প্রথম অধ্যায় মন্ত্র ১.১
দ্বিতীয় অধ্যায় মন্ত্র ২.১
মন্ত্র ২.২
পরবর্তী অধ্যায় গুলিও শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ কৃষ্ণ যজুর্বেদ এর অন্তর্গত।যদিও এটি প্রধান দশটি উপনিষদের মধ্যে পড়েনা কিন্তু এটিকে একটি প্রামাণিক উপনিষদ ধরা হয়। আচার্য্য শঙ্কর এই উপনিষদের ভাষ্য রচনা করেছেন। এছাড়া শঙ্কর ভাষ্যের ১/৪/৮-১০ এ শঙ্করাচার্য্য শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ থেকে উদ্ধৃত করেছেন। ও শ্রীভাষ্যের ৩/২/৩৫ এ শ্রী রামানুজ এই উপনিষদ থেকে উদ্ধৃত করেছেন।
এই উপনিষদে জীব ও ব্রহ্মের ভেদ সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। তাই আচার্য্য রামানুজ বহু স্থানে এই উপনিষদ থেকে প্রমাণ দিয়েছেন। শরণাগতি ও ভক্তির স্বপক্ষে এই উপনিষদের ৬/১৮ ও ৬/২৩ মন্ত্রের প্রমাণ দিয়েছেন।
১/১২ মন্ত্রে জীব, ঈশ্বর ও প্রকৃতি এই তিনটি পৃথক ও পরষ্পর অভিন্ন তত্ত্ব কে স্বীকার করা হয়েছে যা ভেদাভেদ বাদ এর স্বপক্ষে প্রমাণ রূপে আচার্য্য রা উদ্ধার করেছেন। বেদার্থ সংগ্রহ গ্রন্থে শ্রী রামানুজাচার্য্য এই মন্ত্রটির বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেছেন।
মন্ত্রে ভগবান কে মায়াধীশ ও জড়া প্রকৃতি ও মায়া কে ভগবান বা ব্রহ্মের শক্তি বলা হয়েছে তাই এই মন্ত্রটিও গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের আচার্য্য রা বহুস্থানে উল্লেখ করেছেন।
৪/৬ মন্ত্রে সাংখ্য মতবাদ কে খন্ডন করা হয়েছে। সাংখ্য মত অনুসারে স্বতন্ত্র প্রকৃতি দ্বারা জগৎ সৃষ্টির মত যে অবৈদিক তার স্বপক্ষে এই মন্ত্রটি বড় প্রমাণ।
যদিও এই উপনিষদ টি আচার্য্য শঙ্করের অদ্বৈত বেদান্ত, জীব ই ব্রহ্ম, জড়া প্রকৃতি র কোন অস্তিত্ব নেই ইত্যাদি মতবাদ কে খন্ডন করে তবু এই উপনিষদের বহু মন্ত্রে ব্রহ্ম কে বোঝাতে রুদ্র, গিরিশ, ইত্যাদি শব্দের ব্যাবহার থাকায় শৈব সম্প্রদায়ীরা এই উপনিষদের প্রমাণ দেখিয়ে রুদ্র পরত্ব ঘোষণা করে যা বেদ বিরুদ্ধ।
এই উপনিষদের রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের বিশেষ গুরুত্ব এই যে তার ভাষ্যে রুদ্র বা শিবের পরত্ব নিরসন করে বিষ্ণুপরত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শৈব মত খন্ডন করে শ্রুতি মন্ত্রের যথার্থ তাৎপর্য্য দেওয়া হয়েছে।
শ্রীল প্রভুপাদ তার গীতা ভাষ্যে অনেক স্থানে এই উপনিষদ থেকে উদ্ধৃত করেছেন।
গৌড়ীয় বৈষ্ণব জগতে বহু শাস্ত্র ও তার টীকা ব্যাখ্যা রচিত হলেও উপনিষদের ভাষ্য রচিত হয়নি।
