Daiva varnashrama Varnantara

Daiva varnashrama Varnantara

 বর্ণান্তর

এর আগের পর্বে আমরা দেখিয়েছি বর্ণপ্রথা জন্মগত নয় গুণ ও কর্মগত। পুরাণে রাজবংশাবলীর বর্ণনার যে প্রাচীন ইতিহাস পাওয়া যায় তাতে বহু বর্ণান্তরের উদাহরণ পাওয়া যায়। 

ক্ষত্রিয় রাজার সন্তান ব্রাহ্মণ বর্ণের হয়েছে আবার বৈশ্য শূদ্রের বর্ণের ও হয়েছে এরকম উদাহরণ পাওয়া যায়। তাই প্রাচীন কালে জন্মের কারনে বর্ণ হতোনা গুণ ও কর্ম অনুসারেই হতো। পরবর্তী সময়ে জন্ম অনুসারে জাতিপ্রথা প্রচলিত হয়েছে। 


ক্ষত্রিয় পিতা মাতার পুত্র ব্রাহ্মণ বর্ণ হয়েছিল

গর্গাচ্ছিনিস্ততো গার্গ্যঃ ক্ষত্রাদ্ ব্রহ্ম হ্যবর্তত ।

দুরিতক্ষয়ো মহাবীর্যাৎ তস্য ত্রয্যারুণিঃ কবিঃ॥ ১৯

পুষ্করারুণিরিত্যত্র যে ব্রাহ্মণগতিং গতাঃ ।

বৃহৎক্ষত্রস্য পুত্রোঽভূদ্ধস্তী যদ্ধস্তিনাপুরম্ ॥ ২০ ॥

অজমীঢ়ো দ্বিমীঢশ্চ পুরুমীঢ়শ্চ হস্তিন: ।

অজমীঢ়স্য বংশ্যাঃ স্যুঃ প্রিয়মেধাদয়ো দ্বিজাঃ॥২১

শ্রীমদ্ভাগবত ৯/২১/১৯-২২

অনুবাদ:- গর্গ থেকে শিনি এবং শিনি থেকে গার্গ্য জন্মগ্রহণ করেন। গার্গ্য ক্ষত্রিয় হলেও তাঁর থেকে এক ব্রাহ্মণবংশের উদ্ভব হয়। মহাবীর্য থেকে দুরিতক্ষয় নামক পুত্রের জন্ম হয় , যাঁর পুত্রদের নাম এয্যারুণি , কবি এবং পুষ্করারুণি । যদিও দুরিতক্ষয়ের এই পুত্ররা ক্ষত্রিয়বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবুও তাঁরা ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেছিলেন। বৃহৎক্ষত্রের হস্তী নামক পুত্র হস্তিনাপুর নগরী ( বর্তমান দিল্লী ) স্থাপনা করেন ।

হস্তীর অজমীঢ়, দ্বিমীঢ় এবং পুরমীঢ়, এই তিন পুত্র। প্রিয়মেধ আদি অজমীঢ়ের বংশধরগণ সকলে ব্রাহ্মণ হয়েছিলেন। (8)


যবীযাংস একাশীতির্জাযন্তেযা: পিতুরাদেশকরা মহাশালীনা মহাশ্রোত্রিযা যজ্ঞশীলা: কর্মবিশুদ্ধা ব্রাহ্মণা বভূবু: ॥ ১৩ ॥

ভাগবত ৫/৪/১৩

অনুবাদ:- রাজা ঋষভদেব ও জয়ন্তীর উপরোক্ত ঊনবিংশতি পুত্রের কনিষ্ঠ আরও একাশি জন পুত্র ছিল। তাঁদের পিতার আদেশ অনুসারে , তাঁরা অত্যন্ত বিনীত, বেদনিপুণ, যজ্ঞপরায়ণ এবং সদাচাররত আদর্শ ব্রাহ্মণ হয়েছিলেন। (8)


শ্রীমদ্ভাগবত ও মহাভারতে আছে দ্যুষ্মন্তের পুত্র রাজা ভরতের তিন পত্নীর নয় সন্তানদের মধ্যে ক্ষত্রিয়ের যোগ্যতা না থাকায় রাজা ভরত ভরদ্বাজ কে দত্তকপুত্র রূপে গ্রহণ করেন। এবং তার নাম হয় বিতথ বা ভূমন্যু। ভরদ্বাজ ছিলেন দেবগুরু বৃহষ্পতি ও মমতার পুত্র। বিতথ থেকে মন্যু, বৃহৎক্ষত্র, জয় এভাবে পৌরব বংশের বিস্তার ঘটে। 

