Rigveda 1-1-1 commentary by madhvacharya

Rigveda 1-1-1 commentary by madhvacharya

 


প্রথমসূক্ত 


১/১/১

ॐ অগ্নিমীলে পুরােহিতং যজ্ঞস্য দেবমৃত্বিজং । হােতারং রত্নধাতমং ॥১॥


অন্বয়:- অগ্নিম্= প্রথমপূজ্য বা যিনি অগ্রে আনয়ন করেন বা সর্বোচ্চপদ মোক্ষ প্রদান করেন অর্থাৎ পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ, ঈলে= আমি প্রশংসা করি, পুরঃঽহিতম্= যিনি নিত্যকাল ধরে সর্ব জীবের প্রতি অনুকূল, যজ্ঞস্য= জ্ঞানযজ্ঞে ঋত্বিজম্= যিনি যজ্ঞ সম্পাদনকারী ঋত্বিক গণের অন্তরে ব্যাপ্ত হয়ে আছেন অথবা যিনি ইন্দ্রিয় সকলের অধিষ্ঠাত্রী হয়ে তাদের নিয়ামক ॥ দেবম্= যিনি দিব্য বা দ্যোতমান, সর্বপ্রকাশক, সর্বত্র জয়যুক্ত হন, সর্বত্র পূজ্য, সর্বজ্ঞ, ক্রীড়মান হোতারম্= যিনি হোতৃগণের নিয়ামক রূপে প্রসিদ্ধ, অথবা যিনি ইন্দ্রিয়রূপ অগ্নিতে ইন্দ্রিয়ের বিষয় রূপ আহুতি প্রদান করেন রত্নঽধাতমম্= যিনি পূর্ণ আনন্দ ধারণ করেন অর্থাৎ আনন্দময় বা পূর্ণ ঐশ্বর্য্যপূর্ণ ॥১॥

 


মন্ত্রার্থ মঞ্জরী:- রত্নধাততম্ রমেঃ ঔণাদিকে ক্ত্নপ্রত্যয়ে ‘লশক্কতদ্ধিতে' ইতি ককারলোপে 'অনুদাত্তোপদেশবনতি তনোত্যাদীনামনুনাসিকলোপো ঝলি ক্বিতি' ইতি ধাতোর্মকারলোপে ‘রত্ন ' ইতি রূপত্বাদ্রত্নং সুখং ধত্ত ইতি রত্নধাঃ 'ডুধাঞ্ ধারণপোষণয়োঃ' ইত্যতঃ ‘আতো মনিন্বনিব্বনিপশ্চ' ইতি চাদ্বিচ্প্রত্যয়ে রূপত্বাৎ, অতিশয়েন রত্নধা রত্নধাতমস্তম্। দেবম্ ‘দ্বিবু ক্রীড়াবিজিগীষাব্যাবহারদ্যুতিস্তুতি মোদমদস্বপ্নকান্তিগতিষু' ইত্যুক্তেঃ ক্রীড়াদ্যর্থকাদ্দীব্যতেঃপুরোহিতম অনাদিতঃ সর্বপ্রাণিনামনুকূলম, যজ্ঞস্য জ্ঞানযজ্ঞস্য ঋত্বিজম্, ঋত্বিগ্ভূতেন্দ্রিয়াভিমানিনি যামকতয়া তত্র স্থিতত্বেন ঋত্বিঙ্নামকম্ । হোতারম্ , ইন্দ্রিয়াখ্যাগ্নিষু বিষয়লক্ষণহবিষাং হোতারম্, ‘হু দানাদনয়োঃ'' ইত্যুক্তের্দাতারম্, বিষয়ভোগপ্রদমিতি যাবৎ । অগ্নিম্, অঙ্গং শরীরং নয়তি প্রেরয়তীত্যঙ্গশব্দোপপদান্নয়তেঃ ডিপ্রত্যয় উপপাদানুস্বারাকারলোপে ‘অগ্নিঃ' ইতি রূপসিদ্ধেঃ সর্বশরীরপ্রবর্তকম্ । ঈলে স্তৌমি। অত্রাধ্যাত্মং সর্বত্র মোক্ষসাধকো যঃ কশ্চিৎসাত্ত্বিক এব যজমানো জ্ঞেয়ঃ। শিষ্টং প্রাগ্বধ্যারব্যেয়ম্ । অত্রাপি বিশেষণানাং কৃত্যং তু জ্ঞানার্থিনঃ সর্বেন্দ্রিয়প্রেরকস্য যথোচিতভোগপ্রদস্য চ স্তুত্যতা যুক্তেতি স্তুত্যত্বোপপাদনমেবেতি॥১॥