সম্ভবত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূ শ্রীমদ্ভাগবত কেই উপনিষদ ও বেদান্ত সূত্রের অকৃত্রিম ভাষ্য বলেছেন তাই শ্রীজীব গোস্বামীর মত আচার্য্য গণ ও উপনিষদ ও ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্য রচনা করে যাননি। পরবর্তী কালে গলতা য় গৌড়ীয় সম্প্রদায়, অচিন্ত্যভেদাভেদ বাদকে প্রামাণিক প্রতিষ্ঠার জন্য ও গোবিন্দজীর পাশে শ্রী রাধারাণীর পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য শ্রী বলদেব বিদ্যাভূষণ ব্রহ্ম সূত্রের গোবিন্দ ভাষ্য রচনা করেন। পরবর্তীকালে তিনি গীতা, বিষ্ণুসহস্রনাম এর ও ভাষ্য রচনা করেন। শোনা যায় বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভূ দশটি প্রধান উপনিষদের ভাষ্য রচনা করেছিলেন। তার মধ্যে কেবল মাত্র ঈশোপনিষদের ভাষ্য ই এখন পাওয়া যায়। অন্য গুলির ভাষ্য এখন ও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তাই উপনিষদ গুলির বৈষ্ণব ভাষ্য এর অভাব থাকায় শ্রী সম্প্রদায় ও মাধ্ব সম্প্রদায়ের আচার্য্য গণের ভাষ্য যাতে বৈষ্ণব গণ পাঠ করে সুসিদ্ধান্ত প্রচার করতে পারেন তাই শ্রী রঙ্গরামানুজ আচার্য্যের টীকা ও টীকার অনুবাদ সহ এই উপনিষদ টি প্রকাশ করা হল। এই উপনিষদের কোনো মাধ্ব ভাষ্য নেই। পরবর্তী কালে অন্যান্য উপনিষদের মাধ্ব ভাষ্য ও রঙ্গরামানুজ ভাষ্য প্রকাশ করা হবে।
এর আগে অনন্তাচার্য্য সমস্ত উপনিষদের রঙ্গরামানুজাচার্য্যের টীকা ও সংক্ষেপে টীকার একটি ইংরাজী অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। সেই সংস্করণে মূল টীকা সংক্ষিপ্ত আকারে অনুবাদ করেছেন কোথাও মূল টীকার অনুবাদ না করে সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাই সম্পূর্ণ টীকার অনুবাদটি বৈষ্ণব দের বেদান্ত জিজ্ঞাসা র সমাধান করবে আশা করি।
দাসাভাস
অর্জুনসখা দাস
এই উপনিষদে জীব ও ব্রহ্মের ভেদ সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। তাই আচার্য্য রামানুজ বহু স্থানে এই উপনিষদ থেকে প্রমাণ দিয়েছেন। শরণাগতি ও ভক্তির স্বপক্ষে এই উপনিষদের ৬/১৮ ও ৬/২৩ মন্ত্রের প্রমাণ দিয়েছেন।
১/১২ মন্ত্রে জীব, ঈশ্বর ও প্রকৃতি এই তিনটি পৃথক ও পরষ্পর অভিন্ন তত্ত্ব কে স্বীকার করা হয়েছে যা ভেদাভেদ বাদ এর স্বপক্ষে প্রমাণ রূপে আচার্য্য রা উদ্ধার করেছেন। বেদার্থ সংগ্রহ গ্রন্থে শ্রী রামানুজাচার্য্য এই মন্ত্রটির বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেছেন।
মন্ত্রে ভগবান কে মায়াধীশ ও জড়া প্রকৃতি ও মায়া কে ভগবান বা ব্রহ্মের শক্তি বলা হয়েছে তাই এই মন্ত্রটিও গৌড়ীয় সম্প্রদায়ের আচার্য্য রা বহুস্থানে উল্লেখ করেছেন।
৪/৬ মন্ত্রে সাংখ্য মতবাদ কে খন্ডন করা হয়েছে। সাংখ্য মত অনুসারে স্বতন্ত্র প্রকৃতি দ্বারা জগৎ সৃষ্টির মত যে অবৈদিক তার স্বপক্ষে এই মন্ত্রটি বড় প্রমাণ।
