Prediction of Lord Chaitanya in scripture refutation of all objection

Prediction of Lord Chaitanya in scripture refutation of all objection

বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ ব্লগের প্রশ্ন 

(লাল অক্ষরে লেখা গুলি তাদের পোষ্ট হুবহু কপি পেষ্ট করা আছে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় অংশটা দেখালে আবার বলবে কাটপিস দেখিয়ে খন্ডন করছি কালো অক্ষরে লেখা আমাদের সিদ্ধান্ত)

#শ্রীপরাশরভট্ট_স্বামীর_ভাষ্যে_পুনরুক্তিদোষ_ভ্রম_নিরসন


🔴বর্তমান এক নব্য বৈষ্ণব সংগঠনের লোক শ্রীপরাশরভট্ট স্বামীর বিষ্ণুসহস্রনাম স্তোত্রের "ভগবৎ গুণদর্পণ" ভাষ্যে পুনরুক্তিদোষ দাবি করেন। কারণ স্বরূপ বলেন বিষ্ণুসহস্রনামের ৭৪৩-নং নাম এর "সুবর্ণবর্ণ" নামের অর্থ স্বর্ণের ন্যায় বর্ণ হলে পরবর্তী ৭৪৪-নং নাম "হেমাঙ্গ" অর্থে স্বর্ণের মতো অঙ্গ, এই ভাষ্য করলে পুনরুক্তি দোষ ঘটে। কারণ  এবং নিমোক্ত গৌতমীয় ন্যায়সূত্র দ্বারা পরাশরভট্ট স্বামীর ভাষ্যকে প্রমাণহীন বলি উল্লেখ করেন।


"তদপ্রামাণ্যমনৃত-ব্যাঘাত-পুনরুক্তদোষভ্যঃ।।"  (গৌতমীয় ন্যায়সূত্র- ২/১/৫৭/১১৮)

অনুবাদ: অনৃতদোষ, ব্যাঘাতদোষ, পুনরুক্তিদোষবশত তার প্রামাণ্য নেই।


পুনরুক্তিদোষ হলো, যে অর্থ প্রকাশ করতে  যে বাক্য বলা হয় তাহা একবার বললেই তার ফলসিদ্ধি হওয়ায় পুনর্বার তা বলায় তাকে পুনরুক্তিদোষ বলে। 


👉 পূর্বপক্ষবাদীর এই আক্ষেপে উত্তরপক্ষবাদীগণ বলেন শ্রীপরাশরভট্ট স্বামীর "গুণদর্পণ" ভাষ্যের যথার্থ পর্যালোচনা না করেই ভ্রমবশত পুনরুক্তিদোষ এর আক্ষেপ প্রদর্শন করেন। বিষ্ণুসহস্রনামের ৭৪৩ ও ৭৪৪ নামের ভাষ্যে পরাশরভট্ট স্বামী বলেন- 


#সুবর্ণবর্ণ: [পরাশরভট্টস্বীকৃত "গুণদর্পণ" ভাষ্য]- "উক্তগুণবৎ কনকনিকষ-নির্দোষ-উজ্জ্বল-দিব্যবর্ণঃ সুবর্ণঃ। যদা পশ্যঃ পশ্যতে রুক্মবর্ণম্ (মুণ্ডকোপনিষদ ৩/১/৩)। রুক্মাভং স্বপ্নধীগম্যম্(মনুস্মৃতি ১২/১২২), আদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ (শুক্ল-যজুর্বেদ ৩১/১৮) , হিরণ্ময়ঃ পুরুষঃ..........সর্ব এব সুবর্ণঃ (ছান্দোগ্য উপনিষদ ১/৬/৬) ইত্যাদি।।"

অনুবাদ: উক্ত গুণের ন্যায় নিকষ অর্থাৎ ঘর্ষণকৃত যে স্বর্ণ যা সমস্ত দোষরহিত-দীপ্ত-অপ্রাকৃতবর্ণই সুবর্ণ। যে সময় দ্রষ্টা সুবর্ণবর্ণ পুরুষকে দর্শন করেন। যিনি হিরণ্য আভার ন্যায় দীপ্তিমান স্বপ্নের মতো বুদ্ধির দ্বারা কেবল যাকে প্রাপ্ত হওয়া যায়। সেই আদিত্যবর্ণ পুরুষ তমঃ (অবিদ্যার) এর অতীত। হিরন্ময় পুরুষের...... সব কিছুই সুবর্ণ।


"সুবর্ণবর্ণ" শব্দে স্বামীপাদ স্বর্ণের ন্যায় বর্ণ যার এই অর্থ অভিপ্রায় করেন। অন্যদিকে "হেমাঙ্গ" শব্দের ভাষ্যে বলেন- 


