Only one god in vedas

Only one god in vedas


বেদব্যাস বেদ কে চারভাগে ভাগ করেন ঋক, সাম, যজুঃ অথর্ব,। প্রতিটি বেদের আবার চারটি ভাগ আছে, ১) মন্ত্র বা সংহিতা -উপাসনা কান্ড, ২) ব্রাহ্মণ- কর্মকান্ড, ৩) আরণ্যক ও ৪) উপনিষদ -জ্ঞানকান্ড।  ব্রহ্মচর্যাশ্রমে সংহিতা স্বাধ্যায় করার জন্য, গৃহস্থ আশ্রমে সস্ত্রীক যজ্ঞ করার জন্য যজ্ঞের নিয়ম ও বেদ মন্ত্র সমূহের ব্যাখ্যা আছে ব্রাহ্মন অংশে। তারপর বানপ্রস্থ আশ্রমে ব্রহ্মচিন্তায় নিমগ্ন হওয়ার জন্য আরণ্যক ও শেষ জীবনে মুক্তি লাভের জন্য ব্রহ্মজ্ঞান লাভের জন্য উপনিষদ বা বেদান্ত।
ঋক বেদ- ঋকবেদ সংহিতা
                 ঐতরেয় ও কৌষিতকী ব্রাহ্মন
                 ঐতরেয় ও কৌষিতকী আরণ্যক
                 ঐতরেয় উপনিষদ, কৌষিতকী উপনিষদ
সামবেদ- সামবেদ সংহিতা
               তান্ড্য, তলবকার, সামবিধান, আর্ষেয়,
               বংশ দেবতাধ্যায়ও ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণ।
               ছান্দোগ্য আরণ্যক
               তলবকার বা কেণ উপনিষদ
শুক্লযজুর্বেদ- বাজসণেয় সংহিতা
                    শতপথ
                    বৃহদারণ্যক
                    ঈশ ও বৃহদারণ্যক উপনিষদ
কৃষ্ণযজুর্বেদ- তৈত্তীরিয় সংহিতা।
                      তৈত্তীরিয় ব্রাহ্মন।
                      তৈত্তীরিয় আরণ্যক।
                      কঠ তৈত্তীরিয় উপনিষদ।
অথর্ববেদ- অথর্ববেদ সংহিতা
                 গোপথ ব্রাহ্মণ।
                 কোনো আরণ্যক নেই।
                 প্রশ্ন, মুন্ডক, মান্ডুক্য উপনিষদ।
 বর্তমানে যে বেদের ভাষ্য পাওয়া যায় তার মধ্যে সর্বপ্রাচীন ও পূর্ণাঙ্গ সায়ন ভাষ্য।
সায়ণমাধবাচার্য্য (১৪শ শতকে) বেদের ভাষ্য রচনা করেন। তিনি অদ্বৈতবাদী ছিলেন। শৃঙ্গেরীমঠের আচার্য্য শঙ্করানন্দের কাছে বিদ্যাভ্যাস করেন।  তাই তার বেদভাষ্য অদ্বৈতবাদী। যদিও তার ভাষ্য বহুলপ্রচলিত। এবং সমস্ত বেদমন্ত্রের ভাষ্য অন্য কোনও আচার্য্য করেননি তাই তার ভাষ্য অনুযায়ীই মন্ত্রের অনুবাদ করতে হবে। তার সাথে আমরা মাধ্বাচার্য্যের ঋকভাষ্য ও দেখব। ১১শ শতকে মাধ্বাচার্য্য ঋগ্বেদের ভাষ্য রচনা করেন, যদিও তিনি কেবলমাত্র প্রথম ৪০টি সূক্তের ব্যাখ্যাই করেছেন।
বেদভাষ্যের শুরুতে বেদানুক্রমনিকায় সায়নাচার্য্য বলেছেন
যস্য নিঃশ্বসিত বেদা যো বেদেভ্যোহখিলং জগত
নির্ম্মমে তমহং বন্দে বিদ্যাতীর্থ মহেশ্বরং
বেদ সকল যার নিঃশ্বাস স্বরূপ বেদের দ্বারা যিনি জগত সৃষ্টি করেন সকল বিদ্যার তীর্থ ক্ষেত্র স্বরূপ মহেশ্বরের বন্দনা করি।
মহাদেবের ভ্রুকুটি বিভ্রমে বুক্কনরপতি শিব রূপ ধারন করে সায়নমাধবকে বেদের ভাষ্য রচনা করতে নির্দেশ দেন। সায়নাচার্য্যের সময় বৈষ্ণব ও শৈব দের মধ্যে প্রবল বিরোধ ছিল, মাঝেমাঝে যুদ্ধও বেঁধে যেত। তাই তার ভাষ্যে যে বিষ্ণু পরমতত্ত্ব বলে উল্লেখ থাকবে তা আশা করা দুষ্কর। বরং রুদ্র পরতত্ত্ব বলেই ঘোষনা থাকবে।
বেদার্থ নির্নয়ে ব্যাসের সিদ্ধান্ত কি তা ব্যাসরচিত শাস্ত্রেই পাওয়া যায়। পুরান গুলি ব্যাসের রচিত কিনা তা নিয়ে মতানৈক্য আছে তবে মহাভারত যে ব্যাস রচিত তা সর্বজনসম্মত। তাই নতুন করে শ্রুতি মন্ত্রের কোন অর্থ নির্নয় না করে মহাভারতে ব্যাস কি বলছেন তার দ্বারা এই গ্রন্থে মন্ত্রার্থ নির্নয় করা হয়েছে । এছাড়া সায়নভাষ্য ও যথাসম্ভব উল্লেখ করা হয়েছে, সময়ের অভাবে যেসব মন্ত্রের সায়ন ভাষ্য দেওয়া হয়নি পরবর্তী সংস্করনে তা দেওয়া হবে। তিনটি ভাগে বেদ মন্ত্র সমূহ বিচার করা হয়েছে বিষ্ণুতত্ত্ব, রুদ্রতত্ত্ব, শক্তিতত্ত্ব।