যদিও এই উপনিষদ টি আচার্য্য শঙ্করের অদ্বৈত বেদান্ত, জীব ই ব্রহ্ম, জড়া প্রকৃতি র কোন অস্তিত্ব নেই ইত্যাদি মতবাদ কে খন্ডন করে তবু এই উপনিষদের বহু মন্ত্রে ব্রহ্ম কে বোঝাতে রুদ্র, গিরিশ, ইত্যাদি শব্দের ব্যাবহার থাকায় শৈব সম্প্রদায়ীরা এই উপনিষদের প্রমাণ দেখিয়ে রুদ্র পরত্ব ঘোষণা করে যা বেদ বিরুদ্ধ।
এই উপনিষদের রঙ্গরামানুজ ভাষ্যের বিশেষ গুরুত্ব এই যে তার ভাষ্যে রুদ্র বা শিবের পরত্ব নিরসন করে বিষ্ণুপরত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শৈব মত খন্ডন করে শ্রুতি মন্ত্রের যথার্থ তাৎপর্য্য দেওয়া হয়েছে।
শ্রীল প্রভুপাদ তার গীতা ভাষ্যে অনেক স্থানে এই উপনিষদ থেকে উদ্ধৃত করেছেন।
গৌড়ীয় বৈষ্ণব জগতে বহু শাস্ত্র ও তার টীকা ব্যাখ্যা রচিত হলেও উপনিষদের ভাষ্য রচিত হয়নি।
সম্ভবত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূ শ্রীমদ্ভাগবত কেই উপনিষদ ও বেদান্ত সূত্রের অকৃত্রিম ভাষ্য বলেছেন তাই শ্রীজীব গোস্বামীর মত আচার্য্য গণ ও উপনিষদ ও ব্রহ্মসূত্রের ভাষ্য রচনা করে যাননি। পরবর্তী কালে গলতা য় গৌড়ীয় সম্প্রদায়, অচিন্ত্যভেদাভেদ বাদকে প্রামাণিক প্রতিষ্ঠার জন্য ও গোবিন্দজীর পাশে শ্রী রাধারাণীর পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য শ্রী বলদেব বিদ্যাভূষণ ব্রহ্ম সূত্রের গোবিন্দ ভাষ্য রচনা করেন। পরবর্তীকালে তিনি গীতা, বিষ্ণুসহস্রনাম এর ও ভাষ্য রচনা করেন। শোনা যায় বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রভূ দশটি প্রধান উপনিষদের ভাষ্য রচনা করেছিলেন। তার মধ্যে কেবল মাত্র ঈশোপনিষদের ভাষ্য ই এখন পাওয়া যায়। অন্য গুলির ভাষ্য এখন ও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তাই উপনিষদ গুলির বৈষ্ণব ভাষ্য এর অভাব থাকায় শ্রী সম্প্রদায় ও মাধ্ব সম্প্রদায়ের আচার্য্য গণের ভাষ্য যাতে বৈষ্ণব গণ পাঠ করে সুসিদ্ধান্ত প্রচার করতে পারেন তাই শ্রী রঙ্গরামানুজ আচার্য্যের টীকা ও টীকার অনুবাদ সহ এই উপনিষদ টি প্রকাশ করা হল। এই উপনিষদের কোনো মাধ্ব ভাষ্য নেই। পরবর্তী কালে অন্যান্য উপনিষদের মাধ্ব ভাষ্য ও রঙ্গরামানুজ ভাষ্য প্রকাশ করা হবে।
এর আগে অনন্তাচার্য্য সমস্ত উপনিষদের রঙ্গরামানুজাচার্য্যের টীকা ও সংক্ষেপে টীকার একটি ইংরাজী অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন। সেই সংস্করণে মূল টীকা সংক্ষিপ্ত আকারে অনুবাদ করেছেন কোথাও মূল টীকার অনুবাদ না করে সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাই সম্পূর্ণ টীকার অনুবাদটি বৈষ্ণব দের বেদান্ত জিজ্ঞাসা র সমাধান করবে আশা করি।
দাসাভাস
অর্জুনসখা দাস
© সর্বস্বত্ব Gaudiya Scripture দ্বারা সংরক্ষিত