অনুবাদ:- নিত্যকাল সকল জীবের প্রতি অনুকূল, জ্ঞানার্থীর সর্বেন্দ্রিয়প্রেরক ও কর্মফলার্থীর যথোচিতভোগপ্রদ, সর্বপ্রকাশক, ও আনন্দময় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্তুতি করি। 


মধ্বভাষ্য:- 

অগ্নিশব্দোয়মগ্র এবাভিপূজ্যতাম্ ।

অগ্র্যত্বমগ্রনেতৃত্বমত্তিমঙ্গাগনেতৃতাম্।

আহ তং স্তোম্যশেপস্য পূর্বমেব হিতং প্রভুম্ ।

ঋত্বিঙ্নিয়ামকত্বেন যজ্ঞানামৃত্বিজং সদা ।

দ্যোতনাদ্বিজয়াৎকাংত্যা স্তু ত্যা ব্যবহৃতেরপি ।

গত্যা রত্যাচ দেবাখ্যং হোতৃসংস্থং বিশেষতঃ ।

অগ্নিসংস্থেন রূপেণ যতোগ্নির্হোতৃদেবতা ।

ইন্দ্রিয়াগ্নিষু চার্থানাং যদ্ধোতা হোতৃনামকঃ ।

রতিধারকোত্তমত্বাৎস রত্নধাতম ঈরিতঃ ॥১॥ 


ধ্বভাষ্যের অনুবাদ:- অগ্নি শব্দে বোঝায় যিনি ১) প্রথম পূজ্য, ২)যিনি সর্ব অগ্রে থাকেন, অগ্রত্বমগ্র অর্থাৎ অগ্রগণ্য গণের ও প্রথম, ৩) নেতৃত্বদান কারী, সকলের চালক, ৪)সর্ব যজ্ঞের ভোক্তা, অথবা ইন্দ্রিয়গণের অধিপতি রূপে সর্ব জগতের ভোক্তা এবং ৫) সর্ব দেহের নিয়ামক, তার ব্যাতিরেকে সমস্ত দেহ ই জড় দেহ মাত্র। সেই পরমাত্মা, পরম পুরুষ ভগবান শ্রীহরিকে প্রণাম করি, যিনি সর্বদা জীবগণের হিতকারী, প্রভু, ও  “ঋত্বিজম" অর্থাৎ নিত্যকাল ধরে সকল চেতন আত্মার নিয়ামক তাই তাকে ঋত্বিক বলা হয়, তিনি দিব্য দ্যোতমান, সর্বত্রবিজয়ী, আনন্দময়, সর্বত্রপূজ্য, সর্বাশ্রয়, ক্রীড়মান, ও সর্ব প্রকাশক, তাই তাকে দেব বলা হয়। 

এবং তিনি বিশেষ রূপে হোতৃর অন্তরে নিয়ামক রূপে সংস্থিত, তিনি হোতা র নিয়ন্ত্রক আধ্যাত্মিক অর্থে অগ্নিকেও হোতৃ বলা হয়। শ্রীহরি হলেন হোতৃ কারন তিনি ইন্দ্রিয় রূপ অগ্নিতে ইন্দ্রিয়ের বিষয় সমূহ কে আহুতি দেন। অর্থাৎ যথোচিত ভোগ্য বস্তু সকল প্রদান করেন।  রত্নধাতম অর্থ যিনি পরম আনন্দ ধারণ করেন ও

উপাসক গণকে পরম শ্রেয় বা পরম আনন্দ দান করেন, 


তাৎপর্য্য

শ্রীমধ্বাচার্য্য তার ভাষ্যে ঋকমন্ত্রের আধ্যাত্মিক অর্থ দেখিয়েছেন ও সায়ণাচার্য্য যাজ্ঞিক অর্থ দেখিয়েছেন। যাজ্ঞিক অর্থ কর্মকান্ডের জন্য আবশ্যক, আধ্যাত্মিক অর্থ জ্ঞানকান্ডের জন্য আবশ্যক। 