বেদ এ ভগবান কতজন

১) বৈদিক দেবতারা প্রাকৃতিক শক্তির প্রতীক, কেবল তাত্ত্বিক অস্তিত্ব রয়েছে এরূপ পূর্বপক্ষ খন্ডন।

ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২/৮
যস্যৈ দেবতায়ৈ হবির্গৃহীতং স্যাত্তাং ধ্যায়েদ্ধষটকরিষ্যন
অনুবাদ:- বষট ক্রিয়ার ও হবিদানের পূর্বে সেই সেই দেবতার উদ্দেশ্যে মনে মনে ধ্যান করবে।
আধুনিক পন্ডিতাভিমানীরা মনে করে বিষ্ণু শব্দ  ব্যাপক ব্যাপ্ত অর্থে, রুদ্র শব্দ বজ্রপাত অর্থে ইন্দ্র অগ্নি সূর্য প্রাকৃতিক শক্তি হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে। তা খন্ডন করা হচ্ছে ঐতরেয় ব্রাহ্মণের এই মন্ত্রে যে প্রত্যেক দেবতার রূপ রয়েছে। সেই রূপের ধ্যান করতে বলা হয়েছে।

২)বেদ এ পরম তত্ত্ব ইন্দ্র, বা অগ্নি, বা মিত্রা, বরুণ, বা সোম বা সূর্য এরূপ পূর্বপক্ষের উত্তর

ক) পরম পুরুষ থেকে সূর্য চন্দ্র ইন্দ্র অগ্নি বায়ূ সৃষ্টি  হয়েছে –পুরুষ সূক্ত, ঋগ্বেদ ১০/৯০/১৩। অতএব পরম পুরুষ ই আদি। ইন্দ্রাদি দেবগন পরমপুরুষ নয়।
চন্দ্রমা মনসো জাতশ্চক্ষোঃ সূর্যো অজায়ত
মুখাদিন্দ্রশ্চাগ্নিশ্চ প্রাণাদবায়ূরজায়ত।। ঋগ্বেদ ১০/৯০/১৩
খ) ন তে বিষ্ণো জায়মানো ন জাতো দেব মহিম্নঃ পরমন্তমাপ।
উরুং যজ্ঞায় চক্রথুরু লোকং জনয়ন্তা সূর্যমুষাসমগ্নিম।। ৭/৯৯/১-২
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:-হে বিষ্ণু যজ্ঞের জন্য আপনি এই বিস্তৃর্ন পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন।  আপনি সূর্যকে উষাকে অগ্নিকে জন্ম দিয়েছেন।
গ) ইন্দ্রং মিত্রং বরুণমগ্নিমাহুরথো বিদ্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান।
একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্ত্যগ্নিং যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ
ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৪৬
সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:-এই আদিত্য কে মেধাবীগণ ইন্দ্র মিত্র বরুণ ও অগ্নি বলে থাকেন। ইনি স্বর্গীয় পক্ষবিশিষ্ট ও সুন্দর গমনশীল।  ইনি এক হলেও একে বহু বলে বর্ননা করা হয়।  ইহাকে অগ্নি যম ও মাতরিশ্বা ও বলে। অর্থাত এক ই পরম তত্ত্ব কে বেদমন্ত্রে ইন্দ্র অগ্নি যম মিত্রা বরুন বলে বর্ননা করা হয়েছে।
সায়ন ভাষ্য: সুপর্ণ সুগতনঃ গরুৎমাম গবণবান পক্ষবান বা। সায়ন সুপর্ণ শব্দের অর্থ সুন্দর পক্ষবিশিষ্ট ও গরুত্মান অর্থ গমনশীল ধরেছেন। পুরানে সুপর্ণ শব্দে গরুড়কে বোঝায়।
পুরাণ অনুসারে ব্যাখ্যা: সেই এক অদ্বিতীয় ব্রহ্ম গরুড়বাহন বিষ্ণু কে মেধাবীগণ ইন্দ্র অগ্নি মাতরিশ্বা, যম বলে থাকেন।
ঘ) ঋগ্বেদ ৮/৪৫/৪ ইন্দ্র জন্মের পরেই যুদ্ধের জন্য ধনুক তুলে নিয়েছিলেন। অর্থাৎ ইন্দ্রের জন্ম হয়েছিল।
আ বুন্দং বৃত্রহা দদে জাতঃ পৃচ্ছত্বি মাতরম
ক উগ্রাঃ কে হ শৃন্বিরে।।
অনুবাদ:- বৃত্রহা ইন্দ্র জন্মগ্রহন করেই হাতে ধনর্বান তুলে নিলেন ও মাতা কে জিজ্ঞাসা করলেন কে আমার শত্রু

