শ্রী ব্রহ্মোবাচ
ষষ্টিবর্ষসহস্রাণি ময়া তপ্তং তপঃ পুরা
নন্দগোপব্রজস্ত্রীণাং পাদরেণুপলব্ধয়ে।
তথাপি ন ময়া প্রাপ্তাস্তাসাং বৈ পাদরেণবঃ।।
ভৃগ্বাদিরুবাচ
বৈষ্ণবানাং পাদরজো গৃহ্যতে তদ্বিধৈরপি।
সন্তি তে বহবো লোকে বৈষ্ণবা নারদাদয়ঃ।।
তেষাং বিহায় গোপীনাং পাদরেণুস্ত্বয়াপি যৎ।
গৃহ্যতে সংশয়ো মেঽত্র কো হেতুস্তদ্বদ প্রভো।।
শ্রীব্রহ্মোবাচ
ন স্ত্রিয়ো ব্রজসুন্দর্য্যঃ পুত্র! শ্রেষ্ঠাঃ শ্রিয়োঽপি তাঃ।
নাহং শিবশ্চ শেষশ্চ শ্রীশ্চ তাভিঃ সমাঃ ক্বচিৎ।।
বামনপুরাণে ভৃগু প্রভৃতি মহর্ষিগণ এর প্রতি ব্রহ্মা বলছেন আমি পুরাকালে নন্দব্রজস্থিত গোপীগণের পাদরেণু প্রাপ্তির জন্য ষাট হাজার বৎসর ব্যাপিয়া তপস্যায় প্রবৃত্ত হয়ে ছিলাম। তথাপি আমি তাদের পাদরেণু লাভ করতে পারিনি।
ভৃগু প্রভৃতি মহর্ষিগণ বললেন বৈষ্ণব গণের পাদরেণু যদি আপনার মত ব্যাক্তিকে গ্রহণ করতেই হয় তবে এই জগতে শ্রীনারদাদি বহুতর বৈষ্ণব আছেন তাদের উপেক্ষা করে গোপীগণের পাদরেণু কেন গ্রহণ করলেন।
ব্রহ্মা বললেন
হে পুত্র! ব্রজসুন্দরীগণ প্রাকৃত স্ত্রী নন। তাঁরা স্বরূপ শক্তির বৃত্তিভূতা। শ্রীলক্ষ্মীদেবী অপেক্ষা ও শ্রেষ্ঠা। আমি ব্রহ্মা, শিব, অনন্তদেব ও লক্ষ্মী প্রভৃতি আমরা কেউই কোন কালে তাদের সমান হতে পারি না।