপরতন্ত্র জীব, কিন্তু বদ্ধ থাকে। কারন জীবের কর্মফল ভোগের ইচ্ছা আছে। পরমাত্মার কিন্তু কর্মফলে কোনো স্পৃহা নেই। সেজন্য কর্মবন্ধন ও নেই। গীতায় ভগবান বলেছেন কোনো কর্ম আমাকে লিপ্ত করতে পারেনা, আমার কর্মফলে কোনো স্পৃহা নেই। পরমাত্মা সমস্ত পাপ বর্জিত, কর্মফল লাভের ইচ্ছার অভাবে কর্মের‌ সাথে কোনো সংস্পর্শ হয়না তাই প্রকৃতির পালনকর্ত্তা হলেও তিনি প্রকৃতির সাথে সম্বন্ধ হীন। ও জ্ঞানহীন অচেতন প্রকৃতির বিপরীত জ্ঞানবিশেষ বস্তু। 
রঙ্গরামানুজ ভাষ্য:-  পরস্পরবৈল্যক্ষণ্যমেব প্রপঞ্চয়তি।
রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের অনুবাদ:- জীব ও পরমাত্মার পরষ্পর‌ বৈলক্ষণ্য পরবর্তী শ্লোকে বলা হচ্ছে।