#হেমাঙ্গ: [গুণদর্পণ ভাষ্য]- "বর্ণাধিষ্ঠানং চ নিত্যং দিব্যং সত্ত্বময়মঙ্গমস্য ইতি হেমাঙ্গঃ। হিরণ্ময় পুরুষঃ দৃশ্যতে (ছান্দোগ্য উপনিষদ ১/৬/৬) ইতি।"

অনুবাদ: হিরণ্যবর্ণ যাহাতে অধিষ্ঠান করেন সেই নিত্য, দিব্য, শুদ্ধসত্ত্ব ও মঙ্গলময় ভগবৎ-অঙ্গই হেমাঙ্গ। সেই হিরন্ময় পুরুষকে দেখা যায়। 


"হেমাঙ্গ" শব্দের অর্থ অভিপ্রায় হলো পূর্বোক্ত সেই সুবর্ণবর্ণ যার অঙ্গে আশ্রয় করে সেই ভগবৎ অঙ্গই হেমাঙ্গ। অর্থাৎ সুবর্ণবর্ণ শব্দের সেই হিরণ্যবর্ণ সম্বন্ধে বলেন যাহা ভগবানের জ্যোতি। তৎপরবর্তীতে সেই হরিণ্যজ্যোতি বা বর্ণ কার অঙ্গে আশ্রিত তাহা বর্ণন করেন। যার দরুণ এখানে অর্থের অভিপ্রায় ভিন্ন। যেহেতু অভিপ্রায় ভিন্ন সেহেতু এখানে পুনরুক্তিদোষ মোটেও ঘটে না। উভয়ই হরিণ্যজ্যোতি সহিত সংযুক্ত বিধায় আপাতদৃষ্টিতে এখানে উভয়ই শব্দ দেখলে পুনরুক্তিদোষ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সম্যকরূপে বাক্যার্থ করলে এখানে ভিন্নার্থ প্রকাশ পায়। সে সম্পর্কে কবিরাজ বিশ্বনাথ তার "সাহিত্যদর্পণ" গ্রন্থে বলেন যে- 


"আপাততো যদর্থস্য পৌনরুক্ত্যেন ভাসনম্।

পুনরুক্তবদাভাসঃ স ভিন্নাকার শব্দগঃ।।" 

অনুবাদ: শ্রবণমাত্রই যে অর্থ পুনরুক্তির মাধ্যমে প্রতীতি ভিন্ন আকৃতিতে শব্দগত হয়, ঐ পদবাচ্য পুনরুক্তবদাভাস নামক অলঙ্কার হয়। 


অর্থাৎ, কোন বাক্যে প্রযুক্ত ভিন্নাকার শব্দসমূহ থেকে শ্রবণমাত্রই একই অর্থ বোধগম্য হয়। তা পুনরুক্তি বলে কথিত। উপরন্তু সম্যকরূপে বাক্যার্থ পর্যালোচনা করার পর অন্য যে ভিন্ন অর্থ প্রকাশিত হয় তাহাকেই পুনরুক্তিবদাভাস অলঙ্কার বলে। পরাশরভট্ট স্বামীর ভাষ্যের হিরণ্যজ্যোতিস্বরূপ শ্রুতিগত প্রমাণে সুবর্ণবর্ণ ও হেমাঙ্গ শব্দে আপাতদৃষ্টিতে সমান অর্থ মনে হলেও ভাষ্যের সম্যকরূপে পর্যালোচনা করলে প্রতীতি ভিন্ন হয়। সুবর্ণবর্ণ শব্দে "উক্তগুণবৎ কনকনিকষ-নির্দোষ-উজ্জ্বল-দিব্যবর্ণঃ সুবর্ণঃ।"-উক্ত গুণের ন্যায় নিকষ অর্থাৎ ঘর্ষণকৃত যে স্বর্ণ যা সমস্ত দোষরহিত-দীপ্ত-অপ্রাকৃতবর্ণই সুবর্ণ। 