শ্রীমদ্ভাগবত ৯/২০/৩৪-৩৯ 

মহাভারত/আদিপর্ব/৮৯/৯-১০ হরিদাস সং 


চন্দ্রবংশীয় রাজা যযাতির কনিষ্ঠ পুত্র পুরুর বংশে কণ্ব ঋষি ও তার পুত্র মেধাতিথি থেকে প্রস্কন্ন ব্রাহ্মণ রা উৎপন্ন হয়।  

ঋতেয়ো রন্তিনাবোঽভৃৎ এয়স্তস্যাত্মজা নৃপ । সুমতির্ধ্রুবোঽপ্রতিরথঃ কম্বোহপ্রতিরথাত্মজঃ ॥ 

তস্য মেধাতিথিস্তস্মাৎ প্রস্কন্নাদ্যা দ্বিজাতয়ঃ ।

শ্রীমদ্ভাগবত ৯/২০/৬-৭ 

অনুবাদ:- ঋতেয়ুর রন্তিনাব নামক এক পুত্র ছিল , এবং রন্তিনাবের সুমতি, ধ্রুব এবং অপ্রতিরথ নামক তিনটি পুত্র ছিল। অপ্রতিরথের কেবল একটিমাত্র পুত্র ছিল, যার নাম ছিল কণ্ব । কণ্বের পুত্র মেধাতিথি। প্রস্কন্ন আদি মেধাতিথির সমস্ত পুত্ররাই ছিলেন ব্রাহ্মণ।



ক্ষত্রিয় রাজা বলির ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণ পুত্র

জাতো মানুষযোনৌ তু স রাজা কাঞ্চনেষুধিঃ ।। ৩২ ।। মহাযোগী স তু বলির্বভূব নৃপতিঃ পুরা । পুত্রানুত্পাদযামাস পঞ্চ বংশকরান্ ভুবি ।। ৩৩ ।। অঙ্গঃ প্রথমতো জজ্ঞে বঙ্গঃ সুহ্যস্তথৈব চ । পুণ্ড্রঃ কলিঙ্গশ্চ তথা বালেযং ক্ষত্রমুচ্যতে ।। ৩৪ ।। বালেযা ব্রাহ্মণাশ্চৈব তস্য বংশকরা ভুবি ।

হরিবংশ পুরাণ ১/৩১/৩২-৩৪

অনুবাদ:- সুতপার পুত্র বলির পাঁচ পুত্র ছিল, অঙ্গ, বঙ্গ, সুঙ্গ, পুণ্ড্র, ও কলিঙ্গ, তাদের বালেয় ক্ষত্রিয় বলা হয়। এছাড়া বলির বংশে বালেয় ব্রাহ্মণ হয়েছিলেন যারা বলির বংশকে বৃদ্ধি করেন। (1)



বৈশ্য পিতা মাতার সন্তান মন্ত্র দ্রষ্টা ঋষি হয়েছিলেন

ভলন্দকশ্চ বাসাশ্বঃ সঙ্কীলশ্চৈব তে ত্রযঃ।।

এতে মন্ত্রকৃতো জ্ঞেযা বৈশ্যানাং প্রবরাঃ সদা।

মৎস্যপুরাণ ১৪৫/১১৬

অনুবাদ:- ভলন্দক, বাসাশ্ব, সঙ্কীল বৈশ্যবংশীয় এই তিনজন প্রধান ব্যাক্তি মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি ছিলেন। (2)



সিন্ধুদ্বীপ, দেবাপি, বিশ্বামিত্র ক্ষত্রিয় হয়েও ব্রাহ্মণত্ব লাভ করেছিলেন। 

যত্রার্ষ্টিষেণঃ কৌরব্য ব্রাহ্মণ্যং সংশিতব্রতঃ ।

তপসা মহতা রাজন্ প্রাপ্তবান্ ঋষিসত্তমঃ*॥৩৫॥

সিন্ধুদ্বীপশ্চ রাজর্ষির্দেবাপিশ্চ মহাতপাঃ ।

সিন্ধুদ্বীপং চ সম্প্রাপ্য ব্রাহ্মণ্যঁল্লব্ধবান্ পুরা ।

ব্রাহ্মণ্যং লব্ধবান্ যত্র বিশ্বামিত্রো স্তথামুনিঃ॥৩৬॥

মহাতপস্বী ভগবানুগ্রতেজা মহাযশাঃ ।

তত্রাজগাম বলবান্ বলভদ্রঃ প্রতাপবান্॥৩৭॥

মহাভারত শল্যপর্ব/৩৭/৩৪-৩৫

অনুবাদ:- হে কৌরবনন্দন ! ব্রহ্মা যেখানে থাকিয়া জগৎ সৃষ্টি করিয়াছিলেন , দৃঢ় নিয়মশালী ও ঋষিশ্রেষ্ঠ আষ্টির্ষেণ যেখানে গুরুতর তপস্যার প্রভাবে ব্রাহ্মণত্ব লাভ করিয়াছিলেন এবং রাজর্ষি সিন্ধুদ্বীপ, মহাতপা দেবাপি, আর মহাতপস্বী, উগ্রতেজা, মহাযশ!, মাহাত্ম্যশালী ও মহামুনি বিশ্বামিত্র যেখানে থাকিয়া, তপস্যার প্রভাবে ব্রাহ্মণ হইয়াছিলেন; বলবান্ ও প্রতাপশালী বলরাম সেইখানে আগমন করিলেন ॥৩৪–৩৬ ॥ (3)