যাস্ক আচার্য্য নিরুক্ত ৭/১৮ তে অগ্নি শব্দে যজ্ঞে যাতে হবি প্রদান করা হয় সেই পার্থিব অগ্নির কথা বলেছেন।‌ সেই অনুসারে সায়ণাচার্য্য অগ্নি শব্দে পার্থিব অগ্নিকে বুঝিয়েছেন। 

অগ্নিমীলে ইলে অর্থাৎ স্তুতি করি। কার? অগ্নিম্ অর্থাৎ পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের। 

শ্রীমধ্বাচার্য্য অগ্নি শব্দের বিভিন্ন অর্থ করে দেখিয়েছেন অগ্নি শব্দে পরমেশ্বর কে বোঝায় যথা—

অগ্রে নীয়তে ইতি অগ্নি 

অগ্রয়ত্বাৎ অগ্নি

অগ্রে নয়তি ইতি অগ্নি

অত্তি ইতি অগ্নি 

অঙ্গং নয়তি ইতি অগ্নি

অগম নয়তি ইতি অগ্নি

জীব সকলকে অগ্রে বা সর্বোচ্চ পদ অর্থাৎ মোক্ষ দান করেন তাই পরমেশ্বর কে অগ্নি বলা হয়। শতপথ ব্রাহ্মণ ১/৪/২/১১ ব্রহ্মহ্যগ্নিঃ তে অগ্নি শব্দে ব্রহ্ম বলা হয়েছে। বিষ্ণু সহস্রনামে বিষ্ণুর এই নাম সমূহ বর্ণনা করা হয়েছে অগ্রণী, গ্রামণীঃ ঈশান প্রাণদঃ পুরুষঃ 

পরমেশ্বর বলতে শ্রীকৃষ্ণ কেই কেন বোঝায় তা ভাষ্য এর প্রথমে মহাপূর্বপক্ষ অংশে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 

কেন স্তুতি করবো? “অত্র বিশেষাণাম কৃত্যম অগ্নিনাম্নোঽস্য স্তুত্যত্ব উপপাদনমেব।" (রাঘবেন্দ্র) পাঁচটি বিশেষণ দ্বারা বোঝানো হয়েছে কেন অগ্নি নাম্নী পরমাত্মাকে স্তুতি করা হচ্ছে। পুরোহিতম্ তিনি নিত্যকাল সকল জীবের‌ প্রতি অনুকূল। কিভাবে তিনি জীব সকলের হিত করেন? যজ্ঞস্য দেবম ঋত্বিজম তিনি জ্ঞানযজ্ঞকারীর ইন্দ্রিয় সকলের প্রেরক এবং দিব্য 

আবার ভোগাকাঙ্খীকে ও তিনি যথোচিত বিষয় ভোগ করান।‌

ভগবদ গীতায় বলা হয়েছে ১৫/৯ এ শ্রীকৃষ্ণই সকল যজ্ঞের ভোক্তা।


যাজ্ঞিক অর্থে যজ্ঞে র পুরোহিত সকলকে ঋত্বিক বলে। তাদের মধ্যে ঋক,সাম, যজু অথর্ববেদীয় পুরোহিত ভেদে হোতৃি, অধ্বর্য্যু, উদগাতৃ ও ব্রাহ্মণ এই চারটি নাম হয়। তাদের প্রত্যেকের তিনজন করে সহকারী থাকে যথাক্রমে মৈত্রাবরুণ, অচ্ছাবক, গ্রাবস্তুত, প্রতিপ্রস্থাতৃ, নেষ্টৃ, উন্নেতৃ, 

ও সুব্রহ্মণ্য

আধ্যাত্মিক অর্থে পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়, পঞ্চপ্রাণবায়ু ও মন  এই ষোলোটির অভিমাণী বা অধিষ্ঠাত্রী দেবতা সকল হলেন ষোলোজন ঋত্বিক। শ্রীমদ্ভাগবত ৪/২৯/৭৪ শ্লোকে তা বলা হয়েছে। এই অভিমাণী দেবতা গণ হলেন যথাক্রমে 