অর্থাৎ সুবর্ণবর্ণ সম্বন্ধে বলা হচ্ছে যার অধিকারী ভগবান নারায়ণ। সেই সুবর্ণবর্ণ কার অঙ্গে আশ্রিত তাহা তৎপরবর্তী নাম "হেমাঙ্গ" পদে বর্ণন করেন। "বর্ণাধিষ্ঠানং চ নিত্যং দিব্যং সত্ত্বময়মঙ্গমস্য ইতি হেমাঙ্গঃ।"- হিরণ্যবর্ণ যাহাতে অধিষ্ঠান করেন সেই নিত্য, দিব্য, শুদ্ধসত্ত্ব ও মঙ্গলময় ভগবৎ-অঙ্গই হেমাঙ্গ। হেমাঙ্গ শব্দের অর্থ সুবর্ণবর্ণের শব্দের অর্থ থেকে ভিন্ন অর্থই করেছেন। ভগবানের অঙ্গে হিরণ্যবর্ণের নিবাস এই অর্থ করার কারণ হলো ভগবান বিষ্ণুর অঙ্গে অঙ্গে ভগবতী লক্ষ্মীদেবীর নিবাস। সে সম্পর্কে ভাগবতমে বলা হয়েছে যে-"শ্রিয়োধামাঙ্গমচ্যুতম্" (ভা০ পু০ ১/১১/২৫)। মহাভারতেও বলা হয়েছে,  "পত্নী চৈব স্বয়ং লক্ষ্মীর্দেহমাবৃত্য তিষ্ঠতি" (মহা০/ হরিবংশ/ ভবিষ্যপর্ব/ ৩৩/৩০)- তাহার পত্নী স্বয়ং লক্ষ্মী তার দেহকে আবৃত করে অধিষ্ঠান করছিলেন। আর এই ভগবতী মহালক্ষ্মী নিজেই স্বয়ং হিরণ্যবর্ণা।

 

"হিরণ্যবর্ণাম্ হরিণীং সুবর্ণরজতস্রজাম্। 

চন্দ্রাং হিরণ্ময়ীং লক্ষ্মীং" (ঋগ্বেদ / আশ্বলায়ন সংহিতা/ ৫ম মণ্ডল/ ৮৮/১)- স্বর্ণের সমান কান্তিময়ী, হরিণী রূপধারিণী, স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালা ধারণকারিণী, আহ্লাদকারিণী, হিরণ্যস্বরূপ ভগবতী লক্ষ্মী।


হিরণ্যবর্ণা, হিরন্ময়ী ভগবতী মহালক্ষ্মী ভগবান নারায়ণের অঙ্গে নিবাস করেন বিধায় ভগবানের সেই অঙ্গ হিরণ্ময় আর এজন্যই ভগবান হেমাঙ্গ শব্দে অভিহিত। যেহেতু উভয়ই নামের অর্থ অভিপ্রায় ভিন্ন সেহেতু এখানে পুনরুক্তিদোষ ঘটে না বরং আপাতদৃষ্টিতে সমান অর্থ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সম্যকরূপে বাক্যার্থ পর্যালোচনা করলে ভিন্ন অর্থ প্রতীয়মান হয় সেহেতু পরাশরভট্ট স্বামীর উক্তভাষ্যে পুনরুক্তিবদাভাস অলঙ্কার দৃশ্যমান। আর কাব্যশাস্ত্রে অলঙ্কার প্রকাশই ন্যায়সঙ্গত। সে সম্পর্কে অগ্নিপুরাণে (৩৩৭/৬) বলা হয়েছে- "কাব্যং স্ফুটদলঙ্কারং গুণবদ্দোষবিবর্জ্জিতম্"- অলঙ্কারযুক্ত গুণবিশিষ্ট ও দোষবর্জিত বাক্যসমূহই কাব্য। 

অতএব, মহাভারত শাস্ত্রে অলঙ্কার শাস্ত্রের ব্যবহার থাকবে এটাই স্বাভাবিক সেই অনুসারেই পরাশরভট্ট স্বামীও অলংকার শাস্ত্রেরই প্রযুক্তেই উক্ত নামের ভাষ্য করেন। 

উত্তর:- আপনার এই আলোচনা থেকে বেশ বোঝা যায় পুনরুক্তি দোষ কাকে বলে আপনি জানেননা রেফারেন্স দেখে তাড়াহুড়োকরে নেট ঘেঁটে অগ্নিপুরাণ আর সাহিত্য দর্পণের রেফারেন্স দিয়েছেন। যার কনসেপ্ট ক্লিয়ার নয় সে জানেই না কোন রেফারেন্স কেন ব্যাবহার করছি। সাধারন পাঠক এতো শাস্ত্র বিষয়ে মাথা ঘামাতে চায় না বলে আপনারা যা তা লিখে কয়েকটা রেফারেন্স দিয়ে ওপরে খন্ডন হেডিং দিয়ে বেশ পোষ্ট করে দেন। ভালো।

আগে পুনরুক্তি বিষয় টা বুঝে নিন 

পুনরুক্তি দোষ ভাষ্যে হয় না বেদ ও বৈদিক শাস্ত্রে হয়, আপনি ভাষ্যে অনেকরকম ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অর্থ করতে পারেন, ভাষ্যে যা লেখা নেই সেগুলিও ভাষ্যে গভীর ভাবে বলা আছে বলতে পারেন। 

ভাষ্যে লক্ষ্মীদেবীর কথা নেই তাও আপনি বলছেন, ঠিক আছে সেটাও আমাদের মানতে কোনো অসুবিধা নেই। 