 



আবার পরবর্তী জীবনে কর্মের কারনে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় থেকে নিম্নবর্ণ বৈশ্য শূদ্রত্ব প্রাপ্তি হয়েছে। আবার ক্ষত্রিয় শূদ্র বর্ণ থেকেও ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্তির কথাও দেখা যায়। 

যদি গুণ ও কর্ম অনুসারে কোনো উচ্চবর্ণের ব্যাক্তি হীন কর্ম করে সে শূদ্রত্ব প্রাপ্ত হয় ও শূদ্রবর্ণের হয়। কিন্তু যার মধ্যে উচ্চবর্ণ হওয়ার গুণ নেই তিনি কিভাবে উচ্চবর্ণত্ব লাভ করতে পারেন? তপস্যা বা সাধুসঙ্গের প্রভাবে তিনি উচ্চবর্ণের গুণাবলী লাভ করে উচ্চবর্ণত্ব লাভ করতে পারেন। ইতিহাস পুরাণাদিতে তা পাওয়া যায়। 


নাভাগারিষ্টপুত্রৌ দ্বৌ বৈশ্যৌ ব্রাহ্মণতাং গতৌ ।

করূষস্য চ কারূষাঃ ক্ষত্রিয়া যুদ্ধদুর্মদাঃ ।। ৯ ।।

হরিবংশ পুরাণ/১/১১/৯ 

অনুবাদ:- নাভাগ ও অরিষ্টের পুত্র এই দুই জন বৈশ্য ত্ব প্রাপ্ত হয়ে পড়ে ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হন। (4)


পৃষধ্রো হিংসয়িত্বা তু গুরোর্গাম জনমেজয় ।। শাপাচ্ছূদ্রত্বমাপন্নো নবৈতে পরিকীর্তিতাঃ ।

হরিবংশ পুরাণ/১/১১/১০-১১

অনুবাদ:- হে জন্মেজয় গুরুর গোহত্যা করার জন্য মনু পুত্র পৃষধ গুরুর শাপে শূদ্রত্ব প্রাপ্ত হয়। (4)


পৃষধ্রস্তু মনুপুত্রো গুরুগোবধাচ্ছূদ্র ত্বমগমৎ।। ১৭

বিষ্ণুপুরাণ ৪/১/১৭

অনুবাদ:- মনুর পৃষধ নামক পুত্র গুরুর গো - বধ করায় শূদ্রে পরিণত হলেন ৷ ১৭ ৷৷

দিষ্টপুত্রস্তু নাভাগো বৈশ্যতামগমত্তস্মাদ্বলন্ধনঃ পুত্রোভবৎ।। ১৯

বিষ্ণুপুরাণ ৪/১/১৯

অনুবাদ:- দিষ্টের পুত্র নাভাগ বৈশ্য হয়ে যান , (5)




রাজা পুরুরবার পুত্র আয়ু তার পুত্র ক্ষত্রবৃদ্ধ তার পুত্র হলেন সুহোত্র তার পুত্র গৃৎসমদ তার পুত্র শৌনক ঋগ্বেদের শাখা প্রবর্তক ঋষি ছিলেন। ক্ষত্রিয়ের পুত্র হয়েও তিনি ব্রাহ্মণত্ব ঋষিত্ব লাভ করেছিলেন। 

কাশ্যঃ কুশো গৃত্সমদ ইতি গৃত্সমদাদভূত্ ।

শুনকঃ শৌনকো যস্য বহ্বৃচপ্রবরো মুনি: ॥ 

ভাগবত ৯/১৭/৩

অনুবাদ:-রাজা সুহোত্রের কাশ্য, কুশ গৃৎসমদ নামক তিনজন পুত্র ছিলেন। গৃৎসমদ থেকে শুনকের জন্ম হয়, এবং তাঁর থেকে ঋগ্‌বেদজ্ঞদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহর্ষি শৌনকের জন্ম হয়।


ক্ষত্রিয় পিতা মাতার সন্তান হয়েও শৌনক ব্রাহ্মণ ছিলেন, পৃথক পৃথক কর্মের কারনে তার চার বর্ণের পুত্র হয়েছিল। 