কর্ণ= চন্দ্র, ত্বক= কুবের, চক্ষু= সূর্য্য, জিহ্বা= বরুণ, নাসিকা= অশ্বিন, মুখ= অগ্নি, হস্ত= ইন্দ্র পদ= ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত, পায়ু= যম, উপস্থ= দক্ষ মন= রুদ্র, গরুড়, শেষ ও সোম। পঞ্চপ্রাণ হলো প্রাণ, অপান, ব্যান, উদান, শমান। 


‘তদ্যেয়ং বাক্সোঽয়মগ্নিঃ স হোতা' বৃহদারণ্যক ৫/১/৩ এই শ্রুতি অনুসারে হোতৃ নিয়ামক বোঝায়। 



এখানে অগ্নির যেসব বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে তা একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণেই বর্তমান। ভৌতিক অগ্নি বা অগ্নি দেবতায় নয় তাই এখানে অগ্নি শব্দে পরমেশ্বর ই করতে হবে। 

শ্রীরামানুজ আচার্য্য ও ব্রহ্মসূত্রের ১/২/২৫ বৈশ্বানরঃ সাধারণশব্দ বিশেষাৎ  এর ব্যাখ্যা করে বলেছেন বৈশ্বানর, অগ্নি ইত্যাদি শব্দ কখনো অগ্নি দেবতা, আবার কখনো পরমাত্মাকে বোঝাতে ব্যাবহার হয়। যেমন অগ্নি দেবতা অর্থে ব্যাবহার 

বিশ্বস্মা অগ্নিং ভুবনায় দেবা বৈশ্বানরং কেতুমহ্ণামকৃণ্বন্ ” (ঋক্ ১০/৮৮/১২) 

অনুবাদ:- দেবগণ সমস্ত বিশ্বভুবনের জন্য বৈশ্বানর অগ্নিকে দিবসের কেতুস্বরূপ বা চিহ্নস্বরূপ করেছেন। 

আবার পরমাত্মা পরমেশ্বর ব্রহ্ম রূপে অগ্নি শব্দের ব্যাবহার যথা—

“ বৈশ্বানরস্য সুমতৌ স্যাম রাজা হি কং ভুবনানা মভিশ্রীঃ ” (যজুঃ কান্ব ১/৫/১১)।

অনুবাদ:- আমরা যেন পরমেশ্বর বৈশ্বানরের সুদৃষ্টিতে থাকতে পারি তিনি সমগ্র ভুবনের সুখ ও সমৃদ্ধির বিধানকর্ত্তা। 

“তদাত্মন্যেব হৃদয়েঽগ্নৌ বৈশ্বানরে প্রাস্যৎ” [ যজুঃ অষ্ট ৩,প্রশ্ন ১১,অনু ৮] 

অনুবাদ:- হৃদয়স্থ আত্মস্বরূপ বৈশ্বানর অগ্নিতে তা প্রক্ষেপ করেছিলেন। 

“ স এষ বৈশ্বানরো বিশ্বরূপঃ প্রাণােঽগ্নিরুদয়তে” (প্রশ্ন উ ১/৭ )

অনুবাদ:- সেই এই প্রাণস্বরূপ বৈশ্বানর অগ্নি বিশ্বরূপ হয়ে বহুরূপে উৎক্রান্ত হয়ে থাকেন। 

কোথায় অগ্নি দেবতা অর্থে ও কোথায় পরমেশ্বর অর্থে গ্রহণ করতে হবে তা শ্রীরামানুজ আচার্য্য শ্রীভাষ্যে ব্রহ্মসূত্রকারের কথাকে বিস্তৃত করে বলেছেন  বৈশ্বানর শব্দের সাধারণ অর্থ অগ্নি দেবতা হলেও যেসব শ্রুতিতে বৈশ্বানর সম্বন্ধীয় বাক্যে পরমাত্মার অসাধারণ ধর্ম সমূহের উল্লেখ থাকে সেখানে বিশেষ ভাবে পরমাত্মাকেই বোঝায়। 