কিন্তু ফাইনালি ঐ ভাষ্য অনুযায়ী অর্থ হচ্ছে সুবর্নবর্ন= সোনার বর্ন, হেমাঙ্গ= সোনারবর্নের অঙ্গ এই অর্থটা হলে মহাভারতে পুনরুক্তি দোষ হচ্ছে। আপনারা বলছেন বিষ্ণু সোনার বর্ন আর এই সোনার বর্ন টা লক্ষ্মীদেবী থাকার জন্য হচ্ছে, তাতে কি? দুটি নামের অর্থ তো একই হচ্ছে- বিষ্ণু সোনারবর্ন। এটাই পুনরুক্তি। আপনাদের ভাষ্যে আপনি যতখুশি ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। কিন্তু ভাষ্য অনুযায়ী অর্থে পুনরুক্তি হচ্ছে। সুবর্নবর্ন নামের সময় মসীবর্ন বিষ্ণু র অঙ্গে নিত্যঅনপায়িনী লক্ষ্মীদেবী অধিষ্ঠিত নেই নাকি? 

শব্দার্থয়োঃ পুনর্বচনং পুনরুক্তম ন্যায়সূত্র ৫/২/১৪ শব্দ ও অর্থের পুনর্বচন পুনরুক্ত।  



তাই অপ্রয়োজনীয় রেফারেন্স দেবেননা আগে শাস্ত্র পড়ুন কিছু শিখুন নয়তো আপনাদের হাজার ঘন্টা ধরেও কেউ কিছু বোঝাতে পারবেনা। এভাবে কস্তং খস্তং পন্ডিত সেজে কি লাভ! 

শ্রীবিশিষ্টাদ্বৈতবাদ প্রচারিনী সভা মাদ্রাজ কর্তৃক প্রকাশিত বিষ্ণুসহস্রনাম ভাষ্য পৃঃ ৬৪০ এ তারা পরাশর ভট্টের ভাষ্য অনুসারে ফাইনালি কি অর্থ করেছেন দেখুন।





সুবর্ণবর্ণ শব্দে পূর্বপক্ষবাদীগণ এমন অর্থ করেন যে- কৃ, ষ্ণ সুন্দর বর্ণকে বর্ণন করে। অথচ ইহা শাস্ত্রমতে ব্যাসদেবের অভিপ্রায় নয়। গরুড়পুরাণের বিষ্ণুসহস্রনামে  মহাভারতের "সুবর্ণবর্ণ" শব্দের স্পষ্ট অর্থ বর্ণন করেন। সেখানে বলা হয়েছে- 


"সুবর্ণবর্ণবাংশ্চৈব সুবর্ণাখ্যস্তথৈব চ

সুবর্ণাবয়বশ্চৈব সুবর্ণঃ স্বর্ণমেখলঃ।।" (গরুড়পুরাণ/ পূর্বখণ্ড/১৫/৪৬)

অনুবাদ: সুবর্ণবর্ণবান এবং সুবর্ণাখ্য, সুবর্ণ অবয়ব, সুবর্ণ, স্বর্ণমেখল।


এখানে উক্ত নাম গুলো আপাতদৃষ্টিতে পুনরুক্তিদোষ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে অর্থ এক নয়। 


১.সুবর্ণবর্ণবান: স্বর্ণের ন্যায় বর্ণের যিনি অধিকারী(যেহেতু 'বান' পদের প্রয়োগ ঘটেছে) 

২.সুবর্ণাখ্য: যিনি সুবর্ণ নামে আখ্যায়িত।

৩.সুবর্ণাবয়ব: স্বর্ণ যার অবয়ব অর্থাৎ শ্রীবিগ্রহে নিবাস করেন।

৪.সুবর্ণ: যিনি নিজেই সুবর্ণ। 

৫.স্বর্ণমেখল: যিনি স্বর্ণমেখল ধারণ করেন। 


যেহেতু "সুবর্ণবর্ণবান" [সুবর্ণ-স্বর্ণ, বর্ণ- আভা, বান- অধিকারী] অর্থাৎ স্বর্ণের ন্যায় বর্ণের যিনি অধিকারী। এই প্রমাণ থেকে বোধগম্য হওয়া যায় যে মহাভারতের সুবর্ণবর্ণ শব্দে হিরণ্যের ন্যায় বর্ণ "সুবর্ণবর্ণবান" এবং হেমাঙ্গ শব্দে স্বর্ণবর্ণ যার অবয়বে আশ্রিত "সুবর্ণাবয়ব"  ভাষ্য করাই শাস্ত্রবিহিত ও ব্যাসদেবের নিজ অভিমত। যা পরাশরভট্ট স্বামী তার ভাষ্যে সিদ্ধ করেন। তাই পরাশরভট্ট স্বামীর ভাষ্যে পুনরুক্তিদোষ ঘটে না 