পুত্রো গৃৎসমদস্যাপি শুনকো যস্য শৌনকঃ।

ব্রাহ্মণাঃ ক্ষত্রিযাশ্চৈব বৈশ্যাঃ শূদ্রাস্তথৈব চ ।।

এতস্য বংশে সম্ভূতা বিচিত্রৈঃ কর্ম্মভির্দ্বিজাঃ।

শলাত্মজো হ্যার্ষ্টিষেণশ্চরন্তস্তস্য চাত্মজঃ ।। 

বায়ুপুরাণ/উত্তরার্দ্ধ/৩০/৫ 

অনুবাদ:- গৃৎসমদের পুত্র শুনক, তারপুত্র শৌনক। হে দ্বিজগণ ! এই শৌনকের বংশে বিভিন্ন কর্ম্মফলে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র এই চতুর্বর্ণই উৎপন্ন হইয়াছিল। (6)




পুরুরবার বংশে রাষ্ট্রের পুত্র দীর্ঘতমা তার পুত্র ধন্বন্তরি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রবক্তা ঋষি হয়েছিলেন। তিনি আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কে আটভাগে বিভক্ত করেন। 

কাশ্যস্য কাশিস্তৎপুত্রো রাষ্ট্রো দীর্ঘতমঃপিতা ।

ধন্বন্তরির্দীর্ঘতমস আযুর্বেদপ্রবর্তকঃ ।

যজ্ঞভুগ্ বাসুদেবাংশঃ স্মৃতমাত্রার্তিনাশন: ॥ 

ভাগবত ৯/১৭/৪

অনুবাদ:- কাশ্যের পুত্র কাশি এবং তাঁর পুত্র রাষ্ট্র ছিলেন দীর্ঘতমের পিতা । দীর্ঘতমের পুত্র ধন্বন্তরি , যিনি ছিলেন যজ্ঞভাগ ভোক্তা ভগবান বাসুদেবের অবতার এবং আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের প্রবর্তক । এই ধন্বন্তরিকে স্মরণ করলে সমস্ত রোগ থেকে মুক্ত হওয়া যায় ।


বিশ্বামিত্রো নরপতির্মান্ধাতা সংকৃতিঃ কপিঃ ।। কপেশ্চ পুরুকুত্সশ্চ সত্যশ্চানৃহবানৃথুঃ আর্ষ্টিষেণোঽমীঢশ্চ ভাগান্যোন্যস্তথৈব চ ।। কক্ষীবশ্চৈব শিজযস্তথান্যে চ মহারথাঃ। রথীতরশ্চ রুন্দশ্চ বিষ্ণুবৃদ্ধাদযো নৃপাঃ ।। ক্ষাত্রোপেতাঃ স্মৃতা হ্যেতে তপসা ঋষিতাঙ্গতাঃ । বায়ু পুরাণ ২৯/১১১-১১৩

অনুবাদ:- বিশ্বামিত্র, মান্ধাতা, সঙ্কৃতি, কপি, পুরুকুৎস, সত্য, অনুহবান, ঋথু, আর্ষ্টিষেণ, অজমীঢ়, কক্ষীব, শিজয়, রথীতর, রুন্দ, বিষ্ণবৃদ্ধ, প্রভৃতি ক্ষত্রোপেত নরপতি তপোবলে ঋষিত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন। (7)


অতএব ব্রাহ্মণের সন্তান হলেই ব্রাহ্মণ, শূদ্রের সন্তান হলেই শূদ্র তা নয়। পুরাণ ও ইতিহাসে দেখা যায় গুণ ও কর্ম অনুসারে সন্তানের বর্ণ নির্ধারিত হতো ও পরবর্তী জীবনেও কর্ম এর কারনে বর্ণ পরিবর্তিত হতো। 





Bibliography

1) হরিবংশ পুরাণ গীতা প্রেস সং পৃ ১৪১ 


2) মৎস্যপুরাণ পঞ্চানন তর্করত্ন সং পৃ ৪৭৬  epn 484

3) মহাভারত/শল্য পর্ব/৩৭/৩৪-৩৬  হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ সং পৃ ৪২৩ epn 450

4) হরিবংশ পুরাণ/ হরিবংশ পর্ব/১১/৯-১০ গীতা প্রেস সং পৃ ৬৯ epn 68

5) বিষ্ণু পুরাণ ৪/১/১৭-১৯ গীতা প্রেস সং পৃ 241

6) বায়ুপুরাণ পঞ্চানন তর্করত্ন সং পৃ ৫৫৩ epn 174

7) বায়ুপুরাণ পঞ্চানন তর্করত্ন সং পৃ ৫৫৩ 
8) শ্রীমদ্ভাগবতের রেফারেন্স গুলি সরাসরি vedabase এর সাথে লিঙ্ক করা আছে। (8) সংখ্যায় ক্লিক করুন।