৩) বেদ এ বিষ্ণু রুদ্র ইন্দ্র বরুণ সূর্য সকলকেই ভগবান বলা হয়েছে। বেদে বহু ঈশ্বর এরূপ পূর্ব পক্ষ খন্ডন:- 
বেদ এ বহু স্থানে বলা আছে সেই পরম দেব একজন ই যথা
ক) ঋগ্বেদে ১০/৫১/১ মন্ত্রে:- দেব একঃ
মহত্তদুল্বং স্থবিরং তদাসীদ্যেনাবিষ্টিতঃ প্রবিবেশিথাপঃ
বিশ্বা অপশ্যদ্বহুধা তে অগ্নে জাতবেদস্তন্বো দেব একঃ
খ) ঋগ্বেদ ১০/১২৯/২মন্ত্রে:- তদেকং
ন মৃত্যুরাসীদমৃতং ন তর্হি ন রাত্র্যা অহ্ন আসীৎ প্রকেতঃ
আনীদবাতং স্বখয়া তদেকং তস্মাদ্ধান্যন্ন পরঃ কিঞ্চনাস
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:- তখন মৃত্যুও ছিলনা অমরত্ব ও ছিল না। দিন ও রাত্রির প্রভেদ ছিলনা। কেবল সেই একমাত্র বস্তু বায়ুর সহকারিতা ব্যাতিরেকে আত্মামাত্র অবলম্বন করে অবস্থান করছিলেন। তিনি ব্যাতীত আর কিছুই ছিলনা।
গ) ১০/১২৯/৬ ইন্দ্রাদি দেবতারা সৃষ্টির পর হয়েছেন।  কঃ অদ্ধা বেদ কঃ ইহ প্র বোচৎ কুতঃ আজাতা কুত ইয়ং বিসৃষ্টিঃ
অর্ব্বাক দেবাঃ অস্য বিসর্জ্জনেনাথা কো বেদ যত আবভূব
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:- কেই বা প্রকৃত জানে কেই বা বর্ননা করবে কোথা হতে জন্ম হল, কোথা হতে এই সকল সৃষ্টি হল, দেবতারা এই সমস্ত সৃষ্টির পর হয়েছেন। কোথা হইতে যে হল তা কেই বা জানেন।
ঘ) শুক্লযজুর্বেদ ৩২/১
তদেবাগ্নি স্তদাদিত্য স্তদ বায়ূ স্তদূচন্দ্রমা
তদেব শুক্রং তদ ব্রহ্ম তা আপঃ স প্রজাপতিঃ
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:-তিনিই আদিত্য, তিনিইঅগ্নি, তিনিই বায়ু চন্দ্র শুক্র বরুন প্রজাপতি।
এক ও পরম পুরুষ থেকেই ব্রহ্মান্ড এই জগত সব কিছুর সৃষ্টি। পুরুষ সূক্ত ৩
এতাবান অস্য মহিমাতো জ্যায়াংশ্চ পুরুষঃ
পাদোস্য বিশ্বা ভূতানি ত্রিপাদ্ অস্যামৃতং দিবি/৩
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অন্বয়:- এতাবান= অতীতানাগতবর্তমানরূপং জগদ্যাবদস্তি। অস্য= পুরুষস্য। মহিমা= স্বকীয়সামর্থ্যবিশেষঃ। অতো= ন তু তস্য বাস্তবং স্বরূপং জ্যায়ান= অতিশয়েনাধিকঃ। অস্য পুরুষস্য বিশ্বা সর্ব্বানি ভূতানি কালত্রয় বর্ত্তীনি প্রানিজাতানি পাদশ্চতুর্থোহংশঃ। ত্রিপাদ অস্যামৃতং = অস্য পুরুষস্যাবশিষ্টং ত্রিপাৎস্বরূপমমৃতং বিনাশরহিতং সৎ। দিবি= দ্যোতমানাত্মকে স্বপ্রকাশস্বরূপে ব্যাবতিষ্ঠত।