উত্তর:-আবার ও ব্যাসের কথায় আপনি পুনরুক্তি দোষ করেছেন যথাযথ অর্থটি দেখুন। গরুড় পুরাণে প্রতিটি নামের অর্থই আলাদা কোনোটিই পুনরুক্তি নয়।

 সুবর্ণবর্ণবান: সুন্দর শোভন বর্ন যুক্ত নামবান

২.সুবর্ণাখ্য: যিনি সুবর্ণ নামে আখ্যায়িত।

৩.সুবর্ণাবয়ব: তার শরীর সুবর্ন 

৪.সুবর্ণ: পরমাত্মা কি সুবর্ন দ্বারা গঠিত? না, তার স্বরূপই সুবর্ণ 

৫.স্বর্ণমেখল: যিনি স্বর্ণমেখল ধারণ করেন। 

স্বরূপ সুবর্ন আর শরীর সুবর্ন এই দুই অর্থের পার্থক্য ভগবৎপাদ রামানুজাচার্য্য সামানাধিকরন ন্যায়ে চতুঃসূত্রী ভাষ্যে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন আগ্রহী পাঠক পড়ে নেবেন। 


প্রশ্ন:- বরং তাদেরই দাবিকৃত মধ্ব পরম্পরায় পূর্বাচার্য সত্যান্ধযতিরাজতীর্থ থেকে শুরু করে বর্তমান Sri T. S. রাঘবেন্দ্রান্ ও আচার্য গোবিন্দবন্নঞ্জ তার " সুবর্ণবর্ণ" ও "হেমাঙ্গ" শব্দে বিভিন্ন অর্থ করলেই তন্মধ্যে উভয়নামেই একটি অর্থ একই অর্থ করেন অর্থাৎ স্বর্ণের ন্যায় বর্ণ। অতএব পূর্বপক্ষবাদীগণ বিশিষ্টাদ্বৈত পরম্পরার পূর্বাচার্যদের ভাষ্যে দোষ দাবি করেন অথচ নিজেদেরই পূর্বাচার্য ও বর্তমান আচার্যের উপর যে একই দোষ প্রবর্তিত হয় সেদিকে খেয়াল নেই। 

উত্তর:- এই সকল আধুনিক আচার্য্যরা আমাদের পূর্বাচার্য্য কি করে হয়? কোন গৌড়ীয় গুরু পরম্পরায় এই সকল পূর্বাচার্য্যদের নাম পেয়েছেন? সে হিসাবে তো রামানন্দীরাও রামানুজীয়রা শাখা সম্প্রদায় আপনারা কি রামানন্দীদের সিদ্ধান্ত মানবেন? ব্যাসতীর্থ থেকে একটি শাখা গৌড়ীয় সম্প্রদায় অন্য শাখা বর্তমান মধ্ব সম্প্রদায়। গৌড়ীয় রা তাদের পূর্বতন আচার্য্যদের সকল সিদ্ধান্ত মানেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু স্বয়ং তার সময়ের মাধ্ব মঠের মঠাধীশ রঘুবর্য্য তীর্থ মধ্ব সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্যুত হয়ে কর্মকান্ড মুক্তির প্রশংসা করায় তার তিরস্কার করেছিলেন।

TS raghavendran bannje govindacharya সত্যসন্ধ যতিরাজকে কি সব মাধ্ব মঠ মানে? মাধ্ব সম্প্রদায়ের ১৬টির বেশি মঠ আছে। আপনারা যেই যুক্তিতে রাঘবাচার্য্যের কথা মানেনা সেই যুক্তিতে কোনো এক দুটি মঠের কে কি বললো তাতে কি আসে যায়? 


🔴পূর্বপক্ষবাদীগণ এক গল্পসপ্প বলেন যে পরাশরভট্ট স্বামী যেহেতু চৈতন্যদের পূর্বের আচার্য সেহেতু বিষ্ণুসহস্রনামের উক্ত নামে ভগবানের বিশেষ লক্ষনার্থক কোনো অবতার অবতীর্ণ হোন নি বলে এমন অর্থ করেন। 