রত্ন অর্থে সম্পদ (নিঘন্টু ২/১০) আবার রত্নম রতিম ধত্ত ইতি রত্নধা(জয়তীর্থ) এই অর্থে আনন্দ ধারণ করেন বা আনন্দময় ও বোঝায়।‌ বিষ্ণুসহস্রনামে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর একটি নাম রত্নগর্ভ ধনেশ্বর। 

আবার রত্নধাততম অর্থে রমণীয় বস্তু সকল ধারণকারী দের মধ্যে সর্বোত্তম 



সায়নভাষ্য:- অগ্নিনামকং দেবং ঈলে স্তৌমি । কীদৃশমগ্নিম্ ? যজ্ঞস্য পুরোহিতম্ । যথা রাজ্ঞঃ পুরোহিতস্তদভীষ্টং সম্পাদয়তি , তথাগ্নিরপি যজ্ঞস্যাপেক্ষিতং হোমং সংপাদয়তি । যদ্বা যজ্ঞস্য সংবন্ধিনি পূর্বভাগে আহবনীয়রূপেণাবস্থিতম্ । পুনঃ কীদৃশম্ ? দেবং দানাদিগুণযুক্তম্ । পুনঃ কীদৃশম্ ? হোতারং ঋত্বিজম্ । দেবানাং যজ্ঞেষু হোতৃনামক ঋত্বিগগ্নিরেব । তথা চ শ্রূয়তে- ‘অগ্নি দেবানাং হোতা' (ঐ.বা ৩.১৪) ইতি । পুনরপি কীদৃশম্ ? রত্নধাতমং যাগফলরূপাণাং রত্নানামতিশয়েন ধারয়িতারং পোষয়িতারং বা।


সায়ণভাষ্যের অনুবাদ:- অগ্নি নামক দেবতার স্তুতি করি। অগ্নি কিরকম? তিনি যজ্ঞের পুরোহিত, অর্থাৎ যেমন রাজার পুরোহিত তার অভীষ্ট কার্য্য সম্পাদন করে সেরকম অগ্নিও যজ্ঞের অপেক্ষিত হোমকার্য্য সম্পাদন করে। অথবা অগ্নি যজ্ঞের পূর্বভাগে আহবনীয় রূপে স্থিত। পুনরায় বলছেন তিনি কিরকম ? তিনি দেব অর্থাৎ দাতাদি গুণ যুক্ত। পুনরায় তিনি কিরকম? ঐ অগ্নিই দেবতাদের যজ্ঞে হোতা নামক ঋত্বিক। শ্রুতিতেও তাই বলা হয়েছে “অগ্নির্বৈ দেবানাং হোতা" ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ৩/১৪। পুনরায় তিনি কিরকম তা বর্ণনা করছেন। ঐ অগ্নি যজ্ঞের ফলরূপ রত্নকে অত্যধিক রূপে ধারণ বা পুষ্ট করেন। 

সায়ণ ভাষ্য অনুসারে যাজ্ঞিক অর্থ:- অগ্নিদেবতার স্তুতি করি যিনি যজ্ঞের পুরোহিত, ঋত্বিক, হোতা ও দেবতা। তিনি শ্রেষ্ঠরত্নের অধিকারী। 


বিঃদ্রঃ সায়ণাচার্য্য অদ্বৈতবাদী ছিলেন তার ভাষ্যের অনুবাদ কেবল রেফারেন্স এর জন্য। বৈষ্ণব আচার্য্য দের সিদ্ধান্তের সাথে তার সিদ্ধান্ত একমত নয়। “মায়াবাদী ভাষ্য পড়িলে হয় সর্বনাশ" বাক্য মনে রেখে পাঠক সায়ণভাষ্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। মধ্বশিষ্য অক্ষোভ্য মুনি ও বেদান্তদেশিকাচার্য্যের সাথে শাস্ত্রার্থে পরাজিত হয়ে সায়ণাচার্য্য মাধ্বমত খন্ডণের জন্য বেদ ভাষ্য রচনা আরম্ভ করেন। কারন মধ্বাচার্য্য তার গ্রন্থে বহু স্থানে ঋগ্বেদ থেকে প্রমাণ দিয়ে অদ্বৈতবাদ খন্ডণ করেছিলেন।


Next>>