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:- এই সারা ব্রহ্মান্ড সেই বিরাট পুরুষের মহিমা। তিনি স্বয়ং নিজ মহিমার থেকেও বড়। তার এক পাদেই বা এক অংশেই এই ব্রহ্মান্ড অবস্থিত। বাকি ত্রি পাদ বা বাকি অংশ দিব্যলোক, অমৃত বা অবিনাশী নিত্য ধাম।
গীতা ১০/৪২
বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎস্নমেকাংশেন স্থিতো জগৎ।
অনুবাদ:-  আমি আমার এক অংশের দ্বারা আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত হয়ে অবস্থিত আছি।
ঙ) ঋগ্বেদ ১০/৮২/৩- বেদ এ সকল দেবতা দের নাম ব্রহ্মের ই নাম। ব্রহ্মই সকলকে নাম সমূহ দিয়েছেন। দেবতারা তাদের কর্তব্য সম্পর্কে জানতে সেই ব্রহ্মের কাছে যান।
যো নঃ পিতা জনিতা যো বিধাতা ধামানি বেদ ভূবনানিবিশ্বা।
যো দেবানাং নামধা এক এব তং সম্প্রশ্নম্ভুবনা যন্ত্যন্যা।।
সায়ন ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ:- যিনি আমাদের জন্মদাতা পিতা, যিনি বিধাতা, যিনি বিশ্বভূবনের সকল ধাম অবগত আছেন, যিনি একমাত্র, অথচ সকল দেবের নাম ধারন করেন। ত্রিভূবনের অন্য জীব সকল (দেবতা রা ও) তার কাছে নিজেদের কর্তব্যকর্ম বিষয়ে জানতে আসে।
চ) শতপথ ব্রাহ্মণে বলা হয়েছে ব্রহ্মই দেবতা ও জীবসকলের  অন্তর্যামী
যো'গ্নৌ তিষ্ঠন।  অগ্নেরন্তরো যমগ্নির্ন বেদ যস্যাগ্নিঃ শরীরং যো'গ্নিমন্তরো যময়তি স ত আত্মান্তর্যাম্যমৃতঃ ১৪/৬/৭/৯
য আকাশে তিষ্ঠন।  আকাশাদন্তরো যমাকাশো ন বেদ যস্যাকাশঃ শরীরং য আকাশমন্তরো যময়তি স ত আত্মান্তর্যাম্যমৃতঃ ১৪/৬/৭/১০
যো বায়ৌ তিষ্ঠন। বায়োরন্তরো যং বায়ুর্ন বেদ যস্য বায়ুঃ শরীরং যো বায়ুমন্তরো যময়তি স ত আত্মান্তর্যাম্যমৃতঃ ১৪/৬/৭/১১
য আদিত্যে তিষ্ঠন।  আদিত্যাদন্তরো যমাদিত্যো ন বেদ যস্যাদিত্যঃ শরীরং য আদিত্যমন্তরো যময়তি স ত আত্মান্তর্যাম্যমৃতঃ ১৪/৬/৭/১২
যশ্চন্দ্রতারকে তিষ্ঠন। চন্দ্রতারকাদন্তরো যং চন্দ্রতারকং ন বেদ যস্য চন্দ্রতারকং শরীরং যশ্চন্দ্রতারকমন্তরো যময়তি স ত আত্মান্তর্যাম্যমৃতঃ ১৪/৬/৭/১৩
অনুবাদ:- যিনি অগ্নি, বায়ু, আকাশ, আদিত্য গন ও চন্দ্র তারকাদের অন্তরে অন্তর্যামী রূপে বিরাজমান। কিন্তু তারা তাকে জানেন না।  তারা সেই পরমাত্মার শরীর। যিনি তাদের অন্তরে থেকে তাদের নিয়ন্ত্রন করেন। তিনি ই তোমাদের অন্তর্যামী ব্রহ্ম বা পরমাত্মা তিনিই অমৃত। 
Next Page>>>