👉পূর্বপক্ষবাদীর এইরূপ গল্পে উত্তরপক্ষবাদীগণ বলেন যে শ্রীশঠকোপ মুনি রামানুজাচার্যেরও জন্মের বহু বহু পূর্বে শ্রীমধুরকবি আলবারকে রামানুজাচার্যের তাম্রধাতুর বিগ্রহ প্রদান করেন। এই বিগ্রহটি এখনও শ্রীআদিনাথ দিব্যদেশমে আলবার তিরুনগরীতে পূজিত হয়ে আসছে। রামানুজাচার্যের এত এত বছর পূর্বেও আচার্যগণ জানতেন ভগবানের সেবক আদিশেষ আচার্যরূপে আসতে চলেছেন। অথচ স্বয়ং ভগবান (চৈতন্যদেব) আবির্ভূত হবেন এটা তারা জানতেনই না! কোনো মূখ্য আচার্য এমন কোনো কিছু ইঙ্গিতও করে গেলেন না! শ্রীসম্প্রদায়ের কথা না হয় বাদই দিলাম। মধ্ব সম্প্রদায়ের আচার্যগণও জানতেন না স্বয়ং ভগবান বঙ্গে আসছেন! সত্যসন্ধসন্ধযতিরাজ তীর্থ বিষ্ণুসহস্রনামের উক্ত নামসমূহে চৈতন্যদেবের কথা উল্লেখ করে না এমনকি চৈতন্যদেব আবির্ভূত পরও বর্তমান Sri T. S. রাঘবেন্দ্রান্ ও আচার্য গোবিন্দবন্নঞ্জ তারা অবতার হিসেবে স্বীকার করলেন না তাদের বিষ্ণুসহস্রনামের ভাষ্যে! কি অদ্ভুত বিষয়! ভগবান নারায়ণ তাদের আলোর পথপ্রদর্শন করুন।

উত্তর:- আলবার গন চৈতন্য মহাপ্রভুর ও ভবিষ্যৎ বাণী করেছেন সেগুলো এখন আপনারা ইসকন এর প্রতি বিদ্বেষ বশত মানবেননা। কিন্তু যে অদ্বৈতবাদের বিরোধিতা করে রামানুজাচার্য্য বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ প্রচার করেছেন আপনারা সেই অদ্বৈতবাদীদের পদলেহন করে শঙ্করাচার্য্য কে শিবাবতার মানেন রামানুজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ মানেননা। আপনারা কূর্ম পুরাণ বৃহদ্ধর্ম পুরাণের প্রমান দেখিয়ে শিবাবতার শঙ্কর বেদান্ত প্রচার করেছেন এসব মানেন। ও ব্লগে লিখে প্রচার ও করেন। যদিও এগুলি কূর্ম পুরাণের যথাযথ ব্যাখ্যা নয়। রামানুজাচার্য্য বলেছেন শঙ্করাচার্য্য প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ মত প্রচার করেছেন

নম্মালবার রচিত তিরুবায়ুমোলী ৫/২/১-১১, ৩/৫/১-১১, ১০/৫/১-১ ৫/২/৬ শ্লোকে হরিনামসংকীর্তন প্রচারক ভক্তরূপে ভগবানের অবতারের কথা আছে।



(বিঃ দ্রঃ- সতর্ক ⚠️⚠️⚠️করে দিচ্ছি সাবধান হয়ে যান। সময়ে ব্যস্ততায় জবাব দিচ্ছি না বলে দূর্বল ভাববেন না। পরবর্তী সময়ে প্রতিটি অপপ্রচারের জবাব পাবেন)

উত্তর:- হুমকি দেওয়ার কি আছে শাস্ত্র আলোচনা করা হয় জ্ঞান লাভের জন্য আপনারা এতো রেগে যাচ্ছেন কেন? আপনাদের আচার্য্যদের নিয়ে কোনো খারাপ কথা বলা হয়নি, আপনারা জীবগোস্বামী কে নিয়ে বলেছেন “শাস্ত্রের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দরুন এই বিরোধ সৃষ্টি হয়। যথার্থ জ্ঞান বিদ্যমান থাকলে এমন অসামঞ্জস্যতার সৃষ্টি হয় না” “প্রাচীন ভাগবতভাষ্যাকারগণ এমন বিপর্যয়ময় ভাষ্য করেন নি”

এভাবে শ্রীজীব গোস্বামীর ভাষ্যের ওপর আঙ্গুল তোলায় আমরা লিখতে শুরু করেছি।




 


লাইভে আলেচনার চুম্বক অংশ বোঝার সুবিধার জন্য ছবি ও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তুলে ধরা হল।:

প্রশ্ন:- গর্গাচার্য্যের বাক্য ও করভাজন ঋষির বাক্য কে এক করা যাবেনা কারন গর্গাচার্য্য ব্যুহবাসুদেবের কথা বলেছেন ও করভাজন ঋষি উপাস্য যুগাবতারের কথা বলেছেন। 

উত্তর:-

গর্গাচার্য্য শ্রীকৃষ্ণের নামকরণ অনুষ্ঠানে এসে শ্রীকৃষ্ণের নামকরণ করতে গিয়ে বলেছেন এই শিশু ইদানীং অর্থাৎ দ্বাপরযুগে কৃষ্ণবর্ণ প্রাপ্ত হয়েছেন আর করভাজন ঋষিও দ্বাপরে শ্রীকৃষ্ণের বর্ণের কথা বলেছেন। তাই উভয়ের কথা একই বিষয়বস্তু নিয়ে। তাই উভয়ের বাক্যকে সামঞ্জস্য করেই অর্থ করতে হবে।


প্রশ্ন:- গর্গাচার্য্যের বাক্যের অর্থ হবে সত্যযুগে শুক্ল, ত্রেতাযুগে রক্ত, দ্বাপরযুগে পীত ও দ্বাপর-কলি যুগসন্ধিতে কৃষ্ণতা প্রাপ্ত হয়েছেন। কারন সাত্বত সংহিতায় ও মৎস্যপুরাণে বলা হয়েছে ব্যুহবাসুদেব যুগসন্ধিতে বর্ণপরিবর্তন করেন । 

উত্তর:- 

মৎস্য পুরাণে বলা হয়েছে ভগবান বিষ্ণু যুগসন্ধিতে বর্ণ পরিবর্তন করেন। আর সাত্বত সংহিতায় বলা হয়েছে ব্যুহবাসুদেব সত্যযুগ সমাপ্ত হয়ে ত্রেতাযুগ আরম্ভ হলে তখন রক্তবর্ণ ধারণ করেছিলেন। অর্থাৎ পূর্বযুগ সম্পূর্ণরূপে শেষ হলে পরবর্তী যুগ আরম্ভে যে যুগসন্ধ্যা তখনই ব্যুহবাসুদেব নতুন বর্ণ ধারণ করেন। 

"পুরাংতীতে কৃতে প্রাপ্তে ত্রেতাখ্যে হাপরযুগে।। 

ঈষদরক্ততাং যাতে জগদ্ধাতরি চ্যাচুতে। 

[ সাত্বত সংহিতা ১।১৮-১৯ ]

অনুবাদ:

পূর্বকালে যখন সত্যযুগ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিলো এবং ত্রেতাযুগ প্রাপ্ত হয়েছিলো, সে সময়ে জগদ্ধাতা অচ্যুত রক্তবর্ণ ধারণ করেছিলো।



তাই গর্গাচার্য্যের বাক্যের যদি এই অর্থ করা হয় যে - "দ্বাপরে পীতবর্ণ এবং দ্বাপরের শেষপাদে যে সন্ধি, (যেটা দ্বাপর যুগেরই অংশ) সে সময়ে ব্যুহবাসুদেব দেহবর্ণ পরিবর্তন করে"-  তবে তা সাত্বত সংহিতা অনুসারেই শাস্ত্রসঙ্গত হয় না। 


একইভাবে যদি বলো যে " নন্দের কোলে থাকা কৃষ্ণ কলির প্রথমে সন্ধিতে কৃষ্ণবর্ণ হয়েছেন"- তবে সেটাও ভুল। শ্রীকৃষ্ণ যে কলিযুগের অবতার নন তা আমরা আগেই প্রমাণ সহ দেখিয়েছি। অতএব গর্গাচার্য্যের বাক্যের অর্থ হয় সত্যযুগে শ্বেতবর্ন, ত্রেতাযুগে রক্তবর্ন, কলিতে পীতবর্ন, ইদানীং দ্বাপরে কৃষ্ণবর্ন।


প্রশ্ন:-মৎস্য পুরাণে বলা হয়েছে ভগবান বিষ্ণু যুগসন্ধিতে বর্ণ পরিবর্তন করেন। মৎস্যপুরাণে (১৪৮/৩০) বলা হয়েছে যে- "বৈবর্ণ্যমভিধৎস ত্বং প্রাপ্তেষু যুগসন্ধিষু। বৈবর্ণ্যং সর্ব্বধর্ম্মাণামুৎপাদয়সি বেদবিৎ।।" অনুবাদ: যুগসন্ধি সমাগত হইলে, তুমি বৈবর্ণ্য প্রাপ্ত হও এবং ধর্মসমূহেরও বৈবর্ণ্য উপস্থিত হয়। যুগসন্ধিতে সত্ত্ব রজ তম গুনের তারতম্য অনুসারে বর্ন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়।

উত্তর:-

প্রথমত রেফারেন্সটাই ভুল ওটা ২৪৮/৩০ হবে। মৎস্য পুরাণ এ যুগসন্ধিতে বিষ্ণু বর্ণ পরিবর্তন করেন তার অর্থ যুগসন্ধি আরম্ভ হলে ব্যুহবাসুদেবের বর্ণ ধীরে ধীরে পীত থেকে কৃষ্ণে পরিবর্তন হয়ে যায় তা নয়। এগুলো আপনাদের কল্পনা। আপনাদের দেখানো সাত্বত সংহিতা রেফারেন্সেই তা বলা নেই। সাত্বত সংংহিতায় বলা হয়েছে আগের যুগ শেষ হয়ে পরের যুগ আরম্ভ হলে পরবর্তী যুগের যে যুগসন্ধি হয় তখন-ই ব্যুহ বাসুদেবের বর্ণ পরিবর্তন হয়, পূর্ব যুগের অন্তের সন্ধিতে নয়। প্রতি যুগের শুরুতে ও শেষে আলাদা আলাদা যুগ সন্ধিকাল থাকে, যা আমরা আমাদের চৈতন্য মহাপ্রভু বিষয়ক সিরিজের ৪ নং ভিডিওতে দেখিয়েছি।




আপনাদের সিদ্ধান্ত পরষ্পর বিরোধী এক জায়গায় বলছেন ভগবান যুগসন্ধিতেই বর্ণ ধারণ করেন কোনো যুগের প্রথমপাদে নন। আবার সাত্বত সংহিতার শ্লোকের অনুবাদে নিজেরাই বলেছেন পূর্বকালে যখন সত্যযুগ সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিলো এবং ত্রেতাযুগ প্রাপ্ত হয়েছিলো, সে সময়ে জগদ্ধাতা অচ্যুত (ব্যুহবাসুদেব) রক্তবর্ণ ধারণ করেছিলো।



প্রশ্ন:- গর্গাচার্য্য যে চারবর্নের কথা বলেছেন তা শ্রীকৃষ্ণের চারবর্ন কি করে হয়? তা ব্যুহবাসুদেবেরই বর্ন ব্যুহবাসুদেব ছাড়া কারোর হতেই পারেনা।

উত্তর:- 

সত্যযুগে হংস, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ, দ্বাপরে কৃষ্ণ, এই সকল অবতারে শ্রীকৃষ্ণই এই বর্ন গুলি ধারন করেন। শ্রীবৈষ্ণবাচার্য্য বীররাঘবাচার্য্য তার টীকাতেও বলেছেন এই চারবর্ণ নন্দমহারাজ তোমার পুত্রের। তিনি কোথাও ব্যুহবাসুদেবের কথা বলেননি। বীররাঘবাচার্য্যের টীকায় বলেছেন "তব পুত্রস্য শুক্লাদয়স্প্রয়ো বর্ণা আসন্"। 



অতএব, গর্গাচার্য্যের বাক্য প্রসঙ্গে আপনারা নন্দের পুত্র না ধরে যদি ব্যুহবাসুদেব বা অন্য কিছু ধরে নেন, তবে তা আপনাদের কল্পিত সিদ্ধান্তই যা শ্রী সম্প্রদায়েরই আচার্য্য সিদ্ধান্ত বিরোধী।


এছাড়া বিভিন্ন জন কমেন্টে যেসব প্রশ্ন করেছেন সেগুলোর উত্তর ও এখানে দেওয়া হলো :

প্রশ্ন:-ভাগবতে বলা হয়েছে বেদ বিহিত কর্মই ধর্ম  ভা: ৬/১/৪০ বেদ এ বলা হয়েছে ঈশ্বর স্বয়ম্ভূ জন্মাদি রহিত -

স পৰ্য্যগাচ্ছুক্রমকায়মব্রণমস্নাবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্ কবির্মনীষ ।

পরিভূঃ স্বয়ম্ভূর্যাথাতথ্যতোহর্থান্ব্যদধাচ্ছাশ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ।। (যজুর্বেদ ৪০/৮)। তাই চৈতন্য মহাপ্রভু ঈশ্বর নয়। 

উত্তর:-

জীবাত্মা কেও শাস্ত্রে অজ জন্মাদিরহিত অনাদি বলা হয়েছে কিন্তু জীবাত্মার পৃথিবীতে জন্ম হয়। সেরকম ঈশ্বর জন্মাদিরহিত হয়েও পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেন। কেবল পার্থক্য হচ্ছে জীব কর্মফল ভোগ করার জন্য জন্মগ্রহন করেন কিন্তু ঈশ্বর স্বেচ্ছায় জন্মগ্রহন করেন। তাই ঈশ্বরের জন্ম কে অবতার বা আবির্ভাব বলে। জীবাত্মা জড় মায়ার শরীর কে গ্রহণ করে জন্ম গ্রহণ করে। মাতার গর্ভ থেকে জড় শরীর ধারণ করে জন্ম গ্রহণ করে। আর ভগবান নিজ যোগমায়া শক্তি দ্বারা নিজের নিত্য সচ্চিদানন্দময় বিগ্রহ কে পৃথিবীতে প্রকট করেন।